শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর : প্রথমতঃ জেনেশুনে চুরির মাল ক্রয়-বিক্রয় করা নিশ্চিতরূপে হারাম। জেনেশুনে চুরির মাল ব্যবহার করা জায়েয নয়। অনুরূপভাবে যদি সন্দেহ তৈরি হয় যে, পণ্যটি চুরির কি-না? এবং পণ্যটি চুরির হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, সেক্ষেত্রেও এমন পণ্য ক্রয় করা নাজায়েয। কেননা এমন ক্রয়ের মাধ্যমে পাপ ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা করা হয় এবং প্রকৃত মালিকের হাত থেকে পণ্যটি আত্মসাৎ করা হয় এবং যেহেতু এর মাধ্যমে মানুষের উপর যুলুম করা, অন্যায়ের পক্ষে সায় দেয়া এবং অন্যায়কারীর সাথে পাপে অংশগ্রহণ করা হয়। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,  ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ২)। উপরিউক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ ও হারাম কাজে সাহায্য, সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (তাফসীর ইবনু কাছীর, ২/১২; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৪৬-৪৭ পৃ.)। সুতরাং যে ব্যক্তি জেনেশুনে কিংবা সন্দেহ প্রবল হওয়া সত্ত্বেও চুরির পণ্য ক্রয় করেছে তার উপর অপরিহার্য হল- এর জন্য অন্তর থেকে তাওবাহ করা এবং সেই পণ্যটি ফেরত দিয়ে তার অর্থ ফেরত নেয়া। কারণ এরূপ ক্রয়-বিক্রয় সঠিক নয়। আর যে ব্যক্তি জানতে পারবে যে, এটি চুরিকৃত বা আত্মসাৎকৃত পণ্য তার উচিত যে ব্যক্তি এটি চুরি করেছে তাকে নম্রতা, কোমলতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে নসিহত করা, যাতে করে সে চুরিকর্ম থেকে ফিরে আসে। দ্বিতীয়তঃ যে ব্যক্তি ক্রয় করার পর জানতে পেরেছে অথবা তার সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে, সেটি চুরিকৃত কি-না? তবে সে নিশ্চিত নয়। এক্ষেত্রেও পারলে মূল মালিককে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। আর মালিক মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীদের দিবে। কাউকে না পাওয়া গেলে মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণে দান করে দিবে। তবে এক্ষেত্রে ফেরত দেয়া তার উপর অপরিহার্য নয়। কেননা মূল বিধান হল- ক্রয়-বিক্রয় বিশুদ্ধ হওয়া। আল্লাহই সর্বজ্ঞ (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৯/২৭৬, ২৯/৩২৩ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৯/৮৮-৯২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৩০৩১, ১০০২০৯)।


প্রশ্নকারী : রুহুল আমীন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।





প্রশ্ন (১৪) : অনেকে জ্বর এবং যাবতীয় বেদনার জন্য নিম্নের দু‘আটি আমল করেন- بِسْمِ اللهِ الْكَبِيْرِ أَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ مِنْ شَرِّ كُلِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَّمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ  ‘মহান আল্লাহ্র নামে, মর্যাদাবান আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চাচ্ছি সমস্ত রক্তপূর্ণ শিরার অপকার হতে এবং জাহান্নামের উত্তাপ হতে’। এই দু‘আ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : জনৈক মহিলা বিয়ের সময় প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণ পেয়েছিল। তার অন্য কোন আয় নেই। শুধু স্বামী কিছু হাত খরচ দেন। এক্ষণে ঐ স্বর্ণের যাকাত মহিলা নিজে দিবে, না তার স্বামী দিবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : একইসাথে টয়লেট ও গোসল খানা। সে ক্ষেত্রে টয়লেটের ভিতরে বসে ওযূ করলে বসা অবস্থায় ওযূর দু‘আ সমূহ পাঠ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ঘরের ভিতর বিছানা বিছানোর নির্দিষ্ট কোন দিক আছে কি? যেমন- পূর্ব-পশ্চিম না উত্তর-দক্ষিণ। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : অহীর নামে মিথ্যা প্রচার করার পরিণাম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাটির তৈরি, না-কি নূরের তৈরি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখা হলে সে সূর্যকে অস্তমিত হতে দেখতে পায়। তখন সে উঠে বসে এবং তার চক্ষুদ্বয় মলতে মলতে বলে, আমাকে ছেড়ে দাও, আমি ছালাত আদায় করব (ইবনু মাজাহ, হা/৪২৭২)। অনেকেই উক্ত হাদীছের আলোকে বলে থাকে যে, মৃত ব্যক্তি কবরে ছালাত পড়ে। তাদের দাবি কি গ্রহণযোগ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : বর্তমানে বিবাহ উপলক্ষে কনে পক্ষ বরকে সোনার আংটি উপহার দিয়ে থাকে এবং সে তা ব্যবহারও করে থাকে। ইসলামী শরী‘আতে এর অনুমোদন আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : রাতে ঘুমানোর সময় ওযূ ছাড়াই আয়াতুল কুরছি, সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ছালাতের ওয়াক্ত হলেই ছালাত আদায় করা উত্তম। এমন দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : অনেকেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে মানুষকে গাধা, কুকুর ইত্যাদি বলে সম্বোধন করে থাকে। এ ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : আপন ভাগ্নির মেয়েকে বিয়ে করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ