ইসলামের দৃষ্টিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা
-মুহাম্মাদ আযীযুর রহমান*
(২য় কিস্তি)
(৬) বদর-ওহুদ সহ বিভিন্ন যুদ্ধে মহিলা ছাহাবীগণ আহত মুসলিম সৈন্যদের সেবা-শুশ্রুষা করতেন। হাদীছে এসেছে,
عَنْ رُبَيِّعَ بِنْتِ مُعَوِّذٍ ابْنِ عَفْرَاءَ قَالَتْ كُنَّا نَغْزُوْ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَسْقِى الْقَوْمَ وَنَخْدُمُهُمْ وَنَرُدُّ الْقَتْلَى وَالْجَرْحَى إِلَى الْمَدِيْنَةِ
রুবায়ঈ বিনতে মু‘আওয়ায ইবনু ‘আফরা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিতাম। তখন আমরা লোকজনকে পানি পান করাতাম, তাদের সেবা-শুশ্রুষা করতাম এবং নিহত ও আহতদের মদীনায় নিয়ে যেতাম।[১]
আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَغْزُوْ بِأُمِّ سُلَيْمٍ وَنِسْوَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ مَعَهُ إِذَا غَزَا يَسْقِيْنَ الْمَاءَ وَيُدَاوِيْنَ الْجَرْحَى
‘রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই কোন যুদ্ধ অভিযানে যেতেন, তখন উম্মু সুলাইম ও অন্যান্য আনছারী মহিলাদেরকে সঙ্গে নিতেন। এই সমস্ত মহিলারা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পানি পান করাত এবং আহতদের সেবা-যত্ন করত’।[২]
উম্মু ‘আতিয়্যা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
غَزَوْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ أَخْلُفُهُمْ فِيْ رِحَالِهِمْ فَأَصْنَعُ لَهُمُ الطَّعَامَ وَأُدَاوِي الْجَرْحَى وَأَقُوْمُ عَلَى الْمَرْضَى
‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। মুজাহিদগণ ময়দানে যুদ্ধে লিপ্ত থাকতেন আর আমি তাদের পশ্চাতে তাঁবুতে থেকে তাদের খানাপিনা তৈরি করতাম, আহতদের ঔষধ-পথ্য সরবরাহ করতম এবং রোগীদের সেবা যত্ন করতাম’।[৩] তবে প্রয়োজনে পুরুষ চিকিৎসক দ্বারা মহিলাদের চিকিৎসা করা যাবে।[৪] এক্ষেত্রে একজন মাহরাম পুরুষ সাথে থাকা যরূরী।[৫]
(৭) বদনযরে আক্রান্ত হলে ইসলামী শরী‘আতে তার চিকিৎসা রয়েছে। যেমন- হাদীছে বর্ণিত দু‘আগুলো পাঠ করে আক্রান্ত রোগীর উপর ঝাড়ফুঁক করতে হবে। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, لَا رُقْيَةَ إِلَّا مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ ‘বদনযর এবং বিচ্ছুর বিষ নামানোর ঝাঁড়-ফুঁক ব্যতীত কোন ঝাড়ফুঁক নেই’।[৬]
একদা জিবরীল (আলাইহিস সালাম) নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আগমন করে বললেন, হে মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি অসুস্থবোধ করছেন? নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন,
بِسْمِ اللهِ أَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيْكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللهُ يَشْفِيْكَ بِسْمِ اللهِ أَرْقِيْكَ
‘আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়ফুঁক করছি প্রতিটি এমন জিনিস হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয় এবং প্রত্যেক জীবের অমঙ্গল হতে ও হিংসুকের বদনযর হতে। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি’।[৭]
উল্লেখ্য, যার বদনযর লাগছে বলে সন্দেহ করা হয়, তাকে গোসল করিয়ে গোসলের পানি রোগীর শরীরে ঢালতে হবে। যেভাবে নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমের বিন রবী‘আকে গোসল করতে বলেছিলেন।[৮] তবে সন্দেহযুক্ত ব্যক্তির পেশাব-পায়খানা বা অন্য কোন কিছু দিয়ে চিকিৎসা করার কোন দলীল নেই। অনুরূপভাবে তার উচ্ছিষ্ট বা ওযূর পানি ইত্যাদি ব্যবহার করাও ভিত্তিহীন। হাদীছে যা পাওয়া যায় তা হল- তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং লুঙ্গির নীচের অংশ ধৌত করা এবং সম্ভবতঃ মাথার টুপি, পাগড়ী বা পরিধেয় কাপড়ের নীচের অংশ ধৌত করা এবং তা শরীরে ঢালাও বৈধতার অন্তর্ভুক্ত হবে।[৯]
(৮) শাদ্দাদ বিন আউস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) একদা জনৈক রোগীকে দেখতে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, কেমন আছেন? তিনি বললেন, আল্লাহর অনুগ্রহের সাথে প্রভাত করেছি। একথায় খুশি হয়ে শাদ্দাদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাকে হাদীছ শুনিয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُوْلُ إِنِّىْ إِذَا ابْتَلَيْتُ عَبْدًا مِنْ عِبَادِى مُؤْمِنًا فَحَمِدَنِىْ عَلَى مَا ابْتَلَيْتُهُ فَإِنَّهُ يَقُوْمُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ مِنَ الْخَطَايَا وَيَقُوْلُ الرَبُّ عَزَّ وَجَلَّ أَنَا قَيَّدْتُ عَبْدِىْ وَابْتَلَيْتُهُ وَأَجْرُوْا لَهُ كَمَا كُنْتُمْ تُجْرُوْنَ لَهُ وَهُوَ صَحِيْحٌ
‘আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, যখন আমি আমার কোন মুমিন বান্দাকে বিপদে ফেলে পরীক্ষা করি, তখন সে আমার প্রশংসা করে। অতঃপর সে তার বিছানা থেকে উঠে এমন পাপ শূন্য অবস্থায় যেভাবে সে ভূমিষ্ট হয়েছিল। আল্লাহ বলেন, আমি আমার বান্দাকে গ্রেফতার করেছিলাম। তোমরা তাকে এমনভাবে পুরস্কৃত কর, যেভাবে সুস্থ অবস্থায় নেকী করলে সে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়’।[১০]
(৯) অসুস্থতা গুনাহ মাফের উপায় : আবু হুরায়রা এবং আবু সাঈদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَا يُصِيْبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ وَّلَا وَصَبٍ وَّلَا هَمٍّ وَّلَا حُزْنٍ وَّلَا أَذًى وَلَا غَمٍّ حَتَّى الشَّوْكَةُ يُشَاكُهَا إِلَّا كَفَّرَ اللهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ
‘যখন মুসলিমের প্রতি কোন বিপদ-আপদ, রোগ-শোক, চিন্তা-ভাবনা, দুঃখ-কষ্ট আরোপিত হয়, এমনকি যখন কোন কাঁটা তার শরীরে বিদ্ধ হয়, তখন তা দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন’।[১১]
অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصِيْبُهُ أَذًى مِنْ مَرَضٍ فَمَا سِوَاهُ إِلَّا حَطَّ اللهُ بِهِ سَيِّئَاتِهِ كَمَا تَحُطُّ الشَّجَرَةُ وَرَقَهَا
‘মুসলিম যখন রোগ-শোক বা অন্য কোন বিপদে পতিত হয় (এবং ছবর করে) আল্লাহ এর বিনিময়ে তার গুনাহসমূহ ঝরিয়ে দেন। যেমন বৃক্ষ থেকে পত্র সমূহ ঝরে পড়ে’।[১২] এজন্যই তো আল্লাহ তা‘আলা যার কল্যাণ চান তাকে মুছিবতে ফেলেন।[১৩]
(১০) আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর স্ত্রী যায়নাব (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,
أَنَّ عَبْدَ اللهِ رَأَى فِيْ عُنُقِيْ خَيْطًا فَقَالَ مَا هَذَا؟ فَقُلْتُ خَيْطٌ رُقِيَ لِيْ فِيْهِ قَالَتْ فَأَخَذَهُ فَقَطَعَهُ ثُمَّ قَالَ أَنْتُمْ آلَ عَبْدَ اللهِ لَأَغْنِيَاءٌ عَنِ الشِّرْكِ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ إِنَّ الرُّقَى وَالتَّمَائِمَ وَالتِّوَلَةَ شِرْكٌ فَقُلْتُ لِمَ تَقُوْلُ هَكَذَا؟ لَقَدْ كَانَتْ عَيْنِي تُقْذَفُ وَكُنْتُ أَخْتَلِفُ إِلَى فُلَانٍ الْيَهُودِيِّ فَإِذَا رَقَاهَا سَكَنَتْ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ إِنَّمَا ذَلِكِ عَمَلُ الشَّيْطَانِ كَانَ يَنْخَسُهَا بِيَدِهِ فَإِذَا رُقِيَ كُفَّ عَنْهَا إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيْكِ أَنْ تَقُوْلِيْ كَمَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
‘একদা আমার স্বামী আব্দুল্লাহ আমার গলায় একটি তাগা দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কী? আমি বললাম, ইহা একটি তাগা, যেখানে আমার জন্য ঝাড়ফুঁক করা হয়েছে। যয়নাব (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, এটা শুনে তিনি তাগাটি ধরে ছিড়ে ফেললেন এবং বললেন, তোমরা আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর পরিবারের সদস্য, যারা শিরক থেকে মুক্ত। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, ঝাড়ফুঁক, তাবীয ও জাদুটোনা শিরক। যয়নাব (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, তখন আমি বললাম, আপনি কেন এরূপ কথা বলছেন? একবার আমার চোখে ব্যথা হয়েছিল, তখন আমি অমুক ইহুদীর কাছে যাওয়া-আসা করতাম। অতঃপর যখন সে ঝাড়ফুঁক করল, তখন তার ব্যথা চলে যায়। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বললেন, এটা তো শয়তানেরই কাজ। সে নিজের হাত দ্বারা তাতে আঘাত করছিল। আর যখন ঝাড়ফুঁক করা হয়, তখন সে বিরত হয়। বস্তুতঃ তোমার পক্ষে এরূপ বলাই যথেষ্ট ছিল, যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
‘হে মানুষের প্রভু! আপনি বিপদ দূর করে দিন এবং রোগ হতে নিরাময় দান করুন। আপনিই নিরাময়কারী আপনার নিরাময় প্রদান ব্যতীত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব নয়। এমন নিরাময় দান করুন, যেন কোন রোগই অবশিষ্ট না থাকে’।[১৪]
(১১) চিকিৎসা বিজ্ঞানে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। যেমন তিনি বলেন, الْحُمَّى مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ فَأَبْرِدُوْهَا بِالْمَاءِ ‘জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের তাপ হতে। সুতরাং তোমরা পানি দ্বারা তা ঠাণ্ডা কর’।[১৫] অন্যত্র জমজমের পানি দিয়ে ঠাণ্ডা করার কথাও এসেছে।[১৬] জ্বরে পানি ও বরফের ব্যবহার বর্তমানে বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত এবং এটি একটি সাধারণ ব্যবস্থা। জ্বর বেড়ে গেলে মাথায় পানি ঢেলে কিংবা আইস ব্যাগ লাগিয়ে তাপ নিবারণ করা একটি ডাক্তারী বিধান। সুতরাং একথা মানতেই হবে যে, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী আধুনিককালের চিকিৎসা শাস্ত্রের বিধিসম্মত।[১৭] বরং নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী থেকেই আধুনিক চিকিৎসার উৎপত্তি।
রোগ ও ঔষধ খাওয়া সম্পর্কে যরূরী জ্ঞাতব্য
(ক) ঔষধ খাওয়ার দু‘আ
ঔষধ খাওয়ার পূর্বে পঠিতব্য নির্দিষ্ট কোন দু‘আ নেই। তবে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হবে। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন তোমাদের কেউ কিছু খাবে, তখন সে যেন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে। আর ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে গেলে সে যেন বলে بِسْمِ اللهِ اَوَّلَهُ وَآخِرَهُ (উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আউওয়ালাহূ ওয়া আ-খিরাহু)। অর্থাৎ ‘প্রথমে ও শেষে আল্লাহর নামে শুরু করছি’।[১৮]
(খ) রোগী দর্শনকারীর জন্য ফেরেশতাদের ক্ষমা প্রার্থনা ও মর্যাদা
আলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি,
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُوْدُ مُسْلِمًا غُدْوَةً إِلَّا صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُوْنَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُمْسِىَ وَإِنْ عَادَهُ عَشِيَّةً إِلَّا صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُوْنَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَكَانَ لَهُ خَرِيْفٌ فِى الْجَنَّةِ
‘কোন মুসলিম সকাল বেলায় অপর কোন মুসলিমকে দেখতে গেলে তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাযার ফেরেশতা আল্লাহ্র নিকট দু‘আ করতে থাকে। যদি সে সন্ধ্যা বেলায় তাকে দেখতে যায়, তাহলে তার জন্য সকাল পর্যন্ত সত্তর হাযার ফেরেশতা আল্লাহর নিকট দু‘আ করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান তৈরি করা হয়’।[১৯]
মহান আল্লাহর নিকট সুস্থতা কামনার দু‘আসমূহ
(এক) অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাওয়া ও তার জন্য দু‘আ করা
أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আয্হিবিল বা’স, রব্বান না-স! ওয়াশ্ফি, আংতাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উকা, শিফা-আল্লা ইউগা-দিরু সাক্বামা।
অনুবাদ : কষ্ট দূর করুন হে মানুষের প্রতিপালক! আরোগ্য দান করুন। আপনিই আরোগ্য দানকারী। কোন আরোগ্য নেই আপনার দেয়া আরোগ্য ব্যতীত, যা কোন রোগীকে ধোঁকা দেয় না।[২০]
(দুই) ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন রোগীকে দেখতে গেলে বলতেন,
لَا بَأْسَ طَهُوْرٌ إنْ شَآءَ اللهُ
উচ্চারণ : লা বা’সা ত্বহূরুন ইনশা-আল্লাহ।
অনুবাদ : কষ্ট থাকবে না। আল্লাহ চাহে তো দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।[২১]
(তিন) আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,
أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا اشْتَكَى نَفَثَ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ وَمَسَحَ عَنْهُ بِيَدِهِ فَلَمَّا اشْتَكَى وَجَعَهُ الَّذِىْ تُوُفِّىَ فِيْهِ طَفِقْتُ أَنْفِثُ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ الَّتِىْ كَانَ يَنْفِثُ وَأَمْسَحُ بِيَدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُ
‘যখন নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থ হতেন, তখন আশ্রয় প্রার্থনার দুই সূরা (নাস ও ফালাক্ব) পাঠ করে নিজ দেহে ফুঁক দিতেন এবং নিজের হাত দ্বারা শরীর মুছে ফেলতেন (যেন রোগ দূর করা হচ্ছে)’। এরপর যখন মৃত্যু রোগে আক্রান্ত হলেন তখন আমি আশ্রয় প্রার্থনার সূরা দু’টি দিয়ে তাঁর শরীরে ফুঁক দিতাম, যা দিয়ে তিনি ফুঁক দিতেন। আর আমি তাঁর হাত দ্বারা তাঁর শরীর মাসাহ করে দিতাম’।[২২]
(চার) মৃত্যু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাময় ব্যক্তির জন্য দু‘আ
মানুষ যখন মৃত্যু মুখে পতিত হয়, তখন নিম্নের দু‘আটি পাঠ করা উচিত। কেননা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মৃত্যুর পূর্বে নিম্নের দু‘আ বেশী বেশী পড়েছিলেন।
اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ وَارْحَمْنِىْ وَأَلْحِقْنِىْ بِالرَّفِيْقِ الْأَعْلَى
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মাগ্ফিরলী ওয়ার হাম্নী ওয়া-আলহিক্বনী বিররফীক্বিল আ‘লা।
অনুবাদ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন এবং আমাকে মহান বন্ধুর সাথে মিলিয়ে দিন।[২৩]
(পাঁচ) মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট পঠিতব্য দু‘আ
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, لَقِّنُوْا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ‘তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তির সম্মুখে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলবে’।[২৪]
মু‘আয ইবনু জাবাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, مَنْ كَانَ آخِرُ كَلَامِهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‘যার শেষ বাক্য হবে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[২৫]
অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا حَضَرْتُمُ الْمَرِيْضَ أَوِ الْمَيِّتَ فَقُوْلُوْا خَيْرًا فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ يُؤَمِّنُوْنَ عَلَى مَا تَقُوْلُوْنَ
উম্মে সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমরা কোন রোগীর নিকট অথবা মৃত ব্যক্তির নিকট উপস্থিত হবে, তখন উত্তম কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বল তার উপর ফেরেশতাগণ আমীন বলেন।[২৬]
(ছয়) শ্বেত রোগ, কুষ্ঠরোগ ও পাগলামি হতে আশ্রয় প্রার্থনার দু‘আ
اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنَ البَرَصِ وَالْجُذَامِ وَالْجُنُوْنِ وَمِنْ سَىِّءِ الْأَسْقَامِ
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুযা-মি ওয়াল জুনূনি ওয়া মিন সাইয়্যিইল আসক্বা-মি।
অনুবাদ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে শ্বেত রোগ, কুষ্ঠ রোগ, পাগলামি ও খারাপ রোগ সমূহ হতে আশ্রয় চাই।[২৭]
(সাত) চোখ, কান, জিহ্বা, মন ও বীর্যের অপকারিতা হতে পরিত্রাণের দু‘আ
اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِىْ وَشَرِّ بَصَرِىْ وَشَرِّ لِسَانِى وَشَرِّ قَلْبِىْ وَشَرِّ مَنِيِّىْ
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি সাম‘ঈ ওয়া শাররি বাছারী ওয়া শাররি লিসা-নী ওয়া শাররি ক্বালবী ওয়া শাররি মানিইয়্যি।
অনুবাদ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আমার কানের অপকারিতা, আমার চোখের অপকারিতা, আমার জিহ্বার অপকারিতা, আমার মনের অপকারিতা ও বীর্যের অপকারিতা হতে আশ্রয় চাই।[২৮]
(আট) রোগ মুক্তির জন্য দু‘আ
আইয়ূব (আলাইহিস সালাম) আল্লাহর নিকট রোগ মুক্তির জন্য দু‘আ করতেন। তিনি বলতেন,
رَبَّہٗۤ اَنِّیۡ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ
উচ্চারণ : রব্বাহু আন্নী মাস্সানিইয়ায্ যুররু ওয়া আংতা আরহামুর রহিমীন।
অনুবাদ : হে আমার প্রভু! আমি দুঃখে কষ্টে পতিত হয়েছি, আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু (সূরা আল-আম্বিয়া : ৮৩)।
(নয়) বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দু‘আ :
ইউনুস (আলাইহিস সালাম) যখন মাছের পেটে ছিলেন, তখন তিনি এই দু‘আ পড়তেন,
لَا اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লা আংতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুংতু মিনায যা-লিমীন।
অনুবাদ : (হে আল্লাহ!) আপনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আপনি মহা পবিত্র। আমি যালিমদের অন্তর্গত হয়ে গেছি (সূরা আল-আম্বিয়া : ৮৭)।
(দশ) জিহ্বার জড়তা বা তুতলামি দূর করার দু‘আ
رَبِّ اشۡرَحۡ لِیۡ صَدۡرِیۡ- وَ یَسِّرۡ لِیۡۤ اَمۡرِیۡ-وَ احۡلُلۡ عُقۡدَۃً مِّنۡ لِّسَانِیۡ- یَفۡقَہُوۡا قَوۡلِیۡ
উচ্চারণ : রব্বিশরাহ্লী ছাদরী ওয়া ইয়াস্সিরলি আমরী ওয়াহলুল ‘উক্বদাতাম মিল্লিসা-নী, ইয়াফ্ক্বাহু ক্বাওলী।
অনুবাদ : হে আমার প্রভু! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন। আমার করণীয় কাজ আমার জন্য সহজ করে দিন। আমার জিহ্বা থেকে জড়তা দূর করে দিন, যেন তারা আমার কথা বুঝতে পারে (সূরা ত্বো-হা : ২৫-২৮)।
(এগার) বিপদে ও মুছিবতে পড়লে দু‘আ
اِنَّا لِلّٰہِ وَ اِنَّاۤ اِلَیۡہِ رٰجِعُوۡنَ
উচ্চারণ : ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘ঊন
অনুবাদ : নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁর সান্নিধ্যে ফিরে যাব (সূরা আল-বাকারাহ : ১৫৬)।
(চলবে ইনশাআল্লাহ)
* চাঁদপুর, খুলনা।
তথ্যসূত্র :
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৭৯ ‘চিকিৎসা’ অধ্যায়-৭৬, ‘পুরুষ স্ত্রীলোকের এবং স্ত্রীলোক পুরুষের চিকিৎসা করতে পারে কি’? অনুচ্ছেদ-২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৮১০; মিশকাত হা/৩৯৪০।
[২]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৮১০; মিশকাত, হা/৩৯৪০।
[৩]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৮১২; মিশকাত, হা/৩৯৪১।
[৪]. ছহীহ বুখারী, হা/৩০০৭; ছহীহ মুসলিম, হা/২৪৯৪; মিশকাত, হা/৬২১৬।
[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/৩০০৬; মিশকাত, হা/২৫১৩-لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ وَلاَ تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ . فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ اكْتُتِبْتُ فِى غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِى حَاجَّةً قَالَ اذْهَبْ فَحُجَّ مَعَ امْرَأَتِكَ।
[৬]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৭০৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২২০; মিশকাত, হা/৪৫৫৭।
[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/২১৮৬; তিরমিযী, হা/৯৭২।
[৮]. ইবনু মাজাহ, হা/৩৫০৯; ছহীহুল জামে‘, হা/৫৫৬, সনদ ছহীহ।
[৯]. মুহাম্মাদ ছালিহ ইবনু মুহাম্মাদ আল-উছায়মীন, ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, প্রশ্ন নং-৬৬, পৃ. ১৩২-১৩৩।
[১০]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১৫৯; মিশকাত, হা/১৫৭৯; সনদ হাসান, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৬১১।
[১১]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৪১, ‘রোগীদের বর্ণনা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৭২; মিশকাত, হা/১৫৩৭।
[১২]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৬০; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৭১; মিশকাত, হা/১৫৩৮।
[১৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭২৩৪; মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৩৪৬৭; মিশকাত, হা/১৫৩৬- مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُصِبْ مِنْهُ।
[১৪]. আবু দাঊদ, হা/৩৮৮৩; মিশকাত, হা/৪৫৫২।
[১৫]. ছহীহ বুখারী, হা/৩২৬১; ছহীহ মুসলিম, হা/২২০৯; মিশকাত, হা/৪৫২৫।
[১৬]. ছহীহ বুখারী, হা/৩২৬১।
[১৭]. আফলাতুন কায়সার অনুদিত, বাংলা মিশকাত (ঢাকা : এমদাদিয়া লাইব্রেরী, জুন ১৯৯৫ ইং), ৮ম খ-, পৃ. ২৬৫-২৬৬।
[১৮]. আবূ দাঊদ, হা/৩৭৬৭; দারেমী, হা/২০২০; মিশকাত, হা/৪২০২; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩৪৪, ছহীহুল জামে‘, হা/১৩২৩।
[১৯]. আবু দাঊদ, হা/৩০৯৮, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭; তিরমিযী, হা/৯৬৯, ‘জানাযা’ অনুচ্ছেদ-২; মিশকাত, হা/১৫৫০, সনদ ছহীহ।
[২০]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৫০; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯১; ইবনু মাজাহ, হা/১৬১৯; মিশকাত, হা/১৫৩০।
[২১]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৬১৬; ইবনু হিব্বান, হা/২৯৫৯; মিশকাত, হা/১৫২৯।
[২২]. ছহীহ বুখারী হা/৪৪৩৯; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯২; মিশকাত, হা/১৫৩২।
[২৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৭৪; তিরমিযী, হা/৩৪৯৬; ইবনু মাজাহ, হা/১৬১৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮১৮।
[২৪]. ছহীহ মুসলিম, হা/৯১৬-৯১৭, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১; মিশকাত, হা/১৬১৬।
[২৫]. আবু দাঊদ, হা/৩১১৬; তিরমিযী, হা/৯৭৭; মিশকাত, হা/১৬২১, সনদ ছহীহ।
[২৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/৯১৯, ‘জানাযা’ অধ্যায়; মিশকাত, হা/১৬১৭।
[২৭]. আবু দাঊদ, হা/১৫৫৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩০২৭; মিশকাত হা/২৪৭০, সনদ ছহীহ।
[২৮]. আবু দাঊদ, হ/১৫৫১; তিরমিযী, হা/৩৪৯২; মিশকাত, হা/২৪৭২; সনদ ছহীহ, ছহীহুল জামে‘, হা/১২৯২।