উত্তর : মসজিদ ও ক্ববরের মাঝে পার্থক্য করার জন্য একটি দেওয়াল দেয়া অপরিহার্য। অন্যথা উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে না। যেমন রাসূল (ﷺ) বলেছেন, لَا تَجْلِسُوْا عَلَى الْقُبُوْرِ وَلَا تُصَلُّوْا إِلَيْهَا ‘তোমরা কখনো ক্ববরের উপর বসবে না এবং ক্ববরের দিকে মুখ করে ছালাতও আদায় করবে না’ (ছহীহ মুসলিম হা/৯৭২)। শারঈ দলীলের আলোকে বহু প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ কথা হল দ্বীন ইসলামে মসজিদ ও ক্ববরকে একত্রিত করা জায়েয নয় (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ১২/৩১ পৃ.)।
দ্বিতীয়তঃ অবশ্যই এটি গুানাহের কাজ। কারণ সমগ্র উম্মতের সর্বসম্মতিক্রমে ক্ববরের উপর ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা, পাকা করা, তার উপর লেখা, ছালাত আদায় করা, প্রদীপ জ্বালানো হারাম (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৪/৩১৮, ২৭/৪৪৮ ও ৩১/১১)। যেমন জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, نَهَى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ ‘রাসূল (ﷺ) ক্ববর পাকা করতে, ক্ববরের উপর বসতে এবং ক্ববরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৭০)। অন্যত্র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমাদের কারো জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর বসে থাকা এবং তাতে তার কাপড় পুড়ে গিয়ে শরীরের চামড়া দগ্ধীভূত হওয়া ক্ববরের উপর বসার চেয়ে উত্তম’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৭১)।
তৃতীয়তঃ যদি ইমাম বিশুদ্ধ আক্বীদার হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই চাঁদা বা ভাতা প্রদান করতে হবে। পক্ষান্তরে ইমাম যদি শিরকী আক্বীদায় বিশ্বাসী হয় সেক্ষেত্রে দেয়া যাবে না। কেননা খারাপ ও পাপ কাজে সহযোগিতা করতে আল্লাহ তা‘আলা নিষেধ করেছেন (সূরা আল-মায়িদাহ : ২)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ ও হারাম কাজে সাহায্য, সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন’ (তাফসীর ইবনে কাছীর, ২/১২; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৪৬-৪৭ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : হোসনে মোবারক, চিলমারী, কুড়িগ্রাম।