শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
উত্তর : প্রথমতঃ কোন একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা সংক্রান্ত উদ্দেশ্যেই স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশ যাত্রা করেছে। সে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের প্রয়োজনে পার্টটাইম কাজও করে। আর তা যদি সরকার ও আইন বিরোধী কার্যকলাপ না হয়, সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি এখানে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়, তবে জায়েয নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّيْ ‘যে ব্যক্তি ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা করে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১-১০২)। ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘উলামায়ে কেরামের মতানুযায়ী প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি খুবই জঘন্য অপরাধ। তাঁরা বলেছেন, প্রতারণা হারাম’ (তিরমিযী, হা/১৩১৫)। আসলে ব্যবসা-বাণিজ্যেসহ সর্বক্ষেত্রেই প্রতারণা হারাম’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনে বায, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৩৯৭; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪)।

দ্বিতীয়তঃ আন্তর্জাতিক স্তরে আদান-প্রদানকৃত টাকার একটা অংশ সরকারী আয়কর বিভাগকে প্রদান করতে হয়। মূলত ঐ ট্যাক্স বা কর ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যেই হুন্ডি ব্যবস্থার উৎপত্তি হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উন্নয়নের এবং নানাবিধ কল্যাণসাধনের অভিপ্রায়ে হুন্ডি ব্যবস্থাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একজন আদর্শ মুসলিমের উচিত এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা। শায়খ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘আয়কর বিভাগের ট্যাক্স বা কর সংক্রান্ত আইন-কানুন ও রাষ্ট্রীয় বিধান মেনে চলা প্রত্যেক অধিবাসীর উপর অপরিহার্য। আর এ ব্যাপারে আমরা সকলেই নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট গ্রহণ করার সময় দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। অতএব যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারী বিধিনিষেধ শরী‘আতের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত সরকারী আইন মেনে চলা যরূরী। আর অঙ্গীকার ভঙ্গ করা জায়েয নয় (সূরা আল-মায়িদাহ : ১; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৫২৮১০)। উল্লেখ্য, যে সমস্ত দেশের সঙ্গে জাতীয় স্তরে অর্থ আদান-প্রদানের সুব্যবস্থা নেই এবং যাদের সরকার অতিরিক্ত ট্যাক্স বসিয়ে যুলুম করে, সেক্ষেত্রে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো জায়েয হতে পারে। কেননা আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর’ (সূরা আত-তাগাবূন : ১৬)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আল্লাহ কাউকেও তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করেন না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ  : ২৮৬)।

 
প্রশ্নকারী : আবু ছালেহ, জাপান।




প্রশ্ন (৩) : ইসলামী সম্মেলনকে লক্ষ্য করে যাকাত ও উশরের টাকা আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : কোমরে তাবীয ঝুলানো কি শিরক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : সম্মেলন, সমাবেশ, সভা-সমিতি, খতমে বুখারী ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান শেষে দলবদ্ধ মুনাজাত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : নাপাক অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করে তেলাওয়াত যাবে কি? বর্তমানে কম্পিউটার, মোবাইল, ভিডিও চিত্রের মাধ্যমেও কুরআন পড়ার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : জনৈক আলিম বলেন, ‘ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) মুসলিম জাতির পিতা নন। বরং সকলের জাতির পিতা আদম (আলাইহিস সালাম)। আবার কেউ কেউ বলেন, নবী-রাসূলগণের পিতা হচ্ছেন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : মিশনারী স্কুলে পড়ালেখা করা কি জায়েয? খ্রিস্টানদের চিহ্ন সম্বলিত ইউনিফর্ম পরিধান করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : ছালাতের মধ্যে ক্বিরাআত ছুটে গেলে কিংবা ভুল হলে সহো সিজদা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ছালাতে সিজদা থেকে উঠে দাঁড়ানোর পর যদি সন্দেহ হয় একটা সিজদা হয়েছে না-কি দু’টি সিজদা হয়েছে? এক্ষেত্রে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : মিশকাতের ২৯৯০ নং হাদীছ অনুযায়ী বুঝা যায় যে, কুরআন পড়িয়ে টাকা নেয়া হারাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অথবা ছাহাবীগণ কি কুরআন পড়িয়ে হাদিয়া নিতেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : মসজিদের পূর্ব, পশ্চিম এবং উত্তর দিকে কবর রয়েছে। মসজিদ ও কবরের মাঝে মসজিদের দেয়াল ছাড়া অন্য কোন দেয়াল নেই। মসজিদ কমিটিকে মসজিদ ও কবরের মাঝে প্রাচীর দেয়ার কথা বলেও কোন লাভ হয়নি। কমিটির অধিকাংশ সদস্য চরমোনাই ও ইলিয়াসী তাবলীগের সাথে জড়িত। এমন মসজিদে মাসিক চাঁদা দেয়া, ইমামের বেতনের জন্য টাকা দেয়া, দান করা কি জায়েয হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : সূদী ঋণ নিয়ে হজ্জ করলে হজ্জ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : টিভি, ফ্রিজ, এসি, রাইস কুকার, গান বাজানোর সাউন্ডবক্স, কম্পিউটার, ক্যামেরা, স্মার্ট মোবাইল ইত্যাদি সার্ভিসিং বা মেরামতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ