শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
উত্তর : মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কাফিরদের পণ্য বয়কট করে তাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করা আমাদের জন্য ঈমানী দায়িত্ব। ইমাম ইবনু বাত্ত্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সমস্ত রকমের কাফির ও মুশরিকদের সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয। তবে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত কাফিরদেরকে এমন কোন সরঞ্জাম ও হাতিয়ার বিক্রয় করা যাবে না, যেগুলো তারা মুসলিমদের নিধন করার কাজে ব্যবহার করতে পারে। কিংবা এমন কোন লেনদেন করা যাবে না, যার ফলে তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে আরো শক্তিশালী হয়ে যায়’ (শারহুল বুখারী, ৬/৩৩৮ পৃ.)। চাপ সৃষ্টি করার জন্য এবং তাদের দ্বারা অত্যাচারিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও গৃহহীন মুসলিমদের সাহায্য করণার্থে ইসরায়েলী পণ্য বয়কট করা অথবা ইসরায়েলী কোম্পানীগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা আবশ্যক। তাই তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সর্ব যুগেই মাল-সম্পদ যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসাবে চিহ্নিত। মুসলিমদের উচিত সর্বদা যুলুম, অন্যায় ও পাপাচারের বিরোধিতা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদা: ২)। মুসলিমরা কখনো কোন ইয়াহুদী, খ্রিস্টান অথবা অন্যান্য অমুসলিমদের এমন কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারবে না, যার ফলে তারা ফুলেফেঁপে আরো শক্তিশালী হয়ে যায়। রাসূল (ﷺ) স্পষ্ট ভাষায় বলেন, তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে নিজেদের সম্পদ, জীবন ও কথার দ্বারা জিহাদ করো’ (আবূ দাঊদ, হা/২৫০৪)। ফিলিস্তীনী মুসলিমদের উপর ইসরায়েলী হানা বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের দেশে দৃশ্যমান কোন প্রতিবাদ হয়নি। তাই ইসরায়েলী পণ্য বয়কটের মাধ্যমে আমরা প্রতিবাদ করতে পারি। সেই সঙ্গে ইসরায়েলে গার্মেন্টস পন্যের রফতানি বন্ধ করে সেই বস্ত্র সহায়সম্বলহীন ফিলিস্তীনীদের বিনামূল্যে দান করে তাদের পাশে থাকতে পারি। মোদ্দাকথা হল- যুদ্ধরত কাফিরদের পণ্য বয়কট করে তাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করা জায়েয এবং খুবই ভালো উদ্যোগ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১৩/১৮ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২০৭৩২, ২৬১৮২২)।


প্রশ্নকারী : আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ফাইয়াজ, চাঁদপুর।





প্রশ্ন (১৭) : মূসা (আলাইহিস সালাম) যখন আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাৎ করলেন তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার যত নিকটবর্তী হয়েছি আর কেউ কি এতো নিকটবর্তী হতে পারবে। আল্লাহ বললেন, মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উম্মত ইফতারের সময় এর চেয়েও বেশী নিকটবর্তী হবে। উক্ত ঘটনা কোন হাদীছ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : কুরআন তেলাওয়াতের সময় মহিলাদের মাথায় কাপড় দেয়া কি আবশ্যক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : অনেক জায়গায় টয়লেট ক্বিবলার দিকে মুখ করে বা ক্বিবলাকে পিছনে করে তৈরি করা আছে। অথচ ক্বিবলার দিকে মুখ করে অথবা ক্বিবলাকে পিছন দিকে রেখে পেশাব-পায়খানা করা নিষেধ। এ ধরনের টয়লেট ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কি তায়াম্মুম করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : মোবাইলের রিংটোন হিসাবে দু‘আ বা কুরআনের আয়াত ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জনৈক বক্তা বলেন, আলেমের সমাবেশে উপস্থিত হলে এক হাজার রাকা‘আত নফল ছালাত, এক হাজার রোগী দেখার ও এক হাজার জানাযায় শরীক হওয়ার ছওয়াব পাওয়া যায়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : ‘আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) জিনের সাথে লড়াই করেছেন এবং তাদেরকে সাত যমীন পর্যন্ত পাঠিয়ে দিয়েছেন’ মর্মে বর্ণিত ঘটনা কি সত্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : দেশের সরকারী কর্মকর্তগণ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তগণকে দেখে স্যালুট দেয়, দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে অথবা জাতীয় সংসদে কিংবা শিক্ষা অনির্বান, শিখা চিরন্তন, জাতীয় স্মৃতি সৌধ সহ বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়ে থাকে। শরী‘আতের দৃষ্টিতে উক্ত কর্মকাণ্ডের কি কোন বৈধতা রয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : জাহান্নামীদের পানীয় হিসাবে প্রদত্ত مَاءٌ صَدِيْدٌ وَغِسْلِيْنٌ বলতে কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : দুই সিজদার মাঝখানে যে দু‘আ পড়া হয় সেটি ওয়াজিব, না-কি সুন্নাত? এই দু‘আ পড়েছি নাকি পড়িনি এমন সন্দেহ হলে সাহু সিজদা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন : (৭) জঙ্গলে বা জনবসতিহীন এলাকায় উৎপন্ন ফল বা সবজি খাওয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫): কোন যালিম শাসক মৃত্যুবরণ করলে ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ