শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০১ অপরাহ্ন
উত্তর : ইসলামে এজন্য নির্ধারিত বয়স বা সময়সীমা ইসলামে বর্ণিত হয়নি। তবে প্রত্যেক অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান যারা অসহায় এবং সহায়-সম্পত্তিহীন, তাদের ভরণপোষণ করা এবং খরচ বহন করা পিতার উপর অপরিহার্য দায়িত্ব। এমনকি সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও যদি সাবলম্বী বা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে না পারে, সেক্ষেত্রেও ঐ অসহায় সন্তানের জন্য খরচ করা পিতার উপর অপরিহার্য দায়িত্ব। আর যদি সন্তান সাবলম্বী বা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলে তার উপর খরচ করা অপরিহার্য নয়, এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানও যদি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, তবে তার উপরও খরচ করা পিতার দায়িত্ব নয়। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, বয়ঃপ্রাপ্ত হওয়াটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হল উপার্জন করতে সামর্থ্যবান হওয়া বা না হওয়া (আল-মুগনী, ৮/১৬৯-১৭১; আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৩/৩৬৩; মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৩৪/১০৫; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩৪৬৪; আল-উম্ম, ৮/৩৪০ পৃ.)। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, وَ عَلَی الۡمَوۡلُوۡدِ لَہٗ رِزۡقُہُنَّ وَ کِسۡوَتُہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ‘পিতার কর্তব্য যথাবিধি তাদের ভরণ-পোষণ করা’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৩৩)।

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, হিন্দা বিনতে উতবাহ বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আবূ সুফইয়ান একজন কৃপণ লোক। সে আমাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খরচ দেয় না, যা আমার ও আমার সন্তানদের জন্য যথেষ্ট হবে। তাই আমি তার অগোচরে তার মাল থেকে কিছু নিয়ে থাকি। এতে কি আমার গুনাহ হবে? তখন তিনি বললেন, তোমার ও তোমার সন্তানের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে যা যথেষ্ট হয় তা তুমি নিতে পারো’ (ছহীহ বুখারী, হা/২২১১, ২৪৬০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৪)। উক্ত হাদীছে রাসূল (ﷺ)-এর বাণী, ‘তোমার ও তোমার সন্তানের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে যা যথেষ্ট হয় তা তুমি নিতে পারো’। এখানে কিন্তু বয়স নির্ধারণ করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, যতটা প্রয়োজন ততটা নিতে পারো। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমাদের মাঝে কেউ দরিদ্র থাকলে সে প্রথমে নিজের জন্য ব্যয় করবে। তারপর প্রয়োজনের অতিরিক্ত থাকলে তা নিকটাত্মীয়দের জন্য ব্যয় করবে, এরপরও অবশিষ্ট থাকলে আল্লাহর পথে নেককাজে ব্যয় করবে’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৯৫৭; নাসাঈ, হা/৪৬৫৩; ছহীহ ইবনে খুযাইমাহ, হা/২৪৪৫; ছহীহুল জামি, হা/৭৪৭)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবূ হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, ‘একদা নবী (ﷺ) দান করার নির্দেশ দিলেন। তখন এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার একটি দীনার আছে। তিনি বললেন, তুমি তা নিজের জন্য ব্যয় কর। সে বলল, আমার আরো একটি আছে। তিনি বললেন, তোমার সন্তানের জন্য খরচ করো। সে বলল, আমার আরো একটি আছে। তিনি বললেন, তোমার স্ত্রীর জন্য খরচ করে। সে বলল, আমার আরো একটি আছে। তিনি বললেন, তোমার খাদিমের জন্য ছাদাক্বাহ কর। সে বলল, আমার কাছে আরো একটি দীনার আছে। তিনি বললেন, তুমিই ভালো জানো (তা কিসে ব্যয় করবে)’ (আবূ দাঊদ, হা/১৬৯১; নাসাঈ, হা/২৫৩৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৪১৩; ইরওয়াউল গালীল, হা/৮৯৫)। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, অভাবগ্রস্ত সন্তান সাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত ভরণপোষণ দেয়া পিতার উপর অপরিহার্য (আল-মুগনী, ৮/১৬৮-১৭২ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : আছিম বিন নূরুল ইসলাম, লালমোহন, ভোলা।





প্রশ্ন (২৭) : ‘রাহে বেলায়েত’ নামক বইয়ের ৮৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে যে, বেশি বেশি সুবহানাল্লাহ, আলহামদুল্লাহ, আল্লাহু আকবার পড়লে মুনাফিক হতে মুক্তি পাওয়া যায় (নাসাঈ ৬/২১০)। উক্ত বর্ণনা ছহীহ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জামা‘আতের ছালাতে ইমাম সাহেব জোরে তাকবীর বলা এবং মুক্তাদির নিঃশব্দে তাকবীর বলার দলীল কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : বিবাহের সুন্নাতী তরীকাগুলো কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ছুটে যাওয়া বিতর ছালাত সূর্য উঠার পর বা দিনের বেলায় পড়লে কিভাবে পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : সানস্ক্রিন ক্রীম সূর্যের ক্ষতিকর আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং এতে ত্বক ফর্সা হওয়ার লেয়ার থাকে। পুরুষের জন্য এ ধরনের ক্রীম ব্যবহার করা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : কেউ যদি তার ঘরে বসবাস শুরু করার পর থেকেই রোগে ও মুছীবতে আক্রান্ত হয়, তাহলে উক্ত ঘরে বসবাস করাকে অমঙ্গলের কারণ হিসাবে মনে করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : মসজিদের নীচতলায় পুরুষ এবং দোতলায় মহিলারা ওয়াক্তিয়া ও জুমু‘আর ছালাত আদায় করে থাকে। এভাবে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : সমাজে মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির চুল, নখ ইত্যাদি কাটার রেওয়াজ চালু রয়েছে। এটা কতটুকু শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : মাতুরিদী মতবাদের পরিচয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : লাল ও হলুদ পোশাক পরিধানের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : মৃত ব্যক্তিকে মরহূম, মাগফূর বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) :  হাদীছে এসেছে, নিশ্চয় আল্লাহ মূল্য নির্ধারণকারী। তিনি তা কমান ও বৃদ্ধি করেন এবং তিনিই রিযিক্বদাতা (আবূ দাঊদ, হা/৩৪৫১)। উক্ত হাদীছের সঠিক ব্যাখ্যা কী? বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকারকে দায়ী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ