সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:২১ অপরাহ্ন
উত্তর : অবশ্যই মুসলিম বলা যাবে। তবে ঘৃণা ও প্রতিবাদ না করার জন্য তাকে গুনাহগার হতে হবে। নিঃসন্দেহে সৎ কাজের নির্দেশদান এবং অসৎ কাজে বাধাদান করা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। রাসূল (ﷺ) অন্যায় কাজের প্রতিবাদের তিনটি স্তর বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন,

‏مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَاسْتَطَاعَ أَنْ يُغَيِّرَهُ بِيَدِهِ فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ

‘তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং তার দৈহিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা সেভাবেই প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের কথা দ্বারা তা প্রতিহত করে। আর তার সেই সামর্থ্যও না থাকলে সে যেন মনে মনে তাকে ঘৃণা করে। তা হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৯)। এ দায়িত্ব প্রত্যেক মুসলিমের উপর নিজ নিজ সামর্থ্য ও অবস্থান অনুযায়ী অপরিহার্য। ঈমানের দাবী হল- শক্তি থাকলে হাত দিয়ে অন্যায়কে প্রতিহত করবে। তা না হলে মুখ দ্বারা প্রতিবাদ করবে। তাও না হলে অন্ততপক্ষে অন্তর থেকে ঘৃণা। সুতরাং কেউ যদি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও প্রতিবাদ না করে কিংবা অপারগ অবস্থায় অন্তর থেকে ঘৃণাও না করে, তাহলে সে অবশ্যই গুনাহগার হবে, কিন্তু ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে না (তাফসীরে কুরতুবী, ৬/২৫৩; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ৪/৭৩-৭৫; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ৩/২১২-২১৩ ও ৪/৫০)।

ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা ফারযে কিফায়াহ। কিছু মানুষ করলে সকলেই মুক্ত হয়ে যাবে, আর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কেউ না করলে সকলেই গুনাহগার হবে। তবে জান ও মালের ক্ষতির ভয় থাকলে হাত ও মুখ দিয়ে প্রতিবাদ করার হুকুম রহিত হয়ে যায়, তখন অন্তর থেকে ঘৃণা করা অপরিহার্য হয়ে যায় (শারহু ছহীহ মুসলিম, ২/২৩ ও ১২/২৩০ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : পারভেজ,  রাজশাহী।





প্রশ্ন (১৭) : যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াক্বি‘আহ পড়বে, সে কখনো অভাবের মধ্যে পড়বে না। ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে উক্ত সূরা পড়তে বলতেন (বায়হাক্বী হা/২৪৯৮; মিশকাত হা/২১৮১; ফাযায়েলে আমল, পৃঃ ২৭৫)। উক্ত বর্ণনা সনদ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রামাযানের শেষ দশকের বেজোড় কোন রাত যদি জুম‘আহ বারে পড়ে, তাহলে সে রাত্রি লাইলাতুল ক্বদর হওয়ার সম্ভাবনা অধিক’। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : অফিস চলাকালীন জামা‘আত ছুটে গেলে, পরবর্তীতে ছোট ছোট জামা‘আত হয়। এমন সময় যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলিয়ে পরে কিন্তু ছালাতে গুটিয়ে নেয়, এমন ব্যক্তি ইমামতিতে দাঁড়িয়ে গেলে সে জামা‘আতে অংশগ্রহণ করা কি ঠিক হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কোন মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর বিয়ে করার পূর্বে তার সাথে ঘুরতে যাওয়া বা হোটেলে খেতে যাওয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬): ছালাতের সাজদায় যাওয়ার সময় হাত আগে রাখতে হবে, না-কি হাঁটু আগে রাখতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ‘একই বিক্রয়ে দু’টি শর্ত বৈধ নয়’ (তিরমিযী, হা/১২৩৪) হাদীছের সঠিক ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : স্বামী থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী যদি অন্যজনের সাথে মেলা-মেশা করে, তাহলে ইসলামী শরী‘আতে তার বিধান কী হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জনৈক বক্তা বলেন, আলেমের সমাবেশে উপস্থিত হলে এক হাজার রাকা‘আত নফল ছালাত, এক হাজার রোগী দেখার ও এক হাজার জানাযায় শরীক হওয়ার ছওয়াব পাওয়া যায়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাড়িতে মেহেদী ব্যবহার করেছেন কি-না? দলীলসহ জানতে চাই। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ছালাত সঠিক হওয়ার পরেও ইমাম যদি সাহু সিজদা দেন তাহলে কি ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : হজ্জ বা ওমরা আদায় করার জন্য কাউকে দায়িত্ব প্রদান করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : প্রচলিত তাবলীগ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ