মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
উত্তর : অবশ্যই মুসলিম বলা যাবে। তবে ঘৃণা ও প্রতিবাদ না করার জন্য তাকে গুনাহগার হতে হবে। নিঃসন্দেহে সৎ কাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। রাসূল (ﷺ) অন্যায় কাজের প্রতিবাদের তিনটি স্তর বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন,

‏مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ

‘তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং তার দৈহিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা সেভাবেই প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের কথা দ্বারা তা প্রতিহত করে। আর তার সেই সামর্থ্যও না থাকলে সে যেন মনে মনে তাকে ঘৃণা করে। তা হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৯)। এ দায়িত্ব প্রত্যেক মুসলিমের উপর নিজ নিজ সামর্থ্য ও অবস্থান অনুযায়ী অপরিহার্য। ঈমানের দাবী হল- শক্তি থাকলে হাত দিয়ে অন্যায়কে প্রতিহত করবে। তা না হলে মুখ দ্বারা প্রতিবাদ করবে। তাও না হলে অন্ততপক্ষে অন্তর থেকে ঘৃণা। সুতরাং কেউ যদি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও প্রতিবাদ না করে কিংবা অপারগ অবস্থায় অন্তর থেকে ঘৃণাও না করে, তাহলে সে অবশ্যই গুনাহগার হবে, কিন্তু ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে না (তাফসীরে কুরতুবী, ৬/২৫৩; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ৪/৭৩-৭৫; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৩/২১২-২১৩ ও ৪/৫০)।

ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা ফারযে কিফায়াহ। কিছু মানুষ করলে সকলেই মুক্ত হয়ে যাবে, আর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কেউ না করলে সকলেই গুনাহগার হবে। তবে জান ও মালের ক্ষতির ভয় থাকলে হাত ও মুখ দিয়ে প্রতিবাদ করার হুকুম রহিত হয়ে যায়, তখন অন্তর থেকে ঘৃণা করা অপরিহার্য হয়ে যায় (শারহু ছহীহ মুসলিম, ২/২৩ ও ১২/২৩০ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : পারভেজ,  রাজশাহী।





প্রশ্ন (৩) : সোস্যাল মিডিয়াতে মেয়েদের বেপর্দা ছবি দেখা যায়। মহিলারা এসব ছবি দেখলে কি গুনাহ হবে? একজন মেয়ের সামনে আরেক মেয়ের পর্দার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : রামাযান মাসের প্রথম দশদিন রহমত, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাত এবং তৃতীয় দশদিন নাজাত- এ মর্মে পুরা মাসকে তিনভাগে ভাগ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : ওয়াহহাবী কারা? এটা কি কোন মাযহাব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : মৃত ব্যক্তিকে মরহূম, মাগফূর বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : ফজরের পূর্বে দুই, যোহরের পূর্বে চার ও পরে দুই, মাগরিবের পরে দুই, এশার পরে দুই রাক‘আত দিনে রাতে মোট বার রাক‘আত ছালাতের ফযীলতের কথা আমরা জানি। আমার প্রশ্ন হল- কেউ যদি যোহরের আগের চার রাক‘আত ছালাত পরে আদায় করে তবে কি তিনি সেই ফযীলত পাবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : অনেক বক্তা বলেন, জুমু‘আর দিনটি গরীবের হজ্জ। এই দাবী কি সত্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : পৃথিবীতে যেখানে যারা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা জীবন পরিচালিত করে তারাই আহলেহাদীছ। প্রশ্ন হল- ‘আহলেহাদীছ’ নাম না দিয়ে ‘আহলুস সুন্নাত’ নাম দেয়া যাবে কি? কারণ হাদীছের মধ্যে জাল-যঈফ আছে কিন্তু নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহর মধ্যে জাল-যঈফ নেই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য ছালাত আদায়ের নির্দেশাবলী কী? বিশেষ করে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের যারা বডি গার্ড তাদের ব্যাপারে কী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৪) : কোন ব্যক্তির মেহমানের সঙ্গে বাড়ীর দরজা পর্যন্ত বের হওয়া কি সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : আল্লাহকে ‘খোদা’ বলে ডাকা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জনৈক খত্বীব বলেছেন, যুবতী মেয়ে রেখে হজ্জে গেলে হজ্জ কবুল হবে না। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : জমিদাতা মসজিদের নামে জমি ওয়াক্ফ করে দিয়েছেন। মুছল্লীরা ওয়াকফ করা জমিতেই মসজিদ নির্মাণ করেছেন। সেখানে দীর্ঘ ১০/১৫ বছর যাবৎ ছালাত আদায় করা হছে। এতদিন পর দলীল বের করে দেখা যায় যে, দলীলে দাগ নাম্বার ভুল। এমতাবস্থায় উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ