উত্তর : হিকমাহ আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রদত্ত এক বিশাল নে‘মত। হিকমাহ এর বাস্তবতা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা হিক্মাহ অর্থাৎ প্রজ্ঞা দান করেন, আর যাকে প্রজ্ঞা প্রদান করা হয়, তাকে নিশ্চয় প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়। বস্তুত শুধু জ্ঞানীরাই উপদেশ গ্রহণ করে থাকে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৬৯)। হিকমাহ বৃদ্ধির উপায় হল, (১) দ্বীনের উপর পাণ্ডিত্য অর্জন করা (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২৬৯)। (২) বিজ্ঞ পণ্ডিত, ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি তথা আলিমগণে সাহচার্যে অবস্থান করা। (৩) একনিষ্ঠভাবে নিয়মিত আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করা (সূরা আল-ক্বাছাছ: ১৪)। (৪) সর্বদা হালাল খাদ্য ভক্ষণ করা এবং হারাম থেকে বিরত থাকা। (৫) অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করা এবং মাদরাসা জীবনে ভরপুর লাভবান হওয়া। (৬) নিজের ব্যক্তিত্বকে উন্নত করা এবং নিজস্ব সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করা। (৭) অতিরিক্ত কথা না বলা এবং প্রয়োজনে নিজেকে নীরব রাখা (ছহীহ বুখারী, হা/৬০১৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৪৭)। (৮) স্বল্পে সন্তুষ্ট থাকা, অতিরিক্ত পাওয়ার আশায় নিজেকে অধিক ব্যস্ত না করা এবং যতটুকু পেরেছি তার সর্বোচ্চ কদর করা (যঃঃঢ়://রংুি.পড়/ব১১ন৩ৎ)। (৯) কোন কাজে তাড়াহুড়ো না করা, বরং ভেবে চিন্তে ধীরস্থিরভাবে করা (আর-রায়িদ .. দুরুসুন ফিত তারবিয়্যাতি ওয়াদ দাওয়াতি, ৩/৫০ পৃ.)। (১০) সংকীর্ণমনা থেকে নিজেকে মুক্ত করা, উদারতার সাথে কল্যাণকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা (আর-রায়িদ .. দুরুসুন ফিত তারবিয়্যাতি ওয়াদ দাওয়াতি ৩/৫৩ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : গোলাম রাব্বি, বরিশাল।