উত্তর : ছহীহ হাদীছের দৃষ্টিতে ঈদের তাকবীর ১২টি। আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর ইবনুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, আল্লাহর নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতর-এর প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর দিতে হবে এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর দিতে হবে। আর উভয় রাক‘আতে ক্বিরাআত পড়তে হবে তাকবীরের পর’ (আবূ দাঊদ, হা/১১৫১, সনদ হাসান)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার ছালাতে রুকূর দুই তাকবীর ছাড়া প্রথমে সাত আর পরে পাঁচ তাকবীর দিতেন (ইবনু মাজাহ, হা/১২৮০, সনদ ছহীহ)। এভাবে ১২ তাকবীরের পক্ষে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
পক্ষান্তরে ৬ তাকবীরের পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে সরাসরি কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। এর পক্ষে যা কিছু বলা হয়, সবই বিভিন্ন ব্যক্তির অভিমত, অপব্যাখ্যা, যঈফ ও মুনকার বর্ণনা (বিস্তারিত দেখুন : ‘ছহীহ হাদীছের কষ্টিপাথরে ঈদের তাকবীর’ শীর্ষক বই)।
৬ তাকবীরে ছালাত আদায়কারী ইমামের পেছনে ১২ তাকবীরে ছালাত আদায়কারী ব্যক্তি ছালাত পড়তে পারবে। তখন মুক্তাদী ৬ তাকবীরই দিবে। কারণ ইমামের অনুসরণ করা যরূরী। কারণ ঈদের ছালাতে তাকবীরের কম-বেশী হলে সমস্যা হয় না। এটি সুন্নাত। ছুটে গেলে বা বাদ পড়লে ছালাতের ক্ষতি হয় না (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩২০)। তাই ১২ তাকবীরে ঈদের ছালাত আদায় হয় এমন ঈদগাহ না পেলে, নিরূপায় অবস্থায় ৬ তাকবীর আদায়কারী ইমামের পিছনে ছালাত পড়ে নিতে পারবে।
প্রশ্নকারী : আব্দুল মুমিন সিরাজগঞ্জ।