উত্তর : ‘দ্বীন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা’ বলতে বুঝায়, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিয়ে অথবা দ্বীনের কোন বিধি-বিধানকে ঠাট্টা করা ও ব্যঙ্গ করা। যেমন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে গালি দেয়া, ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করা, আল-কুরআন ও হাদীছ নিয়ে হাসি-তামাসা করা ইত্যাদি। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে তারা নিশ্চয় বলবে যে, ‘আমরা তো শুধু আলাপ-আলোচনা ও হাসি-তামাশা করছিলাম।’ আপনি বলে দিন, ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ এবং তঁঅর রাসূলকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছিলে?’ তোমরা এখন (বাজে) অজুহাত পেশ কর না, তোমরা তো নিজেদের ঈমান প্রকাশ করার পর কুফরী করেছ, যদিও আমি তোমাদের মধ্য হতে কতককে ক্ষমা করে দিই, তবুও কতককে শাস্তি দিব, কারণ তারা অপরাধী’ (সূরা আত-তওবাহ : ৬৫-৬৬)। এ প্রসঙ্গে সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘দ্বীনকে গালি দেয়া, কুরআন ও সুন্নাহর কোন অংশ নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা, অথবা যারা এর উপর আমল করে তাদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা যেমন, দাড়ি রাখা ও পর্দা করা নিয়ে তামাশা করা ইত্যাদি। এগুলো স্পষ্ট কুফরী। যদি সে জানার পরও তওবাহ না করে, তাহলে সে কাফির হিসাবে বিবেচিত হবে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৮৭)।
প্রশ্নকারী : আহসান, নীলফামারী।