উত্তর : ছালাত পরিত্যাগকারীর জন্য মহান আল্লাহ ও রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তাদের পর আসল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা ছালাত নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করল। সুতরাং তারা অচিরেই ধ্বংসে (জাহান্নামের গভীরে) পতিত হবে’ (সূরা মারইয়াম : ৫৯)। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন, ‘অপরাধীদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমাদের কিসে সাক্বার নামক জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা ছালাত আদায়কারী ছিলাম না’ (সূরা আল-মুদ্দাছ্ছির : ৪১-৪৩)।
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুসলিম হিসাবে আগামী কাল আল্লাহ্র সাথে মুলাক্বাত করে আনন্দিত হতে চায় সে যেন পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত যথাযথভাবে আদায় করে। যেখানেই উক্ত ছালাতের আযান দেয়া হোক’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৫৪, ১/২৩২ পৃ,, (ইফাব হা/১৩৬১); মিশকাত, হা/১০৭২, পৃ. ৯৭)। অন্য হাদীছে আরো কঠিন বক্তব্য এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, إِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكَ الصَّلَاةِ ‘নিশ্চয় কোন ব্যক্তি আর মুশরিক ও কাফেরের মাঝে পার্থক্য হল, ছালাত পরিত্যাগ করা’ (ছহীহ মুসলিম হা/৮২, ১/৬১ পৃ., (ইফাবা হা/১৪৯ ও ১৫০))।
অন্যত্র তিনি বলেছেন, اَلْعَهْدُ الَّذِيْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ الصَّلَاةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ ‘আমাদের ও তাদের (কাফের, মুশরিক ও মুনাফিক) মধ্যে যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা হল ছালাত। সুতরাং যে ব্যক্তি ছালাত ছেড়ে দিবে, সে কুফুরী করবে’ (তিরমিযী, হা/২৬২১, ২/৯০ পৃ.; মিশকাত, হা/৫৭৪, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ছালাত ছেড়ে দিবে সে শিরক করবে’ (ইবনু মাজাহ, হা/১০৮০, সনদ ছহীহ)।
অতএব যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করবে না, সে নিঃসন্দেহে কুফুরী করবে। অলসতা ও অবহেলায় কোন মুসলিম নামধারী যদি ছালাত আদায় না করে তাহলে উক্ত অপরাধের কারণে জাহান্নামে যাবে। শাস্তি ভোগ করার পর আল্লাহ্র দয়ায় কালেমা ত্বাইয়েবার বরকতে মুক্তি পাবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে (ইবনু মাজাহ হা/৬০, পৃ. ৭, সনদ ছহীহ)। কিন্তু কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত ছেড়ে দিলে বা অস্বীকার করলে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে (শায়খ আলবানী, হুকমু তারিকিছ ছালাহ, পৃৃ. ৬)।
প্রশ্নকারী : জহুরুল ইসলাম, পাবনা।