উত্তর : ফাসিক, বিদ‘আতী, ভ্রান্ত আক্বীদার অনুসারী ও কাবীরা গুনাহগার ব্যক্তির পিছনে ছালাত আদায় করা ঠিক নয়। সায়েব ইবনু খাল্লাদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি হলেন নবী করীম (ﷺ)-এর ছাহাবীগণেরই একজন। জনৈক ব্যক্তি একদল লোকের ইমামতি করল, তখন সে ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা দেখলেন। যখন সে ছালাত শেষ করল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দলকে বললেন, এ ব্যক্তি যেন আর তোমাদের ছালাত আদায় না করায়।
অতঃপর এরপর সে তাদের ছালাত আদায় করাতে চাইলে তারা তাকে নিষেধ করল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হুকুম তাকে জানিয়ে দিল। অতঃপর সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট তা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ। রাবী বলেন, আমি মনে করি তিনি এটাও বলেছেন যে, তুমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-কে কষ্ট দিয়েছ (আবূ দাঊদ, হা/৪৮১; মিশকাত, হা/৭৪৭, সনদ হাসান)। তবে এ ধরনের অপরাধীর পিছনে মুক্তাদী ছালাত পড়লে তার ছালাত হয়ে যাবে। কারণ ইমামের পাপ মুক্তাদীর উপর বর্তায় না (ছহীহ বুখারী, হা/৬৯৪; মিশকাত, হা/১১৩৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১০৬৫, ৩/৭৫ পৃ.)।
এছাড়া ছাহাবীগণ পাপী ব্যক্তির পিছনে ছালাত আদায় করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) সহ অন্যরাও আল-অলীদ ইবনু উক্ববার পিছনে এবং আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) সহ অন্যরা হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফের পিছনে ছালাত আদায় করেছেন (ইবনু তাইমিয়্যাহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৩/২৮০-২৮১ পৃ.)। উল্লেখ্য, এরূপ ব্যক্তিকে ইমাম হিসাবে নিয়োগ দেয়া উচিত নয়। কেননা ইমামের প্রতি মুক্তাদীগণ অসন্তুষ্টি থাকলে ইমামের ছালাত কবুল হয় না (তিরমিযী, হা/৩৬০, সনদ হাসান)। মাযার ও কবরপূজারী ব্যক্তির পিছনে ছালাত হবে না। কারণ তার ঈমান নেই (সূরা আল-মায়েদাহ : ৫; সূরা আত-তাওবাহ : ১৭)।
প্রশ্নকারী : সজিব, সুজানগর, পাবনা।