উত্তর : এভাবে ছালাত আদায় করাতে কোন সমস্যা নেই। যেহেতু নিয়ত ভাল, তাই জামা‘আতের নেকী পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘মানুষ অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে তার আমলনামায় তাই লেখা হয়, যা সে সুস্থ অবস্থায় বা বাড়ীতে থাকলে লেখা হত’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৯৯৬; মিশকাত, হা/১৫৪৪)। শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এ রকমভাবে কিছু লোকের ছালাত আদায় করতে যাওয়া আর প্রয়োজনে কিছু লোকের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা দোষনীয় নয়। যখন তাদের সাথীরা আসবেন তখন বাকিরাও ছালাত আদায় করবেন। যদি তারা সকলেই মসজিদে গমন করেন তাহলে কাজটা বন্ধ হয়ে যাবে, যেহেতু কাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফেলে রেখে বা বন্ধ করে যাওয়াটা উচিত হবে না। এক্ষেত্রে তারা নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যেই ছালাত আদায় করবেন। কেননা দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা অপরিহার্য, তার ক্ষতি করা জায়েয নয়। সম্ভব হলে একজন ইমামের পিছনে সমন্ত কর্মীরা ছালাত আদায় করবেন, আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে প্রত্যেক বিভাগের কর্মীরা আলাদা আলাদা জামা‘আত করবেন (লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, লিক্বা নং-১৪ ও ১৯)।
‘ইসলাম ওয়েব’-এর আলেমগণ বলেন, মালিক, কর্মনির্বাহী ব্যক্তিরা অনুমতি না দিলে শ্রমিকরা জামা‘আত ত্যাগ করতে পারেন’ (ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-১৩০৮৯৮)। শরী‘আতসম্মত কারণে বাড়িতে একাকী বা জামা‘আত সহকারে ছালাত আদায় করলেও ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাকে সৎ নিয়তের কারণে পূর্ণ ছাওয়াব প্রদান করবেন (আশ-শারহুল মুমতি‘, ৪র্থ খ-, পৃ. ৩২৩)। তবে যদি সম্ভব হয় এবং বড় কোন ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে, তাহলে আযানের পর জামা‘আতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবে এবং ফিরে এসে কাজে যোগদান করবে। কেননা একাকী ছালাত আদায় করা জায়েয নয়, বরং জামা‘আতের সঙ্গে ছালাত আদায় করা অপরিহার্য (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ্ দারব্, ইবনে বায অফিসিয়ালওয়েবসাইট : https://binbay.org.sa/fatwas/18256/)।
প্রশ্নকারী : যাকওয়ান, জামালপুর।