উত্তর : ঐ ক্বাযা ছালাত দিনের বেলায় জোড় সংখ্যায় আদায় করতে হবে। অর্থাৎ রাত্রিতে ৩ রাকা‘আত আদায় করার অভ্যাস থাকলে দিনের বেলায় দুই সালামে ৪ রাক‘আত আদায় করবে। আর যদি ৫ রাক‘আত আদায় করার অভ্যাস থাকে তাহলে তিন সালামে ৬ রাক‘আত আদায় করবে। আর ৭ রাক‘আত আদায় করার অভ্যাস থাকলে চার সালামে ৮ রাক‘আত আদায় করবে। ৯ রাক‘আত আদায় করার অভ্যাস থাকলে পাঁচ সালামে ১০ রাক‘আত আদায় করবে। আর যদি ১১ রাক‘আত আদায় করার অভ্যাস থাকে তাহলে ছয় সালামে ১২ রাক‘আত আদায় করবে (কাশশাফুল ক্বিনা‘, ১/৪৪১; মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৩/৯১; নাইলুল আওত্বার, ৩/৬১; যাদুল মা‘আদ, ১/৩২৪; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৩০/৪৭-৪৮; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১৪/১২১ পৃ.)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,
وَكَانَ نَبِيُّ اللهِ ﷺ إِذَا صَلَّى صَلَاةً أَحَبَّ أَنْ يُدَاوِمَ عَلَيْهَا وَكَانَ إِذَا غَلَبَهُ نَوْمٌ أَوْ وَجَعٌ عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً
‘আর নবী (ﷺ) কোন ছালাত আদায় করলে তা সর্বদা নিয়মিত আদায় করা পসন্দ করতেন। যখন ঘুমের প্রাবল্য বা ব্যথা-বেদনার কারণে তিনি রাতে ইবাদত (ছালাত আদায়) করতে পারতেন না, তখন দিনের বেলা বারো রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৪৬)। উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘কেউ তার রাতের করণীয় কাজ কিংবা তার কিছু অংশ করতে ভুলে যায় অথবা জাগতে না পারে, তাহলে সে যদি তা ফজর ও যোহরের ছালাতের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে আদায় করে নেয় তাহলে তা এমনভাবে তার জন্য লিখে নেয়া হবে যেন সে তা রাতের বেলায়ই সম্পন্ন করেছে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৪৭)।
প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ মতিউর রহমান, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর।