সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন

প্রচলিত তাবলীগ জামা‘আত সম্পর্কে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের অবস্থান

-মূল : আব্দুল আযীয ইবনু রাইস আল-রাইস
-অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক্ব বিন আব্দুল ক্বাদির*


(৩য় কিস্তি)

শায়খ সাইফুর রহমান মুহাম্মাদ ইলিয়াস সম্পর্কে বলেন,

هو الحنفي مذهبا والصوفي مشربا قليل البضاعة العلمية عير شهير فيها لكن كان قوي الحماس للدعوة الى الدين الإسلامي-بل إلى الدين الصوفي-وإلى المسلك التصوفي الطرقي

‘তিনি মাযহাবে হানাফী, ছূফী ঘেঁসা, জ্ঞান কম ছিল এবং বিদ্যায় প্রসিদ্ধ ছিলেন না। তবে দ্বীনে ইসলাম বরং ছূফী মতবাদ এবং ছূফী পন্থা অবলম্বন করার দিকে আহ্বানের জন্য তিনি অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন’।[১]  

এই সকল সম্মানিত ব্যক্তির কথার মাঝে আরব উপদ্বীপে বিদ্যমান তাবলীগ অনুসারীদের প্রতিবাদ রয়েছে। যারা মনে করে যে, মুহাম্মাদ ইলিয়াস একজন সালাফী দাঈ ছিলেন, তিনি তাওহীদুল উলূহিয়্যার দিকে ও আল্লাহর সাথে শিরক বর্জনের দিকে আহ্বান করতেন। সুতরাং লক্ষ্য করুন- মানুষের বিবেক নিয়ে খেলা করা, দোষ-ত্রুটি গোপন করা ও মিথ্যার কোন্ পর্যায়ে পৌঁছেছে!

হে মুমিন ভাতৃগণ! এমন কোন তাওহীদপন্থী সালাফী ব্যক্তি কি পাওয়া যাবে, যিনি শিরক ও বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্তকারী ‘তাবলীগী নিসাব’ নামক কিতাবটি সমর্থন করবে? এমন কোন সালাফী ব্যক্তি কি পাওয়া সম্ভব, যিনি ছূফী তরীকার উপর বাই‘য়াত করবেন? তার পরবর্তীতে তার অনুসারীগণ এমনিই হয়ে থাকে। যেমনভাবে জামা‘আতের বর্তমান আমীর এনামুল হাসান শাইখ সা‘দ আল-হুসাইনের জন্য যে পত্রটি লিখেছিলেন, তার মাঝে সেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ব্যাপারটি কি এমন নয় যে, তিনি যদি সালাফী দাঈ হতেন তাহলে আপনি বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তার অনুসারীদেরকে সালাফী আহ্বানকারী হিসাবে দেখতে পেতেন। অতঃপর আল্লাহর কসম! তিনি যদি সালাফী দাঈ ও শিরক বর্জনকারী হতেন, তাহলে তার সমর্থক ও বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সংবাদ ছড়িয়ে যেত। সুতরাং সেটা কোথায় হচ্ছে? এবং কেন তার মুখপাত্ররা তার থেকে এই বিষয়টি উল্লেখ করেনি?  

হে বুদ্ধিমান বন্ধুগণ! এই হল জামা‘আতে তাবলীগের প্রতিষ্ঠাতার অবস্থা। সুতরাং এই জামা‘আত থেকে কি আশা করা যেতে পারে।

আরব উপদ্বীপে অবস্থিত তাবলীগ অনুসারীদের প্রসঙ্গে একটি সংশয় ও তার জবাব

মানুষের মধ্য থেকে অনেক সম্প্রদায় একটি সংশয় প্রচার করে থাকে। আর তা হল যে, পূর্বে আলোচনা অতিবাহিত হল তা শুধু হিন্দুস্থান ও পাকিস্তানে অবস্থিত তাবলীগ অনুসারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে আরব উপদ্বীপ ও আরব দেশগুলোতে অবস্থিত তাবলীগের অনুসারীগণ সালাফী আক্বীদার অনুসারী। সুতরাং তাদের উপর এই সাবধানবাণী প্রয়োগ হবে না। তারা কল্যাণের উপরেই রয়েছেন। এই সংশয়টি সত্য ও অসত্য দু’টি বিষয়কেই অন্তর্ভুক্ত করেছে।

অতঃপর বলা যায় এই সকল ব্যক্তি ঐ সকল ব্যক্তির মত নয়। কারণ তারা সালাফী ছহীহ আক্বীদার উপর রয়েছেন। যিনি বাস্তবেই এইরূপ হবেন তার ক্ষেত্রেই ইহা সঠিক বলে গণ্য হবে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, তারা দা‘ওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে বিদ‘আতী পন্থার উপর নেই। আরো ব্যাপার হল যে, তাদের মধ্য থেকে এই তাবলীগীদের সাথে  চলমান সম্পর্কের ব্যক্তিটি শিরকের প্রতিবাদ না করার উপর তাদের সাথে একমত পোষণ করেন। কারণ মুনকার যাই হোক না কেন মুনকারের প্রতিবাদ না করাই হল তাদের মূলনীতির শামীল। বরং শিরকে নিমজ্জিত বিদ‘আতপন্থী হিন্দুস্থান ও পাকিস্থানী তাবলীগীদের তিনি বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেন। কেননা তারা তার দলের লোক, তিনি তাদের বাৎসরিক ইজতেমায় উপস্থিত হন এবং এই গোমরাহী পন্থার উপর দা‘ওয়াতের জন্য তিনি তাদের সাথে বের হন। সুতরাং এই কারণে তারা মহা বিপদে রয়েছেন এবং তারা সঠিক পথের উপর নেই। তাদের সবার উপর উক্ত জামা‘আতকে বর্জন করা ও নিজেদেরকে তার দিকে সম্বন্ধ করা হতে দয়াময় রবের নিকট তাওবা করা আবশ্যক। এ কারণে যে, উক্ত জামা‘আতটি বেশ কিছু দিক থেকে শরী‘আত বিরোধী। যেমন,

১). হিন্দুস্থানী ও অন্যান্য (দেশের) তাবলীগের অনুসারীরা বিদ‘আতী বলে গণ্য। সুতরাং তাদের থেকে মুক্ত হওয়া, তাদের তরীকার চালচলন হতে সাবধান করা, তাদের দিকে নিজেকে সম্বন্ধ না করা ও তাদের পক্ষে সমর্থন না করা আবশ্যক। আরব উপদ্বীপে অবস্থিত তাবলীগ অনুসারীগণের অবস্থা এমনটিই লক্ষ্য করা যায়।

শায়খ হামূদ আত-তুয়াজরী বলেন, প্রশ্নকারীর উক্তি হল যে, আমি তাকে সঊদীর ভিতরে অথবা তার বাহিরে তাবলীগ অনুসারীদের সাথে বের হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি কি না? তার জবাবে আমি বলব যে,

 إني أنصح السائل وأنصح غيره من الذين يحرصون على سلامة دينهم من أدناس الشرك والغلو والبدع والخرافات ألا ينضموا إلى التبليغين، ولا يخرجوا معهم أبدا، وسواء كان ذلك في البلاد السعودية أو جارجها، لأن أهون ما يقال في التبليغين أنهم أهل بدعة وضلالة وجهالة في عقائدهم وفي سلوكهم،  ومن كانوا بهذه الصفة الذميمة، فلا شك أن السلامة في مجانبتهم والبعد عنهم

‘আমি প্রশ্নকারীসহ ঐ সকল ব্যক্তিকে পরামর্শ দিচ্ছি যারা নিজেদের দ্বীনকে শিরক, সীমালঙ্ঘন, বিদ‘আত ও বিভিন্ন কুসংস্কার থেকে রক্ষা করতে আগ্রহী, তারা যেন তাবলীগীদের সাথে যুক্ত না হয় এবং তাদের সাথে কখনো বের না হয়। হোক সেটা সঊদীর ভিতরে বা বাহিরে। কেননা তাবলীগীদের ব্যাপারে সবচেয়ে সহজ কথা হল, তারা আক্বীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে বিদ‘আতী, গোমরাহী এবং জাহালাত পন্থী। যারা এই নিন্দনীয় গুণে গুণান্বিত, নিঃসন্দেহে তাদের থেকে দূরে থাকার মাঝেই রয়েছে নিরাপত্তা’। তিনি আরো বলেন,  

وقد كان السلف الصالح يحذرون من أهل البدع، ويبالغون في التحذير منهم، وينهون عن مجالستهم ومصاحبتهم وسماع كلامهم، ويأمرون بمجانبتهم ومعاداتهم وبغضهم وهجرهم

‘পূর্ববর্তী সৎ ব্যক্তিগণ বিদ‘আতীদের থেকে সাবধান ও সতর্ক করতেন। তাদের সাথে বসা, সঙ্গ দেয়া ও তাদের কথা শ্রবণ করা হতে নিষেধ করতেন। তাদের থেকে দূরে থাকত, তাদের বিরোধিতা করতে, তাদের ঘৃণা করতে এবং তাদের পরিত্যাগ করতে নির্দেশ দিতেন’।

শায়খ ইসমাঈল বিন আব্দুর রহমান আছ-ছাবূনী আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের আক্বীদা সম্পর্কে বলেন,

ويجانبون أهل البدع والضلالات، ويعادون أصحاب الأهواء والجهالات. ويبغضون أهل البدع الذين أحدثوا في الدين ما ليس منه، ولا يحبونهم ولا يصحبونهم، ولا يسمعون كلامهم، ولا يجالسونهم ولا يجادلونهم في الدين، ولا يناظرونهم ويرون صون آذانهم عن سماع أباطيلهم التي إذا مرت بالآذان وقرت في القلوب ضرت، وجرت إليها الوساوس والخطرات الفاسدة

‘তারা বিদ‘আতী ও ভ্রষ্ট লোকদের থেকে দূরে থাকেন। অজ্ঞ ও প্রবৃত্তির অনুসারীদের সাথে শত্রুতা করেন। বিদ‘আতীদের ঘৃণা করেন, যারা দ্বীনের মাঝে এমন নতুন কিছু তৈরি করে যা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা তাদের ভালবাসেন না, তাদের সাথে থাকেন না, তাদের কথা শ্রবণ করেন না, তাদের সাথে বসেন না, তাদের সাথে দ্বীনের ব্যাপারে বিতর্ক করেন না। এবং তারা নিজেদের কানকে তাদের ঐ সকল বাতিল বিষয় শ্রবণ করা হতে সংরক্ষণ করতে চান যেগুলো কানে আসলে ও মনে স্থীর হলে ক্ষতিকর হবে এবং কুমন্ত্রণা ও বাজে চিন্তা তার দিকে ধাবিত হবে’।[২] তিনি আরো বলেন,  

واتفقوا مع ذلك على القول بقهر أهل البدع، وإذلالهم وإخزائهم وابعادهم واقصائهم، والتباعد منهم ومن مصاحبتهم ومعاشرتهم، والتقرب إلى الله عز وجل بمجانبتهم ومهاجرتهم

‘আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত উহার পাশাপাশি বিদ‘আতপন্থীদের দমন করা, তাদের অসম্মান করা, তাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখা, তাদের থেকে ফাঁকে থাকা, তাদের সাথে সঙ্গ দেয়া ও বন্ধুত্ব করা হতে দূরে থাকতে হবে এই কথার উপর একমত পোষণ করেছেন’।[৩]  

২). নিজেদেরকে সালাফী আক্বীদার সম্বন্ধকারী এই তাবলীগ অনুসারীগণ আল্লাহর দিকে আহ্বান করার ক্ষেত্রে ঐ সকল বিদ‘আতপন্থীর সাদৃশ্য অবলম্বন করেন। ইমাম আহমাদ ও আবূ দাঊদ আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদেরই দলভুক্ত’।[৪]  

এটা একটি ব্যাপক অর্থবোধক দলীল, যা সকল জাতিকে শামীল করবে এমনকি বিদ‘আতীকেও। বিদ্যানদের মাঝে একদল[৫] এই হাদীছটি ব্যাপক অর্থে ফাসেক সম্প্রদায়কেও বুঝিয়েছেন। সুতরাং তাদের চেয়ে কঠিন ও বেশী বিপথগামী বিদ‘আতপন্থীকেও শামীল করবে। তাতে কোন সন্দেহ নেই।[৬]  

৩). তাবলীগীদের নিকট যে সকল শিরকী বিষয় আছে সেগুলো থেকে তারা মুক্ত থাকলেও তারা অন্যান্য বিদ‘আতী বিষয় থেকে ও অজ্ঞতার সাথে দা‘ওয়াত দেয়া থেকে মুক্ত নয়। প্রত্যেক দুরদর্শী ব্যক্তির জন্য দৃশ্যমান বিষয় হল যে, তাদের বেশীর ভাগ ব্যক্তিই মূর্খ। যাদের কোন জ্ঞানের আগ্রহ নেই। বরং সমাবেশে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এমন কিছু কিচ্ছা-কাহিনী ও উদাহরণ বর্ণনা করা। সেগুলো সঠিক না বেঠিক আল্লাহই ভাল জানেন। এই বিষয়টি তাদের ব্যাপারে এতটাই প্রসিদ্ধ যে, তার দলীল প্রমাণ পেশ করার প্রয়োজন নেই। শরী‘আত সম্পর্কে তাদের এই মূর্খতা তাদের জন্য বহু নিন্দনীয় বিষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন- বিদ‘আতে পতিত হওয়া, দুর্বল হাদীছসমূহ বর্ণনা করা বরং ধারণবশত কিছু কথা নিশ্চিত না হয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্বন্ধ করা, ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের সাথে উঠাবসা করা ও তাদের মন্দ কাজের প্রতিবাদ না করা।[৭]

৪). হিন্দুস্থান ও পাকিস্থানের তাবলীগীরা যে বিষয়ে পতিত হয়েছে তারাও তাতে পতিত হয়েছেন। অর্থাৎ আল্লাহর দিকে দা‘ওয়াত দেয়ার জন্য মূর্খদের সাথে বের হওয়া। আর পূর্বেই আলোচনা হয়ে গেছে যে, ইহা একটি বিদ‘আতের শামীল। আর যে ব্যক্তি বস্তুর মালিক নয় সে তা অন্যকে দিতে পারে না। অর্থাৎ যার কাছে ইলম নেই সে অন্যকে শিক্ষা দিবে কি করে?

৫). তাবলীগ অনুসারীদেরকে দলে-উপদলে পরিণত করার পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। কারণ তারা নিজেদের জন্য এমন একটি নতুন নাম গ্রহণ করেছে যা অতীত সালাফীগণের পথ অনুসরণকারী অন্যান্য মুসলিমদের থেকে তাদেরকে পৃথক করে দেয় এবং এটি সবার জানা বিষয় যে, নতুন নামের কারণে মুসলিমদের বিভক্তি করতে ও তাদের মাঝে ঝগড়া-কলহ তৈরি করতে বহু প্রভাব পড়ে। তারা তাদের সাথীদেরকে ‘সাথী বন্ধু’ এবং তাদের দারস ‘বয়ান’ নামে আখ্যা দিয়ে থাকে। শরী‘আতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এই যে, যে কোন বিষয় মুসলিমদেরকে বিভক্ত করে এবং তাদেরকে দলে দলে পরিণত করে তা হারাম বলে গণ্য হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ لَا تَکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ- مِنَ الَّذِیۡنَ فَرَّقُوۡا دِیۡنَہُمۡ  وَ کَانُوۡا شِیَعًا  کُلُّ  حِزۡبٍۭ بِمَا لَدَیۡہِمۡ فَرِحُوۡنَ

‘আর তোমরা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত’ (সূরা আর-রূম : ৩১-৩২)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَ اعۡتَصِمُوۡا بِحَبۡلِ اللّٰہِ جَمِیۡعًا وَّ لَا تَفَرَّقُوۡا

‘আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না’ (সূরা আলে ‘ইমরান : ১০৩)।

শায়খ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উসায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,

ليس في الكتاب ولا السنة ما يبيح تعدد الجماعات والأحزاب، بل في الكتاب والسنة ما يذم ذلك، ثم بين خطأ قول القائل لا يمكن للدعوة أن تقوى وتنشر إلا إذا كانت تحت حزب

‘কুরআন ও হাদীছের মাঝে এমন কোন বিষয় নেই যা একাধিক দল বা সংগঠন হওয়ার বৈধতা দেয়। বরং কুরআন ও হাদীছে এটাকে নিন্দা করেছে। অতঃপর তিনি উক্তিকারকের এই উক্তিটি তথা ‘দা‘ওয়াত কোন সংগঠনের অধীনে না হওয়া পর্যন্ত তা শক্তিশালী ও প্রসার লাভ করা সম্ভব নয় এই কথাটি ভুল বলে তার ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন’।[৮]

 (ইনশাআল্লাহ চলবে)

* মুহাদ্দিছ, দারুল হুদা ইসলামী কমপ্লেক্স, বাউসা হেদাতীপাড়া, বাঘা, রাজশাহী।

তথ্যসূত্র : 
[১]. নাযরাতুন ‘আবিরাতুন ই‘তিবারিয়্যাতুন হাওলু জামা‘আতিত তাবলীগ, পৃ. ৭-৮; জামা‘আতুত তাবলীগ ফী শিবহিল ক্বাররাতিল হিনদিয়্যাতি, পৃ. ১৯, ২১।
[২]. আবূ ওছমান ইসমাঈল ইবনু আব্দুর রহমান আছ-ছাবূনী, ‘আক্বীদাতুস সালাফ আছহাবুল হাদীছ, পৃ. ৩৪।
[৩]. ‘আক্বীদাতুস সালাফ আছহাবুল হাদীছ, পৃ. ৩৯; আল-কাওলুল বালীগ, পৃ. ৩০-৩২; ড. আহমাদ আব্দুল কারীম নাজীব, আল-বারাআতু মিনাল বিদঈ ওয়া আহলিহা মিন উছূলি আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত, পৃ. ৭।
[৪]. আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫১১৪, সনদ হাসান ছহীহ; মিশকাত, হা/৪৩৪৭।
[৫]. তারা হলেন, ইমাম কুরতুবী, ছান‘আনী এবং নববী (রাহিমাহুল্লাহ) ।
[৬]. রাওযাতুত তালেবীন, ৮ম খণ্ড, পৃ. ২০৬; সুবুলস সালাম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২৩৮।
[৭]. আল-কাওলুল বালীগ, পৃ. ১৩-১৫, ২৭৫।
[৮]. কিতাবুছ ছাহওয়াতিল ইসলামিয়্যাহ যাওয়াবিত ওয়া তাওজীহাত, পৃ. ১৫৪-১৫৫।




ফাযায়েলে কুরআন (৪র্থ কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ১১ রাক‘আতের নির্দেশ দিয়েছিলেন - ব্রাদার রাহুল হোসেন (রুহুল আমিন)
আল-কুরআনে বর্ণিত জাহেলি সমাজের দশটি চিত্র - তানযীল আহমাদ
জঙ্গিবাদ বনাম ইসলাম - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
সুন্নাতের রূপরেখা (শেষ কিস্তি) - মাইনুল ইসলাম মঈন
সূদ-ঘুষ ও অবৈধ ব্যবসা (শেষ কিস্তি) - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
ক্রোধের ভয়াবহতা ও তার শারঈ চিকিৎসা (শেষ কিস্তি) - হাসিবুর রহমান বুখারী
বাউল মতবাদ (শেষ কিস্তি) - গোলাম রহমান
তাক্বওয়াই মুক্তির সোপান - আব্দুর রশীদ
মাদক : সুশীল সমাজ ধ্বংসের অন্যতম হাতিয়ার - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
মাতুরীদী মতবাদ ও তাদের ভ্রান্ত আক্বীদাসমূহ (২২তম কিস্তি) - আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম
শরী‘আত অনুসরণের মূলনীতি (৪র্থ কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন

ফেসবুক পেজ