উত্তর : না, মানুষ বা পশু-পাখির কার্টুন ব্যবহার করে কোন শিক্ষা প্রদান করা যাবে না। কেননা বাধ্যগত কারণ, যরূরী প্রয়োজন ও জনগুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছাড়া মানুষ, পশু-পাখি ও প্রাণীর মূর্তি বা কার্টুন তৈরি করা, ছবি তোলা, অঙ্কন করা, ব্যবহার করা ও তা সংরক্ষণ করা হারাম এবং চরম অপরাধ। এমনকি তা গৃহে বা কোন প্রতিষ্ঠানে রাখাও অত্যন্ত ক্ষতিকর। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘সে গৃহে ফেরেশতামণ্ডলী প্রবেশ করেন না, যে গৃহে কুকুর ও (প্রাণীর) ছবি থাকে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩২২৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২১০৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘কোন ছবি-মূর্তি না ভেঙ্গে রাখবে না এবং কোন উঁচু কবরকে সমান না করে ছাড়বে না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৬৯; মিশকাত, হা/১৬৯৬)। তাছাড়া ক্বিয়ামতের দিন ছবি-মূর্তি অঙ্কনকারীদেরকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যারা এসব ছবি তৈরি করে, তারা ক্বিয়ামতের দিন আযাব প্রাপ্ত হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা সৃষ্টি করেছিলে তা জীবিত কর’ (ছহীহ বুখারী, হা/২১০৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২১০৭; মিশকাত হা/৪৪৯২)। তিনি আরো বলেছেন, ‘প্রত্যেক ছবি নির্মাতা জাহান্নামী’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১১০; মিশকাত, হা/৪৪৯৮)। তবে গাছ-পালা বা প্রাণী বিহীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি, মূর্তি বা কার্টুন ব্যবহার করে শিক্ষা দেয়া যাবে। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘তোমাকে একান্তই যদি তা করতে হয়, তাহলে গাছ এবং যার জীবন নেই, সে সব বস্তুর ছবি তৈরি কর’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১১০; মিশকাত, হা/৪৪৯৮)।
প্রশ্নকারী : রায়হান, গাজীপুর।