উত্তর : নিঃসন্দেহে এটি এক প্রকারের প্রতারণা। ক্রয়-বিক্রয় বা অন্য যে কোন বিষয়ে ধোঁকা দেয়া হারাম। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي ‘যে ব্যক্তি ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা করে, সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১-১০২)। ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেন যে, আলেমদের মতানুযায়ী كَرِهُوا الْغِشَّ وَقَالُوا الْغِشُّ حَرَامٌ ‘প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি খুবই জঘন্য অপরাধ এবং তাঁরা বলেছেন, প্রতারণা করা হারাম’ (তিরমিযী, হা/১৩১৫)। ইমাম ইবনু কুদামা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার পণ্যের ত্রুটি জানা সত্ত্বেও ক্রেতাকে তা জানানো ছাড়াই বিক্রি করে, তার এমন করা জায়েয নয়। বরং অবশ্যই ক্রেতাকে সেই ত্রুটি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। যদি সে তা না করে, তাহলে সে গুনাহগার ও অপরাধী হবে। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি হাকিম ইবনে হিযাম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হাদীছকে দলীল হিসাবে উল্লেখ করেছেন’ (আল-মুগনী, ৪/১০৮ পৃ.)। হাকীম ইবনু হিযাম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘যদি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে সত্য কথা বলে এবং (পণ্যের দোষগুণ) যথাযথ বর্ণনা করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত দেয়া হবে, আর যদি তারা মিথ্যা বলে এবং গোপন করে, তবে হয়তো খুব লাভ করবে এবং কিন্তু তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত মুছে যাবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২১১৪)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রাযযাক শাওন, পাবনা।