উত্তর : ওয়াক্বফকৃত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ওয়াজিব হল ওয়াক্বফকারীর শর্ত মোতাবেক মানুষ এটি ব্যবহার করবে (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব, ২/১৬ পৃ.)। ওয়াক্বফকারীর জন্য এই সাধারণ ওয়াক্বফ থেকে অন্য সব মুসলিমের মতই উপকৃত হওয়ার অধিকার আছে। তবে অধিকার ফলিয়ে কারোর থেকে বেশি নেয়া যাবে না। ওয়াক্বফকারী ওয়াক্বফকৃত পানি থেকে পান করতে পারেন যেভাবে অন্যেরা পান করে এবং অন্যসব সুবিধা থেকেও উপকৃত হতে পারেন, যেভাবে অন্য মুসলিমগণ উপকৃত হয়ে থাকে, যদি না ওয়াক্বফকারী অন্য কোন শর্ত করে না থাকে। উছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) মদীনাতে একটি কূপ ওয়াক্বফ করেছিলেন। অন্য মুসলিমদের মত তিনিও সেখান থেকে পানি পান করতেন (তিরমিযী, হা/৩৭০৩, সনদ হাসান)।
ইবনু হাজার আল-হাইতামী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রূমা কূপ ওয়াক্বফ করার প্রসঙ্গে উছামান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর বাণী: আমার বালতি ও মুসলিমদের বালতি সমমর্যাদায় হওয়া শর্ত নয়। বরং এর দ্বারা তিনি অবহিত করছেন যে, ওয়াক্বফকারীর জন্য সাধারণ ওয়াক্বফ সম্পত্তি থেকে উপকৃত হওয়া বৈধ’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিক্বহিয়্যাহ আল-কুবরা, ২/২৭৫ পৃ.)। ইবনু বাত্তাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন কূপকে ওয়াক্বফ করেছেন এবং সেটাকে পানি প্রার্থীদের জন্য দিয়ে দিছেন তার জন্য ঐ কূপ থেকে পানি পান করতে কোন অসুবিধা নেই, যদি তিনি নিজে পান করার শর্ত না করেন তবুও। যেহেতু তিনি নিজেও পানিপ্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত’ (শারহু ছহীহিল বুখারী, ৬/৪৯২ পৃ.)। ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর ‘ছহীহ বুখারী’ গ্রন্থে তা‘লীক্ব সূত্রে বলেন, ‘কেউ যদি কোন একটি উটকে বা কোন কিছুকে আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দেয়, অন্যদের মত তার জন্যেও ঐ প্রাণী থেকে উপকৃত হওয়া জায়েয আছে’ (ছহীহ বুখারী, ৪/৭ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : মুবারক, যশোর।