সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০১:১১ অপরাহ্ন
উত্তর : ১- হায়েয ও নিফাস হওয়া। এ অবস্থায় ছিয়াম ভঙ্গ করে পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করে নেবে (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৫/২২০, ২৫/২৬৭, ২৬/১৭৬; মুসলিম, ৪/২৬)। নবী (ﷺ) বলেছেন, أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ ‘আর হায়িয অবস্থায় তারা কি ছালাত ও ছিয়াম হতে বিরত থাকে না?’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩০৪, ১৯৫১, ২৬৫৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৯, ৮০)। সুতরাং একজন নারীর জন্য উত্তম হল তার স্বভাবজাত প্রকৃতির উপর অটল থাকা। আল্লাহ তার জন্য যা লিখে রেখেছেন তার উপর সন্তুষ্ট থাকা, রক্ত বন্ধ করে এমন কিছু গ্রহণ না করা। কেননা এর মধ্যে নানাবিধ ক্ষতি আছে। তাই হায়িযের সময় ছিয়াম ভঙ্গ করা ও পরে ক্বাযা আদায় করার যে বিধান আল্লাহ তার জন্য প্রদান করেছেন, তা গ্রহণ করা কর্তব্য। এমনই করতেন উম্মুল মুমিনীনগণ, পরবর্তী ছাহাবী ও তাবি‘ঈগণের স্ত্রীরা (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১০/১৫১ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৩৮০২৩)।

২- কাপিং করা বা শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করা : এ বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ, শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ছিয়াম থাকাবস্থায় হিজামাহ বা কাপিং করলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। কেননা এর ফলে শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে (আল-ইনছাফ, ৩/২১৪; আশ-শারহুল কাবীর, ৩/৪০; মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৫/২৫২; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/২৭১; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে উছাইমীন, ২০/১৪৫ পৃ.)। যেমন নবী (ﷺ) বলেছেন, أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُوْمُ ‘রক্তমোক্ষণকারী এবং যার রক্তমোক্ষণ করানো হয়েছে, তাদের উভয়ের ছিয়াম নষ্ট হয়েছে গিয়েছে’ (আবূ দাঊদ, হা/২৩৬৭-২৩৭০; ইবনু মাজাহ, হা/১৬৮০-১৬৮১, সনদ ছহীহ)।

৩- রক্ত পরীক্ষা ও স্বেচ্ছায় রক্তদান করা : ছিয়াম থাকাবস্থায় প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করলে ছিয়াম ভঙ্গ হয় না। কেননা এতে খুবই যৎসামান্য রক্ত নেয়া হয়ে থাকে, যার ফলে শরীরে কোন প্রভাব পড়ে না। আর এটি হিজামার অন্তর্ভুক্ত নয়। পক্ষান্তরে অধিক মাত্রায় রক্ত নেয়া হলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কাউকে রক্তদান করার উদ্দেশ্যে, কেননা এটি হিজামাহ বা কাপিং-এর অন্তর্ভুক্ত। সেই জন্য ছিয়াম থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় রক্তদান করা জায়েয নয়, কেননা এর ফলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, যদি রোগীর অবস্থা খুবই বিপদজনক হয়, আর সে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে না পারে এবং ডাক্তারেরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ছিয়াম পালনকারী ব্যক্তির রক্ত পেলে রোগী উপকৃত হবে তার প্রয়োজন পূরণ হবে, সেক্ষেত্রে রক্তদান করা জায়েয। পরে অবশ্যই এই দিনের ক্বাযা আদায় করে নেবে (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/২৭৪; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৮; মাজালিসু শাহরি রামাযান, পৃ. ৭১; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৫০৪০৬)। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন কারণে রক্তপাত হয়ে গেলে, তার ছিয়াম শুদ্ধ হবে। কেননা সে ইচ্ছাকৃতভাবে তা করেনি (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১০/২৬৪ পৃ.)। অনুরূপ দাঁত তোলা বা ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা বা রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদির জন্য রক্ত বের হলে ছিয়াম ভঙ্গ হয় না। কারণ তা হিজামাহ বা শিঙ্গা লাগানোর অন্তর্ভুক্ত নয় এবং তা হিজামাহ বা শিঙ্গা লাগানোর ন্যায় শরীরের উপর প্রভাবও ফেলে না (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৫/২৭৪; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৮; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৫০৪০৬)।

প্রশ্নকারী : সামিঊল ইসলাম, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৩২) : তাবলীগ জামা‘আতের ‘ফাযায়েলে আমল’ বইয়ে বর্ণিত আছে যে, সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব (রাহিমাহুল্লাহ) পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এশা ও ফজরের ছালাত একই ওযূ দ্বারা পড়েছেন (ঐ, (বাংলা), পৃ. ১৬০; (উর্দূ), পৃ. ৬৮)। উক্ত বিষয়টি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : কোন পাপ কাজ হতে দেখলে কেউ যদি মনে মনে ঘৃণা করে তাহলে তাকে দুর্বল স্তরের মুমিন বলে। এক্ষণে কেউ যদি পাপ কাজকে ঘৃণা না করে, তাহলে কি তাকে মুসলিম বলা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : বর্তমান সময়ে খুবই প্রচলিত একটা ব্যাবসা হচ্ছে, কম মূল্যে পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রেতার নিকট থেকে আগেই পণ্যের টাকা নিয়ে নেয়। অতঃপর ২/৩ মাস বা আরো বেশি সময়ের পর পণ্য দেয়। মানুষের প্রয়োজনীয় যত পণ্য আছে প্রায় সবই দিয়ে থাকে বিভিন্ন অফারে। যেমন ৫০%, ১০০%, কোন কোনটা ১৫০% ছাড়। যেমন : ২৫ হাজার টাকার ফ্রীজ ১২ হাজার টাকায়- ডেলিভারি দিবে ২/৩ মাস পর। এভাবে মোবাইল, মোটর সাইকেল ইত্যাদি। এই ব্যবসা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : বাংলাদেশের অনেক যুবক আমেরিকার বিভিন্ন সার্ভেসাইটে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু তারা বাংলাদেশে বসে আমেরিকার আইপি এড্রেস ব্যবহার করে এবং আমেরিকার নাগরিকের তথ্য ব্যবহার করে কাজ করে। এভাবে ইনকাম হালাল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : ঈদের সম্ভাষণ হিসাবে ‘ঈদ মোবারক’ বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বার নিয়ত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : পাগড়ী পরিধানের কোন বিশেষ ফযীলত আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : আমার বাবা একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। তার কাজ মূলত সদস্যকে ঋণ দেয়া। তার ইনকাম কি হালাল? যদি হালাল না হয় তাহলে তিনি তার বেতনের টাকা দিয়ে আমাকে একটি মোবাইল এবং একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন। এখন আমি এই মোবাইল বা ল্যাপটপ দিয়ে যদি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং বা কোন কাজ করে টাকা ইনকাম করি তাহলে সেই টাকা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ‘রাসূল (ﷺ)-এর আবির্ভাবের পূর্বে সমস্ত নবীর ক্বিবলাহ বাইতুল মাক্বদিছ ছিল’ এই কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : আমি যদি আওয়াল ওয়াক্তে একাকী ছালাত আদায় করি, অতঃপর জামা‘আতের সাথে আবার ছালাত আদায় করতে মসজিদে যাই, তাহলে মসজিদে গিয়ে আমি ছালাতে দাঁড়ানোর সময় কোন্ নিয়তে দাঁড়াব, ফরয না-কি নফল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : জুম‘আর দিন আছর ছালাতের পর উক্ত স্থানে বসে ‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি‘আলা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যিল উম্মী ওয়া ‘আলা আলিহী ওয়া সাল্লিম তাসলীমা’ এ দরূদটি ৮০ বার পাঠ করলে আল্লাহ ৮০ বছরের ছগীরা গোনাহ মাফ করে দেন এবং তার আমলনামায় ৮০ বছরের নফল ইবাদতের ছওয়াব লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : জনৈক ব্যক্তি বিজিবি কর্মকর্তা। ছালাত আদায়কালে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চলে আসলে তিনি ছালাত বাদ দিয়ে স্যালুট জানাবেন, না-কি ছালাত শেষ করে তাকে স্যালুট জানাবেন? উল্লেখ্য যে, স্যালুট জানাতে বিলম্ব হলে চাকরীচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ