বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
উত্তর : অবশ্যই মুসলিম বলা যাবে। তবে ঘৃণা ও প্রতিবাদ না করার জন্য তাকে গুনাহগার হতে হবে। নিঃসন্দেহে সৎ কাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। রাসূল (ﷺ) অন্যায় কাজের প্রতিবাদের তিনটি স্তর বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন,

‏مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ

‘তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং তার দৈহিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা সেভাবেই প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের কথা দ্বারা তা প্রতিহত করে। আর তার সেই সামর্থ্যও না থাকলে সে যেন মনে মনে তাকে ঘৃণা করে। তা হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৯)। এ দায়িত্ব প্রত্যেক মুসলিমের উপর নিজ নিজ সামর্থ্য ও অবস্থান অনুযায়ী অপরিহার্য। ঈমানের দাবী হল- শক্তি থাকলে হাত দিয়ে অন্যায়কে প্রতিহত করবে। তা না হলে মুখ দ্বারা প্রতিবাদ করবে। তাও না হলে অন্ততপক্ষে অন্তর থেকে ঘৃণা। সুতরাং কেউ যদি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও প্রতিবাদ না করে কিংবা অপারগ অবস্থায় অন্তর থেকে ঘৃণাও না করে, তাহলে সে অবশ্যই গুনাহগার হবে, কিন্তু ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে না (তাফসীরে কুরতুবী, ৬/২৫৩; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ৪/৭৩-৭৫; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৩/২১২-২১৩ ও ৪/৫০)।

ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা ফারযে কিফায়াহ। কিছু মানুষ করলে সকলেই মুক্ত হয়ে যাবে, আর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কেউ না করলে সকলেই গুনাহগার হবে। তবে জান ও মালের ক্ষতির ভয় থাকলে হাত ও মুখ দিয়ে প্রতিবাদ করার হুকুম রহিত হয়ে যায়, তখন অন্তর থেকে ঘৃণা করা অপরিহার্য হয়ে যায় (শারহু ছহীহ মুসলিম, ২/২৩ ও ১২/২৩০ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : পারভেজ,  রাজশাহী।





প্রশ্ন (৩৮) : যে রুমে কুরআনের মাছহাফ রাখা আছে সে রুমে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২): বাচ্চাদের কারণে সন্ধ্যাবেলা ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৬) : গ্রামে বা মহল্লায় জুমু‘আর ছালাত হবে না সন্দেহ করে অনেক মুছল্লী জুমু‘আর ছালাতের পর চার রাক‘আত যোহর ছালাত আদায় করে থাকে। এটা কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৫) : ঈদের মাঠ আলোকসজ্জা করা, আগরবাতী জ্বালানো এবং ঈদের দিন পটকা ফোটানো, বাঁশি বাজানো, মেলায় যাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : মৃত ব্যক্তির নামে যে খানার আয়োজন করা হয়, সে খাবার কি পরিবারের অন্য সদস্যরা খেতে পারবে?   - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিড়াল কেনা-বেচা করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : প্রতি বছর ‘আরাফার দিন (৯ যিলহজ্জ) ছিয়াম রাখা সুন্নাত। কিন্তু বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী সাধারণত ৮ কিংবা ৭ যিলহজ্জ তারিখে ‘আরাফা হয়। এক্ষণে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : ব্যভিচার বৃদ্ধি পেলে দরিদ্রতা আসে। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কা‘বা ঘর ত্বাওয়াফের সময় নিম্নের দু‘আ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : কুরবানীর চামড়ার টাকা কিভাবে বণ্টন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ইসলামে শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে কী বলা হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ দ্বারা হজ্জ করলে হজ্জ হবে কি? সন্তানের হারাম পথে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পিতা-মাতা হজ্জ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ