উত্তর : অধিকাংশ মানুষ এই রোগের শিকার। অথচ প্রত্যেক মুসলিমকে ইবাদতে একাগ্রতা আনয়ন করা ওয়াজিব (ইবনু তাইমিয়্যাহ, মাজমুঊল ফাতাওয়া, ২২তম খণ্ড, পৃ. ৫৫৩)। আর মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষ ও জিনকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য’ (সূরা আল-যারিয়াত : ৫৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, أَنْ تَعْبُدَ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ‘তুমি এমনভাবে ইবাদত কর, যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ। যদি এমনটি না হয়, তাহলে অন্তত এটা মনে কর যে, আল্লাহ তোমাকে দেখছে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫০; ছহীহ মুসলিম, হা/৮; মিশকাত, হা/২)। সুতরাং ইবাদত হতে হবে একাগ্রতা ও বিনয়-নম্রতার সাথে। ইবাদতে মন না বসার কিছু কারণ রয়েছে। যেমন (ক) লোক দেখানো বা জনশ্রুতির জন্য ইবাদত করা। এক কথায় খুলূছিয়্যাতের ত্রুটি (সূরা আল-কাহ্ফ ১১০; সূরা আল-বাইয়েনাহ : ৫; ছহীহ মুসলিম হা/২৫৬৪, ২/৩১৭ পৃ.)। (খ) ইবাদত রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পদ্ধতিতে না হওয়া (ছহীহ বুখারী, হা/৬৩১; মিশকাত, হা/৬৮৩; তাফসীর ইবনু কাছীর, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩০৮)। (গ) হারাম রুযী ভক্ষণ করা (ছহীহ মুসলিম হা/১০১৫, ১/৩২৬ পৃ.; মিশকাত হা/২৭৬০, পৃ. ২৪১)। তবে নিম্নোক্ত পন্থাগুলো অনুসরণ করলে ইবাদতে মনোযোগ সৃষ্টি হতে পারে ইনশাআল্লাহ। যেমন, (১) পঠিতব্য দু‘আ বা যিকিরগুলো অর্থ বুঝে ধীরস্থিরভাবে পাঠ করা। (২) যেকোন মূল্যে প্রতিদিন কুরআন তেলাওয়াত করা। (৩) অধিকহারে মৃত্যুকে স্মরণ করা। (৪) প্রত্যেক ইবাদতকেই ইবাদত হিসাবে মূল্যায়ন করা। (৫) পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করা। (৬) কোনভাবেই রাগ না করা। (৭) সর্বদা সৎ মানুষের সাথে অবস্থান করা। (৮) বেশী বেশী ইস্তেগফার করা। (৯) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি দরূদ পড়া এবং (১০) স্বজ্ঞানে যেকোন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা।
প্রশ্নকারী : আলী আলম, সিরাজগঞ্জ।