উত্তর : মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কাফিরদের পণ্য বয়কট করে তাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করা আমাদের জন্য ঈমানী দায়িত্ব। ইমাম ইবনু বাত্ত্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সমস্ত রকমের কাফির ও মুশরিকদের সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয। তবে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত কাফিরদেরকে এমন কোন সরঞ্জাম ও হাতিয়ার বিক্রয় করা যাবে না, যেগুলো তারা মুসলিমদের নিধন করার কাজে ব্যবহার করতে পারে। কিংবা এমন কোন লেনদেন করা যাবে না, যার ফলে তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে আরো শক্তিশালী হয়ে যায়’ (শারহুল বুখারী, ৬/৩৩৮ পৃ.)। চাপ সৃষ্টি করার জন্য এবং তাদের দ্বারা অত্যাচারিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও গৃহহীন মুসলিমদের সাহায্য করণার্থে ইসরায়েলী পণ্য বয়কট করা অথবা ইসরায়েলী কোম্পানীগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা আবশ্যক। তাই তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সর্ব যুগেই মাল-সম্পদ যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসাবে চিহ্নিত। মুসলিমদের উচিত সর্বদা যুলুম, অন্যায় ও পাপাচারের বিরোধিতা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদা: ২)। মুসলিমরা কখনো কোন ইয়াহুদী, খ্রিস্টান অথবা অন্যান্য অমুসলিমদের এমন কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারবে না, যার ফলে তারা ফুলেফেঁপে আরো শক্তিশালী হয়ে যায়। রাসূল (ﷺ) স্পষ্ট ভাষায় বলেন, তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে নিজেদের সম্পদ, জীবন ও কথার দ্বারা জিহাদ করো’ (আবূ দাঊদ, হা/২৫০৪)। ফিলিস্তীনী মুসলিমদের উপর ইসরায়েলী হানা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে দৃশ্যমান কোন প্রতিবাদ হয়নি। তাই ইসরায়েলী পণ্য বয়কটের মাধ্যমে আমরা প্রতিবাদ করতে পারি। সেই সঙ্গে ইসরায়েলে গার্মেন্টস পন্যের রফতানি বন্ধ করে সেই বস্ত্র সহায়সম্বলহীন ফিলিস্তীনীদের বিনামূল্যে দান করে তাদের পাশে থাকতে পারি। মোদ্দাকথা হল- যুদ্ধরত কাফিরদের পণ্য বয়কট করে তাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করা জায়েয এবং খুবই ভালো উদ্যোগ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১৩/১৮ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২০৭৩২, ২৬১৮২২)।
প্রশ্নকারী : আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ফাইয়াজ, চাঁদপুর।