মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

ইমাম মাহদী, দাজ্জাল ও ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর আগমন  সংশয় নিরসন

-হাসিবুর রহমান বুখারী*


(৯ম কিস্তি)

(আগস্ট’২২ সংখ্যার পর)

কারা দাজ্জালের অনুসারী হবে

অভিশপ্ত দাজ্জাল বানী আদমেরই একজন মানুষ। দাজ্জালের অনুসারীরাও হবে মানুষের মধ্য থেকেই। দাজ্জাল মানুষদের ঈমানহারা করবে। যে নিজেকে ‘ঈশ্বর’ বা ‘ঐশ্বরিক শক্তির অধিকারী ব্যক্তিত্ব’ বলে দাবি করবে এবং তার ঈশ্বরত্ব প্রমাণের জন্য বহু অলৌকিক কর্মকা- দেখাবে। অনেক মানুষ তাকে বিশ্বাস করে ঈমানহারা হবে। প্রকৃতপক্ষে তার সমস্ত কর্মকা-ই হবে ইন্দ্রজাল, ম্যাজিক ও জাদু কেন্দ্রিক। যার সবথেকে জোরালো প্রমাণ হল, সে নিজেই নিজের চোখ ঠিক করতে পারবে না। যদি সত্যিই সে ঈশ্বর বা ঐশ্বরিক শক্তির অধিকারী হত, তাহলে অবশ্যই সে দোষত্রুটি থেকে মুক্ত হত। দাজ্জালের অধিকাংশ অনুসারী হবে ইয়াহুদী, ইরানী পার্শিয়ান অগ্নিপূজক তুর্কী, অনারব, মঙ্গোলিয়া, তাতারী ও কিছু মিশ্রিত মানুষ, যাদের সিংহভাগই হবে বেদুঈন ও মহিলা। সে মানুষকে দুনিয়ায় অনেক প্রলোভন দেখাবে। যারা দাজ্জালের অনুসারী হবে বিশ্বনবী (ﷺ) তাদের পরিচয়ের বর্ণনা দিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কিছু কিছু খারেজী, মু‘তাযিলা ও জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায় বিরোধিতা করেছে। তারা তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং ছহীহ হাদীছগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে। অন্যদিকে জাবরিয়্যাহ সম্প্রদায় দাজ্জালের অস্তিত্বের সত্যতা মেনে নিলেও তার অলৌকিক ও অস্বাভাবিক কাজগুলোকে বলে যে, ওগুলোর কোন বাস্তবতা নেই। অথচ দাজ্জালের অস্তিতের সত্যতা সম্পর্কে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের নিকট দলীল রয়েছে যে, সে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি। তার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের পরীক্ষা করবেন। আল্লাহ তাকে অনেক বিষয়ে সাময়িক শক্তি দেবেন। অতঃপর যখন তাকে আল্লাহ অক্ষম করে দেবেন, তখন সে আর কাউকে হত্যা করতে বা বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হবে না। তার সমস্ত কর্ম বিফল হয়ে যাবে। অবশেষে ঈসা (আলাইহিস সালাম) তাকে হত্যা করবেন।[১]

শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘সেদিন অনেক দলের মানুষই প্রতারক দাজ্জালের অনুসরণ করবে। যথা :

(১) ইয়াহুদীরা

আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‏يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُوْدِ أَصْبَهَانَ سَبْعُوْنَ أَلْفًا عَلَيْهِمُ الطَّيَالِسَةُ ‘আছবাহান বা ইসফাহান-এর সত্তর হাজার ইয়াহুদী দাজ্জালের অনুসারী হবে, তাদের শরীরে (ত্বায়ালিসাহ) সবুজ অথবা কালো চাদর থাকবে’।[২] খুরাসান শহরের একটি অঞ্চলের নাম ইছফাহান। হাফিয ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, সর্বপ্রথম দাজ্জাল ইছফাহানের ‘ইয়াহুদিয়্যাহ’ নামক মহল্লা থেকে আবির্ভূত হবে।[৩] এ কথা সুনিশ্চিত যে, দাজ্জালের অধিকাংশ অনুসারী ইয়াহুদীরা হবে। কিন্তু কেন? অধিকাংশ অনুসারী ইয়াহুদীরাই কেন হবে? উত্তর হল, ইয়াহুদীরা বিশ্বাস পোষণ করে যে, শেষ যামানায় প্রতিক্ষিত দাজ্জাল এসে তাদেরকে মুক্ত করবে এবং সমস্ত দুঃখ-কষ্ট মোচন করে বিশ্বের শাসন ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে দেবে ইত্যাদি। তার নামকরণ করা হবে মাসীহ ইবনু দাঊদ নামে। যা তাদের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে প্রমাণিত হয়। প্রকৃতপক্ষে কিন্তু ইসলামী আক্বীদার সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেয়।

(২) কাফির ও মুনাফিক্বরা

আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,

لَيْسَ مِنْ بَلَدٍ إِلَّا سَيَطَؤُهُ الدَّجَّالُ إِلَّا مَكَّةَ وَالْمَدِيْنَةَ وَلَيْسَ نَقْبٌ مِنْ أَنْقَابِهَا إِلَّا عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ صَافِّيْنَ تَحْرُسُهَا فَيَنْزِلُ بِالسَّبَخَةِ فَتَرْجُفُ الْمَدِيْنَةُ ثَلَاثَ رَجَفَاتٍ يَخْرُجُ إِلَيْهِ مِنْهَا كُلُّ كَافِرٍ وَمُنَافِقٍ

‘গোটা পৃথিবীর সমগ্র শহরেই দাজ্জাল অনুপ্রবেশ করবে। তবে মক্কা এবং মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না। কেননা এই দুই শহরের প্রতিটি রাস্তাতেই ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে এর পাহারাদারীতে নিযুক্ত থাকবে। পরিশেষে দাজ্জাল মদীনার এক নিকটবর্তী স্থানে অবতরণ করবে। তখন মদীনাতে তিনবার ভূমিকম্প হবে। যার ফলে প্রত্যেক মুনাফিক্ব ও কাফির মদীনাহ হতে বের হয়ে তার কাছে চলে আসবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘অতঃপর হাম্মাদ ইবনু সালামাহ অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে এতে রয়েছে যে,

فَيَأْتِيْ سَبَخَةَ الْجُرُفِ فَيَضْرِبُ رِوَاقَهُ وَقَالَ فَيَخْرُجُ إِلَيْهِ كُلُّ مُنَافِقٍ وَمُنَافِقَةٍ

‘দাজ্জাল এসে ‘জুরুফ’ নামক এক জায়গার অনুর্বর ভূমিতে নামবে এবং এখানেই সে তার তাঁবু বা শিবির স্থাপন করবে। যার ফলে প্রত্যেক মুনাফিক্ব পুরুষ ও মহিলা তার কাছে চলে যাবে’।[৪]

(৩) তুর্কী, মঙ্গোলিয়া ও তাতারী সম্প্রদায় বা এমন জাতি, যাদের মুখম-ল হবে পিটানো চামড়ার ঢালের মত

১- আবূ বকর আস-ছিদ্দীক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

اَلدَّجَّالُ يَخْرُجُ مِنْ أَرْضٍ بِالْمَشْرِقِ يُقَالُ لَهَا خُرَاسَانُ يَتْبَعُهُ أَقْوَامٌ كَأَنَّ وُجُوْهَهُمْ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ. كتاب الفتن، باب مَا جَاءَ مِنْ أَيْنَ يَخْرُجُ الدَّجَّالُ

‘প্রাচ্যের ‘খোরাসান’ অঞ্চল হতে দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। এমন সব জাতি তার অনুসরণ করবে, যাদের মুখাবয়ব হবে স্তরবিশিষ্ট ঢালের মতো চ্যাপ্টা ও মাংসল’।[৫]

উপরিউক্ত হাদীছটি ঐ সমস্ত খারেজীদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক, যারা তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইইপ এরদোগানকে মুসলিম বিশ্বের খলীফা বানিয়ে তার নেতৃত্বে বিশ্ব জয় করার অবাস্তব স্বপ্নে বিভোর। অথচ ছহীহ হাদীছের মধ্যে ক্বিয়ামতের পূর্বে তুর্কীদের সঙ্গে যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। যেমন (১) ‘আমর ইবনু তাগলিব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের আলামতসমূহের একটি এই যে, তোমরা এমন এক জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, যারা পশমের জুতা পরিধান করবে। ক্বিয়ামতের আরো একটি আলামত এই যে, তোমরা এমন এক জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করবে, যাদের মুখম-ল হবে চওড়া, যেন পিটানো চামড়ার ঢাল।[৬]

২- আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

لَا تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوْا التُّرْكَ صِغَارَ الْأَعْيُنِ حُمْرَ الْوُجُوْهِ ذُلْفَ الْأُنُوفِ كَأَنَّ وُجُوْهَهُمْ الْمَجَانُّ الْمُطْرَقَةُ وَلَا تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتَّى تُقَاتِلُوْا قَوْمًا نِعَالُهُمْ الشَّعَرُ

‘ততদিন পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন পর্যন্ত তোমরা এমন তুর্ক জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ না করবে, যাদের চোখ ছোট, চেহারা লাল, নাক চেপ্টা এবং মুখম-ল পেটানো চামড়ার ঢালের মত। আর ততদিন পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন না তোমরা এমন এক জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করবে, যাদের জুতা হবে পশমের’।[৭]

(৪) আরবের অজ্ঞ, মূর্খ ও নির্বোধ বেদুঈন বা যাযাবররা

গ্রাম্য অশিক্ষিত লোকেরা মূর্খতার কারণে এবং দাজ্জালের পরিচয় সম্পর্কে তাদের জ্ঞান না থাকার কারণে দাজ্জালের অলৌকিক ক্ষমতা দেখে তারা ফিতনায় পড়বে। যেমন আবূ উমামাহ আল-বাহিলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) সুদীর্ঘ হাদীছের মধ্যে বলেন,

وَإِنَّ مِنْ فِتْنَتِهِ أَنْ يَقُوْلَ لِأَعْرَابِىٍّ أَرَأَيْتَ إِنْ بَعَثْتُ لَكَ أَبَاكَ وَأُمَّكَ أَتَشْهَدُ أَنِّىْ رَبُّكَ فَيَقُوْلُ نَعَمْ. فَيَتَمَثَّلُ لَهُ شَيْطَانَانِ فِىْ صُوْرَةِ أَبِيْهِ وَأُمِّهِ فَيَقُوْلَانِ يَا بُنَىَّ اتَّبِعْهُ فَإِنَّهُ رَبُّكَ

‘দাজ্জালের আরেকটি অনাসৃষ্টি এই যে, সে এক বেদুঈনকে বলবে, আমি যদি তোমার পিতা-মাতাকে তোমার সামনে জীবিত করে তুলতে পারি তবে কি তুমি এই সাক্ষ্য দিবে যে, নিশ্চয় আমি তোমার প্রতিপালক? সে বলবে, হ্যাঁ। তখন (দাজ্জালের নির্দেশে) দু’টি শয়তান তার পিতা-মাতার অবয়ব ধারণ করে উপস্থিত হবে এবং বলবে, হে আমার সন্তান! তার অনুগত্য কর। সে-ই তোমার রব’।[৮]

(৫) মহিলারা

ড. ইউসুফ আল-ওয়াবীল বলেন, ‘মহিলাদের অবস্থা বেদুঈনদের থেকেও ভয়াবহ হবে। কেননা তারা সহজেই যে কোন জিনিস দেখে প্রভাবিত হয়ে থাকে। মহিলারা খুব সহজেই মিথ্যুক কানা দাজ্জালের জাদু দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবে। যেমন নবী করীম (ﷺ) বলেন, ‘দাজ্জালের অধিকাংশ অনুসারী হবে মহিলারা’।[৯]

দাজ্জাল যাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে না

(১) সাধারণত দাজ্জাল ঈমানদারগণের কোন ক্ষতি করতে পারবে না

মূলত দাজ্জালকে প্রতিহত করার একটিই হাতিয়ার, আর সেটি হল ‘পূর্ণাঙ্গ ঈমান’। এ ছাড়া অত্যাধুনিক অস্ত্র, উন্নত সামরিক বাহিনী ও যথার্থ পূর্ব পরিকল্পনা কোন কিছুই কাজে লাগবে না। সেই জন্য দাজ্জালকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে নিজেকে পূর্ণাঙ্গ ঈমানদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করাই হবে প্রকৃত প্রস্তুতি ও বুদ্ধিমত্তা।

عَنِ الْمُغِيْرَةِ بْنِ شُعْبَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مَا سَأَلَ أَحَدٌ النَّبِيَّ ﷺ عَنِ الدَّجَّالِ أَكْثَرَ مِمَّا سَأَلْتُ قَالَ وَمَا يُنْصِبُكَ مِنْهُ إِنَّهُ لَا يَضُرُّكَ‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّهُمْ يَقُوْلُوْنَ إِنَّ مَعَهُ الطَّعَامَ وَالأَنْهَارَ قَالَ ‏ هُوَ أَهْوَنُ عَلَى اللهِ مِنْ ذَلِكَ‏.‏

মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, দাজ্জালের ব্যাপারে রাসূল (ﷺ)-কে আমার চেয়ে এত বেশি আর কেউ জিজ্ঞেস করেনি। তিনি বলেছেন, এর যা কিছু তোমার কাছে পীড়াদায়ক মনে হচ্ছে তা তোমার কোন ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম হবে না। জবাবে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! লোকেরা বলাবলি করছে যে, তার সাথে খাদ্য এবং পানির ঝর্ণা থাকবে। তখন নবী করীম (ﷺ) বললেন, এটা তো আল্লাহর কাছে তার চেয়েও অনেক সহজ।[১০]

(২) একদা নবী করীম (ﷺ) ছাহাবীদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় দেখে বললেন, ‘তোমাদের ব্যাপার কী? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনি সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে কখনো তার ব্যক্তিত্বকে তুচ্ছ করে তুলে ধরেছেন, আবার কখনো তার ব্যক্তিত্বকে বড় করে তুলে ধরেছেন। ফলে আমরা মনে করেছি যে, দাজ্জাল বুঝি এই বাগানের মধ্যেই বিদ্যমান। এ কথা শুনে তিনি বললেন, দাজ্জাল নয়, বরং আমি তোমাদের ব্যাপারে অন্য ফিতনার ভয় করছি। তবে শোন! আমি তোমাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকা অবস্থায় যদি দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হয় তবে আমি নিজেই তাকে প্রতিহত করব। তোমাদের প্রয়োজন হবে না। আর যদি আমি তোমাদের মাঝে না থাকাবস্থায় দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হয়, তবে প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তি নিজের পক্ষ হতে তাকে প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট হবে। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলাই হলেন আমার পক্ষ হতে তত্ত্বাবধানকারী বা স্থলাভিষিক্ত।[১১]

আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম উম্মাহকে দাজ্জাল ও তার সহযোগী ইয়াহুদীদের প্রতারণা, প্রলোভন এবং ফিতনা থেকে হেফাযত করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

(ইনশাআল্লাহ চলবে)

* মুর্শিদাবাদ, ভারত।

তথ্যসূত্র :
[১]. ফাৎহুল বারী, হা/৭১২২ নং হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
[২]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৩৪৪।
[৩].  আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, পৃ. ৫৯।
[৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৪৩; ছহীহুল জামি‘, হা/৭৮৭৫।
[৫]. তিরমিযী হা/২২৩৭ ‘কলহ-বিপর্যয়’ অধ্যায়, ‘দাজ্জাল কোথায় থেকে আবির্ভূত হবে?’ অনুচ্ছেদ; ইবনু মাজাহ, হা/৪০৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২, ৩৩; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫৯১।
[৬]. ছহীহ বুখারী, হা/২৯২৭।
[৭]. ছহীহ বুখারী, হা/২৯২৮, ২৯২৯, ৩৫৮৭, ৩৫৯০, ৩৫৯১; ছহীহ মুসলিম, হা/২৯১২; আবূ দাঊদ, হা/৪৩০৩, ৪৩০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭২৬৭।
[৮]. ইবনু মাজাহ, হা/৪০৭৭; আবূ দাঊদ, হা/৪৩২২; সনদ ছহীহ, ছহীহুল জামি‘, হা/৭৮৭৫।
[৯]. আশরাতুস সা‘আহ বা ক্বিয়ামতের আলামাত, পৃ. ৩১১-৩১৩; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১২৯১৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫৩৫৩, শু‘আবুল আরনাঊত্ব যঈফ বলেছেন। কিন্তু আলবানী ঢ় উক্ত হাদীছের সনদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক নামক রাবী ‘আন‘আন’ হওয়া সত্ত্বেও ‘হাসান’ বলেছেন, দ্র. : ক্বিছছাতুল মাসীহিদ দাজ্জাল, পৃ. ৮৮।
[১০]. ছহীহ বুখারী, হা/৭১২২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৩৯।
[১১]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৩৭; আবূ দাঊদ, হা/৪৩২১; তিরমিযী, হা/২২৪০; ইবনু মাজাহ, হা/৪০৭৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৬২৯।




প্রসঙ্গসমূহ »: ঈমান-আক্বীদা
যাকাত বণ্টনে সমস্যা ও সমাধান - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ভ্রান্ত ফের্কাসমূহের ঈমান বনাম আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ঈমান : একটি পর্যালোচনা - ড. আব্দুল্লাহিল কাফী বিন লুৎফর রহমান মাদানী
বিদ‘আত পরিচিতি (১১তম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
আল-কুরআন এক জীবন্ত মু‘জিযা - আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইউনুস
সুন্নাতের আলো বিদ‘আতের অন্ধকার (১০ম কিস্তি) - অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন
ইসলামে রোগ ও আরোগ্য (২য় কিস্তি) - মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী
নফল ছালাত - আল-ইখলাছ ডেস্ক
অল্পে তুষ্ট - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
ইসলামে দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশল - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
তাওহীদ প্রতিষ্ঠার উপায় (৪র্থ কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
আধুনিক যুগে দাওয়াতী কাজের পদ্ধতি (শেষ কিস্তি) - মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী
ইসলামে রোগ ও আরোগ্য (৩য় কিস্তি) - মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী

ফেসবুক পেজ