উত্তর : ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘আল্লাহ লা‘নত করেছেন আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তনকারী সে সব নারীদেরকে যারা উল্কি অঙ্কনের কাজ করে, যাদেরকে উল্কি করানো হয়, সৌন্দর্য চর্চা হিসাবে যাদের চোখের ভ্রু সরু করা হয়, যাদের দাঁতকে সরু করানো হয়। নবী (ﷺ) যাকে লা‘নত করেছেন আমি তাকে লা‘নত করতে বাধা কোথায়? এটি তো আল্লাহ্র কিতাবেই রয়েছে। ‘রাসূল তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা গ্রহণ কর ...’ ‘বিরত থাক’ পর্যন্ত (সূরা আল-হাশর: ৭; ছহীহ বুখারী, ৫৯৩১)। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘ঐ নারীকে লা‘নত করা হয়েছে যে পরচুলা লাগানোর কাজ করে, যাকে পরচুলা লাগানো হয়, যে ভ্রু সরু করানোর কাজ করে, যার ভ্রু সরু করানো হয়, যে উল্কি অঙ্কনের কাজ করে এবং যাকে উল্কি করানো হয়— কোন রোগ ছাড়া’ (আবূ দাঊদ, হা/৪১৭০; ফাৎহুল বারী, ১০/৩৭৬ পৃ.)। আলেমগণ এই হাদীছগুলো দিয়ে দলীল পেশ করেছেন যে, ভুরু উপড়ানো নিষিদ্ধ।
ভুরুর সীমানা নিয়ে ইবনু মানযূর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
“الحاجبان হচ্ছে অক্ষিদ্বয়ের উপরস্থ গোশত ও চুল সমেত হাড্ডিদ্বয়’। বহুবচনে حواجب। কারো কারো মতে, হাড্ডির উপর গজিয়ে ওঠা চুল। এই চুলকে এই নামে নামকরণ করা হয়েছে যেহেতু এটি চোখে সূর্যের রস্মি পড়তে বাধা দেয় (حاجب মানে বাধাদানকারী)’ (লিসানুল আরব, ১/২৯৮-২৯৯)।
আরবী ভাষায় ও মানুষের প্রচলনে এটাকে حاجب বা ভুরু বলা হয়। পূর্বোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রতীয়মান হয় যে, আপনি যে লোমের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছেন, সেটি ভুরু-এর অধিভুক্ত। কারণ সেটি ভুরুর মূল চুল থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও তদুপরি সেটি ভুরুর অধিভুক্ত। কেননা সেটি ভুরুর হাড্ডির এলাকায় গজিয়েছে। তাই এটি ভুরুর হাড্ডির বিধানই গ্রহণ করবে। নিদেনপক্ষে এর হুকুম হলো: যে বিষয়ে সংশয় অতি তীব্র সতর্কতাস্বরূপ সেটি ত্যাগ করা। বিশেষতঃ জমহুর আলেমের মাযহাব হলো: ভুরু ছাড়া চেহারার অন্য কোন চুল উপড়ানো নিষিদ্ধের মধ্যে পড়বে।
প্রশ্নকারী : সামিঊল ইসলাম, কুলপাড়া, রাজশাহী।