উত্তর : কুরআনে বর্ণিত দু‘আ সিজদায় পড়া যাবে। তবে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘...সাবধান! আমাকে নিষেধ করা হয়েছে আমি যেন রুকূ‘ বা সাজদারত অবস্থায় কুরআন পাঠ না করি। তোমরা রুকূ‘ অবস্থায় মহান প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত বর্ণনা করবে এবং সাজদারত অবস্থায় অধিক দু‘আ পড়ার চেষ্টা করবে। কেননা তোমাদের দু‘আ ক্ববুল হওয়ার উপযোগী’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৭৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, আলী ইবনে আবূ ত্বালিব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, نَهَانِيْ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنْ أَقْرَأَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا ‘রাসূল (ﷺ) আমাকে রুকূ‘ বা সাজদায় কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করেছেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮০)।
সাজদায় কুরআনে বর্ণিত দু‘আ পড়ার ব্যাপারে ইমাম বদরুদ্দীন আজ-জারকাশী, ইমাম নববী, শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুমুল্লাহ), শাইখ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ ও সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, لا بأس بذلك إذا أتى بها على وجه الدعاء لا على وجه التلاوة للقرآن ‘তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য ব্যতীত শুধু দু‘আর উদ্দেশ্যে পাঠ করা দোষনীয় নয়’। কুরআনে বর্ণিত দু‘আমূলক আয়াতসমূহ পাঠ করলেও সাজদার হক্ব আদায় হয়ে যাবে, তবে হাদীছে বর্ণিত দু‘আ পাঠ করা অধিক উত্তম (তুহফাতুল মুহতাজ, ২/৬১; আল-আযকার, পৃ. ৫৯; আশ-শারহুল মুমতি‘, ৩/১৩৩; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৪৬৯৯৭; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৬/৪৪৩ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আইয়ূব কাজী, গোপালগঞ্জ।