সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
উত্তর : নবী করীম (ﷺ) প্রত্যেক রামাযানে দশ দিনের ই‘তিকাফ করতেন। রাসূল (ﷺ) একুশের রাত্রী জাগরণের পর ফরয ছালাত শেষে নির্ধারিত তাঁবুতে প্রবেশ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০৪১)। যে বছর তিনি ইন্তিকাল করেন সে বছর তিনি ২০ দিন ই‘তিকাফ করেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০৪৪, ৪৯৯৮)। তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর স্ত্রীগণও সে দিনগুলোতে ই‘তিকাফ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০২৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৭১, ১১৭২)। অর্থাৎ ২য় হিজরীতে ছিয়াম ফরয হওয়ার পর থেকে ১১ হিজরীতে মৃত্যুবরণের পূর্ব পর্যন্ত ৯ বছর যাবৎ রাসূল (ﷺ) সকল রামাযানেই শেষ দশকে ই‘তিকাফ করেছেন। মৃত্যুর বছর জীবনের শেষ রামাযানে তিনি ২০ দিন ই‘তিকাফ করেন। শুধু এক বছর স্ত্রীদের উপর ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি ই‘তিকাফ করেননি। কিন্তু রামাযানের পরেই শাওয়াল মাসে তার ক্বাযা করেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০৪১, ২০৪৫, ২০৩৪)। জীবনের শেষ বছর বিশ দিন ই‘তিকাফ করার কয়েকটি কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, 
১- প্রতি রমাযানে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) একবার কুরআন শুনাতেন। কিন্তু যে বছর তিনি মারা যান সে বছর দু’বার কুরআন শুনানোর কারণে ২০ দিন ই‘তিকাফ করেন।
২- তিনি বেশি আমল করার মাধ্যমে আল্লাহর অধিক নৈকট্য লাভ করতে চেয়েছিলেন।
৩- কারো মতে, তিনি ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের সফরকালে ই‘তিকাফ করতে সক্ষম হননি। ফলে তার ক্বাযা স্বরূপ পরবর্তী রামাযানে তিনি ২০ দিন ই‘তিকাফ করেছিলেন (হাকীম, হা/১৬০২; ছহীহ ইবনু খুয়ায়মাহ, হা/২২২৬, সনদ ছহীহ)।

নবী করীম (ﷺ) ছোট আকৃতির তাঁবু পাতার নির্দেশ দিতেন। মসজিদে তার জন্য এটি পাতা হত (ছহীহ মুসলিম, (১১৬৭)। ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘এ সবকিছু করেছেন যাতে করে ই‘তিকাফের উদ্দেশ্য ও প্রাণ হাছিল হয়। এটি ছিল অজ্ঞ লোকেরা যা করে তথা ই‘তিকাফকে মেলামেশা ও সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সাক্ষাৎস্থল হিসাবে গ্রহণ করা এবং তাদের মাঝে খোশ আলাপ জুড়ে দেয়ার এ সবের সম্পূর্ণ বিপরীত। এ ধরণের ই‘তিকাফের একটি রূপ আর নবী করীমর (ﷺ)-এর ই‘তিকাফের আরেকটি রূপ’ (যাদুল মা‘আদ, ২/৯০ পৃ.)। তিনি সারাক্ষণ মসজিদে অবস্থান করতেন। শুধু প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হতেন না (ছহীহ বুখারী, হা/২০২৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৭)। ই‘তিকাফ অবস্থায় নবী করীম (ﷺ) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে চলতেন। তিনি আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর কামরার দিকে মাথা ঢুকিয়ে দিতেন। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) তাঁর মাথা ধুয়ে চিরুনি করে দিতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০২৮; ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৮)। এমনকি মাথা ধুয়েও দিতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩০১, ২০৩১; ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৭)।

নবী করীম (ﷺ) ইতিকাফে থাকাবস্থায় কোন রোগী দেখতে যেতেন না, কোন জানাযায় শরীক হতেন না। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, ‘ই‘তিকাফকারীর জন্য সুন্নত হল- রোগী দেখতে না যাওয়া, জানাযার ছালাতে না যাওয়া, কোন নারীকে স্পর্শ না করা ও মেলামেশা না করা এবং একান্ত যে প্রয়োজনে বের না হলে নয়; এমন প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়া’ (আবূ দাঊদ, হা/২৪৭৩, সনদ ছহীহ)। ‘কোন নারীকে স্পর্শ না করা ও মেলামেশা না করা’-এর দ্বারা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) সহবাস বুঝাতে চেয়েছেন (নাইলুল আওত্বার, ৪/৩৫৭ পৃ.)। অতএব নবী করীম (ﷺ)-এর ই‘তিকাফ ছিল সহজতা ও কাঠিন্যবিহীন। গোটা সময় ছিল আল্লাহর যিকির, তাঁর ইবাদত ও লাইলাতুল ক্বদরের সন্ধানে মশগুল (বিস্তারিত দ্র. : ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১২৬৫৮; যাদুল মা‘আদ, ২/৯০)।

প্রশ্নকারী : মেছবাহুল ইসলাম, নারায়গঞ্জ।





প্রশ্ন (৬) : আমি আমার এক বন্ধুকে ব্যবসা করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছি। শর্ত হল- এই টাকা দিয়ে সে ব্যবসা করবে, তার ব্যবসার মোট মূলধন ১০ লক্ষ এবং আমার ৫ লক্ষ মোট ১৫ লক্ষ টাকা। শর্ত হল- ব্যবসায়ে মাসে যা ইনকাম হবে তার তিন ভাগের দুই ভাগ পরিচালনা খরচ অর্থাৎ কর্মচারীর বেতন, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি বাবদ কর্তন হবে। বাকি তিন ভাগের এক ভাগ ১৫ লক্ষ টাকার আনুপাতিক হারে আমার ৫ লক্ষ টাকার মুনাফা পাব। যেমন মাসের লাভ হল ৪৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকা পরিচালনা খাত অর্থাৎ বেতন, ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি বাবদ। বাকি ১৫০০০ টাকার ভাগ হবে, তাহলে আমি পাব ৫০০০ টাকা। যেহেতু আমার মূলধন ৫ লক্ষ আর সে পাবে ১০০০০। যেহেতু তার মূলধন ১০ লক্ষ, প্রশ্ন হল- উক্ত পদ্ধতিতে ব্যবসা করা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : পিঁপড়া, আরশোলা, ছারপোকা ইত্যাদি হত্যা করা বৈধ কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : জানাযার ছালাতে ইমাম মুক্তাদী উভয় কি সূরা ফাতিহা, অন্য একটি সূরা, দরূদে ইবরাহীম ও জানাযার দু‘আ পড়তেই হবে, না-কি শুধু ইমাম পড়লেই হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : কুরআন যেমন আল্লাহর কালাম অনুরূপ হাদীছের ক্ষেত্রে আমাদের আক্বীদা কেমন হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : হালাল রিযিকের জন্য কোন্ কোন্ আমল করা উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৫) : ইসলামী শরী‘আতে ‘উকীল বাবা’-এর কোন বিধান আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : মৃত সন্তান জন্ম নিলে জানাযা পড়তে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মূর্তি পূজার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪২) : শ্বশুরকে ‘আব্বা’ ও শাশুড়িকে ‘মা’ বলে ডাকা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : যদি কারো ফজরের ছালাত ক্বাযা হয়ে যায় এমন অবস্থায় যোহরের ওয়াক্ত এসে যায়, তাহলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : কুরআনের কোন আয়াত ওযূ ছাড়া লেখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ছেলের নাম ‘আদনান ইকতিদার’ রাখা যাবে কি? পিতা-মাতার সাথে মিল রেখে নাম রাখা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ