সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
উত্তর : বদ নযর একটি সাধারণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাস। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হিংসা বা বিদ্বেষের দৃষ্টিতে তাকালে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এই দৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা বস্তুতে অস্বাভাবিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে, যেমন শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক অশান্তি, কর্মে বাধা ইত্যাদি। ইসলামে বদ নযর থেকে সৃষ্ট ক্ষতির কথা উল্লেখ আছে। নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেছেন, ‘নযর বা দৃষ্টি একটি সত্য’। অর্থাৎ এর সত্যতা আছে এবং এটি মানুষের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সুরা আল-ফালাক্ব এর ৫ নং আয়াতে বদ নজর থেকে আশ্রয় চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর আমি আশ্রয় চাই হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে’ (সূরা আল-ফালাক্ব: ৫)। নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেন, الْعَيْنُ حَقٌّ وَلَوْ كَانَ شَىْءٌ سَابَقَ الْقَدَرَ سَبَقَتْهُ الْعَيْنُ ‘নযর (বদ নযর) সত্য; যদি কিছু জিনিস তাকদীরের বাইরে থাকত, তবে তা নযর দ্বারা আক্রান্ত হত’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৮৮)। অন্য একটি হাদীছে এসেছে, তিনি বলেছিলেন, ‘নযর একটি সত্য বিষয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৪০)। বদ নযর থেকে বাঁচার জন্য নবী করিম (সাঃ) আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে বলেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৩৮)।

বদ নযরে আক্রান্ত হলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়। বদ নযরের লক্ষণগুলো হল: হঠাৎ করে দুর্বলতা অনুভব করা, কাজকর্মে ব্যাঘাত হওয়া, অবসাদ ও ক্লান্তি বৃদ্ধি পাওয়া, মানসিক বিষণ্নতা বা উদ্বেগ, শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দেয়া ইত্যাদি। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বদ নযর থেকে বাঁচার জন্য কিছু দু‘আ ও আমল রয়েছে। যথা: সূরা আল-ফালাক্ব ও সূরা আন-নাস পড়া। সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে ‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক’ পড়া (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৩৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৬৪২)।


প্রশ্নকারী : আব্দুল আহাদ, পাবনা।





প্রশ্ন (১৬) : মসজিদে বাম হাতের উপর ভর দিয়ে বসার ব্যাপারে কি কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা আছে? জানা যায় যে, এটি ভাল নয়। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ইমাম মসজিদের মেহরাবের কোথায় দাঁড়াবে? মেহরাবের ভিতরে, না-কি বাইরে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মাওলানা আবু তাহের বর্ধমানী রচিত ‘কাট হুজ্জতির জওবাব’ বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আহলেহাদীছগণ আমলনামাসহ উপস্থিত হবেন। তখন আল্লাহ বলবেন, তোমরা আহলেহাদীছ বেহেশতে প্রবেশ কর’ (ত্বাবারাণী, আল-ক্বাওলুল বাদী, পৃ. ১৮৯)। উক্ত হাদীছটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ওযূ করে ছালাত চলাকালীন সময় বা ছালাত আদায়ের পর যদি জানতে পারি যে আমার দাঁতে সামান্য কিছু খাবার অবশিষ্ট আছে। তাহলে ওযূ করে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : ঈদের সম্ভাষণ হিসাবে ‘ঈদ মোবারক’ বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : যারা বিভিন্ন পরিবহনে (ড্রাইভার, হেলপার ইত্যাদি) শ্রমিক হিসাবে কাজ করে। প্রত্যেক দিন চাকুরীর জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়। তারা কি ছালাতকে কসর করবে, না-কি পূর্ণ ছালাতই আদায় করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ওযূ করার সময় মুখে ও নাকে পানি দেয়ার সঠিক পদ্ধতি কোনটি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : যদি কেউ প্রকাশ্যে শিরক ও কুফরী করে এবং পর্দা করাকে জীবন্ত মূর্তি বলে তাচ্ছিল্য করে, তাহলে তার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : আমি বাংলাদেশ জেলে কারারক্ষী পদে (সৈনিক পদে ভর্তি হয়ে) চাকুরী করি। সাধারণ পদে কিছুদিন ডিউটি পালন করার পর খেলোয়াড় (খেলোয়াড় কোটায়) হিসাবে চাকুরি শুরু করেছি। পেশা হিসাবে এটা করা কি সঠিক হয়েছে? আমি চাইলে অন্য বিভাগেও চাকুরী করতে পারব। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩): অপচয় ও অপব্যয় এর মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : পুরাতন কবরের উপর ঘরবাড়ি করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন একজন কাফের কিংবা মুরতাদ হলে অপরজনের করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ