সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ন
উত্তর : প্রথমতঃ জেনেশুনে চুরির মাল ক্রয়-বিক্রয় করা নিশ্চিতরূপে হারাম। জেনেশুনে চুরির মাল ব্যবহার করা জায়েয নয়। অনুরূপভাবে যদি সন্দেহ তৈরি হয় যে, পণ্যটি চুরির কি-না? এবং পণ্যটি চুরির হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, সেক্ষেত্রেও এমন পণ্য ক্রয় করা নাজায়েয। কেননা এমন ক্রয়ের মাধ্যমে পাপ ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা করা হয় এবং প্রকৃত মালিকের হাত থেকে পণ্যটি আত্মসাৎ করা হয় এবং যেহেতু এর মাধ্যমে মানুষের উপর যুলুম করা, অন্যায়ের পক্ষে সায় দেয়া এবং অন্যায়কারীর সাথে পাপে অংশগ্রহণ করা হয়। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,  ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে অত্যধিক কঠোর’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ২)। উপরিউক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ ও হারাম কাজে সাহায্য, সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (তাফসীর ইবনু কাছীর, ২/১২; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৪৬-৪৭ পৃ.)। সুতরাং যে ব্যক্তি জেনেশুনে কিংবা সন্দেহ প্রবল হওয়া সত্ত্বেও চুরির পণ্য ক্রয় করেছে তার উপর অপরিহার্য হল- এর জন্য অন্তর থেকে তাওবাহ করা এবং সেই পণ্যটি ফেরত দিয়ে তার অর্থ ফেরত নেয়া। কারণ এরূপ ক্রয়-বিক্রয় সঠিক নয়। আর যে ব্যক্তি জানতে পারবে যে, এটি চুরিকৃত বা আত্মসাৎকৃত পণ্য তার উচিত যে ব্যক্তি এটি চুরি করেছে তাকে নম্রতা, কোমলতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে নসিহত করা, যাতে করে সে চুরিকর্ম থেকে ফিরে আসে। দ্বিতীয়তঃ যে ব্যক্তি ক্রয় করার পর জানতে পেরেছে অথবা তার সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে, সেটি চুরিকৃত কি-না? তবে সে নিশ্চিত নয়। এক্ষেত্রেও পারলে মূল মালিককে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। আর মালিক মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীদের দিবে। কাউকে না পাওয়া গেলে মুসলিম উম্মাহ্র কল্যাণে দান করে দিবে। তবে এক্ষেত্রে ফেরত দেয়া তার উপর অপরিহার্য নয়। কেননা মূল বিধান হল- ক্রয়-বিক্রয় বিশুদ্ধ হওয়া। আল্লাহই সর্বজ্ঞ (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৯/২৭৬, ২৯/৩২৩ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৯/৮৮-৯২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৩০৩১, ১০০২০৯)।


প্রশ্নকারী : রুহুল আমীন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।





প্রশ্ন (১৩) : ‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথায় ও দাড়িতে বিশটি সাদা চুলও ছিল না’ মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ছাত্রাবাসে দেশের নতুন বিজয় উপলক্ষে এবং যারা মারা গেছে তাদের স্মরণে নফল ছিয়াম রাখে। এরকম আনুষ্ঠানিকভাবে নফল ছিয়াম রাখার কোন দলীল আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : ‘তোমরা তিনটি কারণে আরবকে ভালবাসবে। প্রথমত, আমি হলাম আরবী, দ্বিতীয়ত, কুরআন মাজীদের ভাষা হল আরবী এবং তৃতীয়ত, জান্নাতীদের ভাষাও হবে আরবী। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : জনৈক ব্যক্তি রাগ করে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তিন ত্বালাক্ব দেয় এবং ৯০ দিন পর সিটিকর্পোরেশন থেকে সার্টিফিকেট নেয়। তাদের দাম্পত্য জীবন ১১ বছরের এবং ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তানও আছে। তবে ত্বালাক্ব দেয়ার সময় সে এক ত্বালাক্ব দিয়েছে। এমতাবস্থায় স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার কোন সুযোগ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : কবরের কাছে গিয়ে কোন্ দু‘আ পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : ছেলের বউ তার শ্বশুরের পা টিপে দিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ডিএনএ টেস্ট (DNA TEST)-এর মাধ্যমে যিনা-ব্যভিচার, ধর্ষণ অথবা পিতৃ পরিচয়ের হুকুম প্রতিষ্ঠা করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : আমাদের মসজিদে লক্ষ্য করা যায় যে, প্রতিদিনই অনেক লোক ফজরের ছালাত চলাকালীন সুন্নাত ছালাত আদায় করতে থাকে। তাদের ধারণা হল- ফরজের আগেই সুন্নাত ছালাত পড়তে হবে। পরে পড়া যাবে না। উক্ত ধারণা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : যেসকল তাসবীহ ১০০ বার পড়তে হয়, তা যদি একসাথে না পড়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পড়ি, তাহলে কি হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : যে ইমাম তাবীযের ব্যবসা করে তার পিছনে কি ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : পরিবারের একজন কুরবানী করলে সবার পক্ষ থেকে তা হয়ে যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ‘চুরি হওয়া মাল ছাদাক্বাহস্বরূপ’- কথাটি কি ইসলামসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ