আল-কুরআন তেলাওয়াতের ফযীলত
- আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহীম*
(৭ম কিস্তি)
عَنْ أَبِىْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا فِىْ مَسِيْرٍ لَنَا فَنَزَلْنَا فَجَاءَتْ جَارِيَةٌ فَقَالَتْ إِنَّ سَيِّدَ الْحَىِّ سَلِيْمٌ وَإِنَّ نَفَرَنَا غُيَّبٌ فَهَلْ مِنْكُمْ رَاقٍ فَقَامَ مَعَهَا رَجُلٌ مَا كُنَّا نَأْبُنُهُ بِرُقْيَةٍ فَرَقَاهُ فَبَرَأَ فَأَمَرَ لَهُ بِثَلَاثِيْنَ شَاةً وَسَقَانَا لَبَنًا فَلَمَّا رَجَعَ قُلْنَا لَهُ أَكُنْتَ تُحْسِنُ رُقْيَةً أَوْ كُنْتَ تَرْقِى قَالَ لَا مَا رَقَيْتُ إِلَّا بِأُمِّ الْكِتَابِ قُلْنَا لَا تُحْدِثُوْا شَيْئًا حَتَّى نَأْتِىَ أَوْ نَسْأَلَ النَّبِىَّ ﷺ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِيْنَةَ ذَكَرْنَاهُ لِلنَّبِىِّ ﷺ فَقَالَ وَمَا كَانَ يُدْرِيهِ أَنَّهَا رُقْيَةٌ اقْسِمُوْا وَاضْرِبُوْا لِىْ بِسَهْمٍ.
আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা সফরে ছিলাম। অতঃপর আমরা অবতরণ করলাম। একটি বালিকা এসে বলল, এখানকার গোত্রপ্রধানকে সাপে কেটেছে। আমাদের পুরুষগণ অনুপস্থিত। আপনাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যিনি ঝাড়ফুঁক করতে পারেন? আমাদের মধ্য থেকে একজন ঐ বালকটির সঙ্গে গেল। যদিও আমরা ভাবিনি যে, সে ঝাড়ফুঁক জানে। তারপর সে ঝাড়ফুঁক করল এবং গোত্রপ্রধান সুস্থ হয়ে উঠল। এতে সর্দার খুশী হয়ে তাকে ত্রিশটি ছাগল দান করল এবং আমাদের সকলকে দুধ পান করাল। অতঃপর যখন সে ফিরে আসল, তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম, তুমি ভালভাবে ঝাড়ফুঁক করতে জান (হাদীছের বর্ণনাকারী বলেন) অথবা তুমি কি ঝাড়ফুঁক করতে পার? সে বলল, না। আমি উম্মুল কিতাব অর্থাৎ সূরা আল-ফাতিহা দিয়েই ঝাড়ফুঁক করেছি। আমরা বললাম ততক্ষণ কেউ কিছু বলবে না, যতক্ষণ না আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে পৌঁছি অথবা তাঁকে জিজ্ঞেস করি। যখন আমরা মদীনায় পৌঁছিলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে ঘটনাটি উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, সে কেমন করে জানল যে, তা অর্থাৎ সূরা আল-ফাতিহা ঝাড়ফুঁক? তোমরা নিজেদের মধ্যে এগুলো বণ্টন করে নাও এবং আমার জন্যও একাংশ রাখ’।[১]
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ خَرَجَ عَلَى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَا أُبَىُّ وَهُوَ يُصَلِّى فَالْتَفَتَ أُبَىٌّ وَلَمْ يُجِبْهُ وَصَلَّى أُبَىٌّ فَخَفَّفَ ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَعَلَيْكَ السَّلَامُ مَا مَنَعَكَ يَا أُبَىُّ أَنْ تُجِيْبَنِىْ إِذْ دَعَوْتُكَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ إِنِّىْ كُنْتُ فِى الصَّلَاةِ قَالَ أَفَلَمْ تَجِدْ فِيْمَا أَوْحَى اللهُ إِلَىَّ أَنِ (اِسۡتَجِیۡبُوۡا لِلّٰہِ وَ لِلرَّسُوۡلِ اِذَا دَعَاکُمۡ لِمَا یُحۡیِیۡکُمۡ) قَالَ بَلَى وَلَا أَعُوْدُ إِنْ شَاءَ اللهُ قَالَ تُحِبُّ أَنْ أُعَلِّمَكَ سُوْرَةً لَمْ يَنْزِلْ فِى التَّوْرَاةِ وَلَا فِى الْإِنْجِيْلِ وَلَا فِى الزَّبُوْرِ وَلَا فِى الْفُرْقَانِ مِثْلُهَا قَالَ نَعَمْ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَيْفَ تَقْرَأُ فِى الصَّلَاةِ قَالَ فَقَرَأَ أُمَّ الْقُرْآنِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَالَّذِى نَفْسِىْ بِيَدِهِ مَا أُنْزِلَتْ فِى التَّوْرَاةِ وَلَا فِى الْإِنْجِيْلِ وَلَا فِى الزَّبُوْرِ وَلَا فِى الْفُرْقَانِ مِثْلُهَا وَإِنَّهَا سَبْعٌ مِنَ الْمَثَانِىْ وَالْقُرْآنُ الْعَظِيْمُ الَّذِى أُعْطِيْتُهُ.
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উবাই ইবনু কা‘ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর নিকট গেলেন এবং তাকে ডাকলেন, হে উবাই! উবাই (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তখন ছালাতে ছিলেন। তিনি তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন কিন্তু জবাব দিলেন না। তবে তিনি সংক্ষেপে ছালাত শেষ করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে উবাই ইবনু কা‘ব! তোমার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। আমি তোমাকে ডাকলে কিসে তোমাকে জবাব দিতে বাধা দিল? তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি তো ছালাতে ছিলাম। তিনি বললেন, আমার নিকট আল্লাহ তা‘আলা যে অহী প্রেরণ করেছেন, তার মধ্যে তুমি কি এ নির্দেশ পাওনি ‘রাসূল যখন তোমাদের এমন কিছুর দিকে ডাকে যা তোমাদেরকে প্রানবন্ত করে, তখন আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের ডাকে সাড়া দিবে’ (সূরা আল-আনফাল, আয়াত : ২৪)। তিনি বললেন, হ্যাঁ। আর কখনো এরূপ করব না ইনশাআল্লাহ। তিনি বললেন, তুমি কি চাও যে, আমি এমন একটি সূরা তোমাকে শিখিয়ে দেই যার মত কোন সূরা তাওরাত, ইনজীল, যাবূর এমনকি কুরআনেও অবতীর্ণ হয়নি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি ছালাতে কী পাঠ কর? বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (উবাই) উম্মুল কুরআন (সূরা আল-ফাতিহা) পাঠ করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, সেই সত্তার কসম! এ সূরার ন্যায় মর্যাদা সম্পন্ন কোন সূরা তাওরাত, ইনজীল, যাবূর এমনকি কুরআনেও অবতীর্ণ করা হয়নি। আর এটি বারবার পঠিত সাতটি আয়াত সম্বলিত সূরা এবং মহাসম্মানিত কুরআন যা আমাকে দেয়া হয়েছে’।[২]
আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক ভ্রমণে ছিলেন। অতঃপর তিনি (বাহন হতে) অবতরণ করলেন। এক ছাহাবী তাঁর পাশ দিয়ে চলছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার দিকে তাকালেন এবং বললেন, أَلَا أُخْبِرُكَ بِأَفْضَلِ الْقُرْآنِ ‘আমি কি তোমাকে শ্রেষ্ঠতম কুরআনের (সূরার) সংবাদ দিব না’? (রাবী) বলেন, অতঃপর তিনি তেলাওয়াত করলেন,اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ‘আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক’ (সূরা আল-ফাতিহা, আয়াত : ২)।[৩]
আব্দুল্লাহ ইবনু জাবির (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন,
أَلَا أُخْبِرُكَ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ جَابِرٍ بِخَيْرِ سُوْرَةٍ فِى الْقُرْآنِ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ اقْرَإِ (اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ) حَتَّى تَخْتِمَهَا.
‘হে আব্দুল্লাহ ইবনু জাবির! আমি কি তোমাকে কুরআনের সর্বোত্তম সূরা সম্পর্কে সংবাদ দিব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তিনি বললেন, তুমি পড় (اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ) হতে শেষ পর্যন্ত’।[৪]
সূরা আল-ফাতিহার ফযীলত এতটাই যে, ছালাতে ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য তা পাঠ করা ফরয। কারণ কেউ ছালাতে সূরা আল-ফাতিহা পাঠ না করলে তার ছালাত হয় না।
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ.
উবাদা বিন ছামেত (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করে না তার ছালাত হয় না’।[৫]
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ مَنْ صَلَّى صَلَاةً لَمْ يَقْرَأْ فِيْهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهْىَ خِدَاجٌ ثَلَاثًا غَيْرُ تَمَامٍ فَقِيْلَ لِأَبِىْ هُرَيْرَةَ إِنَّا نَكُوْنُ وَرَاءَ الْإِمَامِ فَقَالَ اقْرَأْ بِهَا فِىْ نَفْسِكَ.
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ছালাত আদায় করল অথচ সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করল না, তার ছালাত অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন। তখন আবূ হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি চুপে চুপে পড়’।[৬]
عَن رِفَاعَةَ بْنِ رَافعٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ أَعِدْ صَلَاتَكَ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَقَالَ عَلِّمْنِىْ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ كَيْفَ أُصَلِّي؟ قَالَ إِذَا تَوَجَّهَتَ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَمَا شَاءَ اللهُ أَنْ تَقْرَأَ..
রিফা‘আ বিন রাফে‘ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, জনৈক ব্যক্তি মসজিদে আসল এবং ছালাত আদায় করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সালাম দিল। তিনি তাকে বললেন, তুমি ছালাত ফিরিয়ে পড়। নিশ্চয় তুমি ছালাত আদায় করনি। তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমাকে ছালাত শিক্ষা দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি ক্বিবলামুখী হবে তখন তাকবীর দিবে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পড়বে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আরো কিছু অংশ পাঠ করবে..। [৭]
সূরা ‘আল-বাক্বারাহ’ ও ‘আলে ‘ইমরান’ তেলাওয়াত করার ফযীলত
সূরা আল-বাক্বারার ফযীলত অত্যধিক। এটি সবচেয়ে বড় এবং বেশি আহকাম বা বিধি-বিধান সমৃদ্ধ সূরা। এ সূরাতে আল্লাহর ‘ইসমে আযম’ রয়েছে, যার দ্বারা দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা সাড়া দেন। এ সূরায় এমন একটি আয়াত রয়েছে যা কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত। এ আয়াতটি হচ্ছে আয়াতুল কুরসী, যাতে আল্লাহ তা‘আলার নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া এ সূরা তেলাওয়াতের মর্যাদাও অত্যধিক। হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ أُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ قَالَ بَيْنَمَا هُوَ يَقْرَأُ مِنَ اللَّيْلِ سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ وَفَرَسُهُ مَرْبُوْطَةٌ عِنْدَهُ إِذْ جَالَتِ الْفَرَسُ فَسَكَتَ فَسَكِنَتْ فَقَرَأَ فَجَالَتْ فَسَكَتَ فَسَكِنَتْ ثُمَّ قَرَأَ فَجَالَتِ الْفَرَسُ فَانْصَرَفَ وَكَانَ ابْنُهُ يَحْيٰى قَرِيْبًا مِنْهَا فَأَشْفَقَ أَنْ تُصِيْبَهُ وَلَمَّا أَخَّرَهُ رَفْعَ رَأْسَهُ إِلٰى السَّمَاءِ فَإِذَا مِثْلُ الظُّلَّةِ فِيْهَا أَمْثَالُ الْمَصَابِيْحِ فَلَمَّا أَصْبَحَ حَدَّثَ النَّبِيَّ ﷺ فَقَالَ إِقْرَأْ يَا ابْنَ حُضَيْرٍ! اقْرَأْ يَا ابْنَ حُضَيْرٍ! قَالَ فَأَشْفَقْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ أَنْ تَطَأَ يَحْيٰى وَكَانَ مِنْهَا قَرِيْبًا فَانْصَرَفْتُ إِلَيْهِ وَرَفَعْتُ رَأْسِيْ إِلَى السَّمَاءِ فَإِذَا مِثْلُ الظُّلَّةِ فِيْهَا أَمْثَالُ الْمَصَابِيْحِ فَخَرَجْتُ حَتَّى لَا أَرَاهَا قَالَ وَتَدْرِيْ مَا ذَاكَ؟ قَالَ لَا قَالَ تِلْكَ الْمَلَائِكَةُ دَنَتْ لِصَوْتِكَ وَلَوْ قَرَأْتَ لَأَصْبَحْتَ يَنْظُرُ النَّاسُ إِلَيْهَا لَا تَتَوَارَى مِنْهُمْ.
আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, ছাহাবী উসাইদ ইবনু হুযাইর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এক রাতে সূরা আল-বাক্বারাহ পড়ছিলেন, তখন তাঁর কাছে ঘোড়া বাঁধা ছিল। হঠাৎ ঘোড়া লাফিয়ে উঠল। তিনি চুপ করলেন, ঘোড়া শান্ত হল। আবার তিনি পড়তে শুরু করলেন, আবার ঘোড়া লাফিয়ে উঠল। তিনি চুপ করলেন, ঘোড়া শান্ত হল। পুনরায় তিনি পড়া আরম্ভ করলেন, পুনরায় ঘোড়া লাফিয়ে উঠল। এবার তিনি ক্ষান্ত দিলেন। কেননা তাঁর পুত্র ইয়াহ্ইয়া ঘোড়ার নিকটে শয়ন করা ছিল। তিনি আশঙ্কা করলেন, তার কোন বিপদ হয় কি-না? এরপর তিনি তাকে দূরে সরিয়ে আকাশের দিকে মাথা উঠালেন এবং দেখলেন, শামিয়ানার ন্যায়, যাতে বাতিসমূহের মত রয়েছে। যখন তিনি সকাল উঠলেন, তখন নবী করীম (ﷺ)-কে এটা জানালেন। তখন তিনি বললেন, হে ইবনু হুযাইর! তুমি পড়তে থাকলে না কেন? হে ইবনু হুযাইর! তুমি পড়তে থাকলে না কেন? তখন ইবনু হুযাইর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমার ঘোড়া ইয়াহইয়াকে মাড়িয়ে দেবার ভয় করছিলাম। আর সে ছিল ঘোড়ার নিকটে। অতএব আমি ক্ষান্ত দিয়ে তার নিকটে গেলাম এবং আকাশের দিকে মাথা উঠালাম। দেখলাম, শামিয়ানার ন্যায়, এতে বাতিসমূহের মত রয়েছে। অতঃপর আমি সেখান থেকে বের হলাম, আর দেখতে দেখতে তা অদৃশ্য হয়ে গেল। শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটা কী ছিল জানো? উসাইদ বললেন, না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তারা ছিল ফেরেশতাদের দল। তোমার স্বর শুনে তাঁরা এসেছিলেন। যদি তুমি পড়তে থাকতে তাঁরা ভোর পর্যন্ত সেখানে থাকতেন, আর মানুষ তাঁদের দেখতে পেত, তাঁরা মানুষ হতে অদৃশ্য হতেন না।[৮]
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَا تَجْعَلُوْا بُيُوْتَكُمْ مَقَابِرَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِيْ يُقْرَأُ فِيْهِ سُوْرَةُ الْبَقَرَةِ.
আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমাদের ঘরসমূহকে কবরস্থানে পরিণত কর না। নিঃসন্দেহে শয়তান সেই ঘর হতে পলায়ন করে, যে ঘরে সূরা আল-বাক্বারাহ তেলাওয়াত করা হয়’।[৯]
عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ إِقْرَءُوْا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيْعًا لِأَصْحَابِهِ إِقْرَءُوْا الزَّهْرَاوَيْنِ الْبَقَرَةَ وَسُوْرَةَ آلِ عِمْرَانَ فَإِنَّهُمَا تَأْتِيَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا غَيَايَتَانِ أَوْ فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ أَصْحَابِهِمَا إِقْرَءُوْا سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ فَإِنَّ أَخْذَهَا بَرَكَةٌ وَتَرْكَهَا حَسْرَةٌ وَلَا تَسْتَطِيْعُهَا الْبَطَلَةُ .
আবূ উমামা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘তোমরা কুরআন পড়বে। কেননা তা ক্বিয়ামতের দিন তার পাঠকদের জন্য সুপারিশকারীরূপে আসবে। তোমরা দুই উজ্জ্বল- সূরা আল-বাক্বারাহ ও আলে ‘ইমরান পড়বে। কেননা ক্বিয়ামতের দিন এ দু’টি মেঘখণ্ড অথবা দু’টি শামিয়ানা অথবা দু’টি পক্ষ প্রসারিত পাখির ঝাঁকরূপে আসবে এবং তাদের পাঠকদের জন্য আল্লাহর নিকট অনুযোগ করবে (অর্থাৎ জাহান্নামের আযাবকে প্রতিরোধ করবে)। বিশেষ করে তোমরা সূরা আল-বাক্বারাহ পড়বে। কেননা সেটাকে গ্রহণ করা বরকতপূর্ণ এবং বর্জন হচ্ছে আক্ষেপপূর্ণ আর যাদুকররা এর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না’।[১০]
عَنِ النَّوَّاسِ بْنِ سَمْعَانَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَقُوْلُ يُؤْتَى بِالْقُرْآنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَهْلِهِ الَّذِيْنَ كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ بِهِ تَقْدُمُهُ سُوْرَةُ الْبَقَرَةِ وَآلُ عِمْرَانَ كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ ظُلَّتَانِ سَوْدَاوَانِ بَيْنَهُمَا شَرْقٌ أَوْ كَأَنَّهُمَا فِرْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ صَاحِبِهِمَا.
নাওয়াস ইবনু সাম‘আন (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন উপস্থিত করা হবে কুরআন এবং তার পাঠকদের, যারা কুরআন অনুযায়ী আমল করত। তাদের আগে থাকবে সূরা আল-বাক্বারাহ ও আলে ‘ইমরান, যেন তারা দু’টি মেঘখণ্ড অথবা দু’টি কালো ছায়া, যার মধ্যস্থলে থাকবে দীপ্তি। অথবা দু’টি পক্ষ প্রসারিত পক্ষীর ঝাঁক, যারা আল্লাহর নিকট তাদের পাঠকদের পক্ষে অনুযোগ করবে’।[১১]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে উঠে সূরা আলে ‘ইমরানের শেষের দশ আয়াত তেলাওয়াত করতেন। হাদীছে এসেছে
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ بِتُّ عِنْدَ خَالَتِيْ مَيْمُوْنَةَ لَيْلَةً وَالنَّبِىُّ ﷺ عِنْدَهَا فَتَحَدَّثَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ مَعَ أَهْلِهِ سَاعَةً ثُمَّ رَقَدَ فَلَمَّا كَانَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الْآخِرُ أَوْ بَعْضُهُ قَعَدَ فَنَظَرَ إِلَى السَّمَاءِ فَقَرَأَ (اِنَّ فِیۡ خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ اخۡتِلَافِ الَّیۡلِ وَ النَّہَارِ لَاٰیٰتٍ لِّاُولِی الۡاَلۡبَابِ) حَتَّى خَتَمَ السُّوْرَةَ.
আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি আমার খালা মায়মূনার গৃহে রাত্রি যাপন করলাম, আর নবী করীম (ﷺ) সেই রাতে তাঁর গৃহেই ছিলেন। তিনি তাঁর পরিবারের সাথে কিছু সময় আলাপ করলেন, অতঃপর নিদ্রায় গেলেন। অতঃপর যখন রাত্রির শেষ তৃতীয়াংশ অথবা কিছু বাকি ছিল, তখন তিনি উঠলেন এবং আকাশের দিকে তাকিয়ে তেলাওয়াত করতে লাগলেন, ‘নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং রাত্র-দিনের পরিবর্তনের মধ্যে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শনসমূহ আছে’ (সূরা আলে ‘ইমরান, আয়াত : ১৯০)। এমনকি তিনি সূরা শেষ করে ফেললেন।[১২]
عَنْ مَكْحُوْلٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ سُوْرَةَ آلِ عِمْرَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ إِلَى اللَّيْلِ.
মাকহূল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিনে সূরা আলে ‘ইমরান পড়বে, ফেরেশতাগণ তার জন্য রাত পর্যন্ত দু‘আ করতে থাকবেন’।[১৩]
عَنْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ مَنْ قَرَأَ آلَ عِمْرَانَ فَهُوَ غَنِيٌّ وَالنِّسَاءُ مُحَبِّرَةٌ.
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, যে ব্যক্তি সূরা আলে ‘ইমরান পড়বে সে অমুখাপেক্ষী হবে, আর সূরা আন-নিসা হচ্ছে সৌন্দর্যপূর্ণ’।[১৪]
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَقْرَأُ فِىْ رَكْعَتِي الْفَجْرِقُوْلُوْا (اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡنَا) وَالَّتِي فِىْ ( آلِ عِمْرَانَ) (قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ تَعَالَوۡا اِلٰی کَلِمَۃٍ سَوَآءٍۢ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمۡ).
ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের দু’ রাক‘আতে সূরা আল-বাক্বারার اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡنَا এবং সূরা আলে ‘ইমরানের قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ تَعَالَوۡا اِلٰی کَلِمَۃٍ سَوَآءٍۢ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمۡ পাঠ করতেন।[১৫]
সূরা ‘আন-নিসা’ তেলাওয়াত করার ফযীলত
عَنْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ مَنْ قَرَأَ آلَ عِمْرَانَ فَهُوَ غَنِيٌّ وَالنِّسَاءُ مُحَبِّرَةٌ.
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা আলে ‘ইমরান পড়বে সে অমুখাপেক্ষী হবে, আর সূরা আন-নিসা হচ্ছে সৌন্দর্যপূর্ণ’।[১৬]
সূরা আল-বাক্বারাহ, আলে ‘ইমরান, আন-নিসা, আল-মায়িদাহ, আল-আন‘আম, আল-আ‘রাফ ও আত-তওবাহ তেলাওয়াত করার ফযীলত
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّ النَّبِيَّ ৎ قَالَ مَنْ أَخَذَ السَّبْعَ الْأُوْلَ فَهُوَ حَبْرٌ.
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রথম সাতটি সূরা গ্রহণ করবে সে আলিম হিসাবে গণ্য হবে’।[১৭]
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
* পি-এইচ. ডি গবেষক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
[১]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০০৭; ‘ফাযায়েলে কুরআন’ অধ্যায়; অনুচ্ছেদ-৬৬।
[২]. তিরমিযী, হা/২৮৭৫; ‘ফাযায়েলে কুরআন’ অধ্যায়, সনদ ছহীহ।
[৩]. মুসতাদরাক হাকিম, হা/২০৫৬; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৭৭৪; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৪৯৯; সনদ ছহীহ।
[৪]. মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৬৩৩; মুতা-বি‘ এবং শাহিদ অনুযায়ী হাদীছের সনদ হাসান।
[৫]. ছহীহ বুখারী, হা/৭৫৬, ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯৫; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৯৪; তিরমিযী, হা/২৪৭; নাসাঈ, হা/৯১০; মিশকাত, হা/৮২২। ইমাম বুখারী উক্ত হাদীছ উল্লেখ করার পূর্বে নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদ নির্ধারণ করেন, بَابُ وُجُوْبِ الْقِرَاءَةِ لِلْإِمَامِ وَالْمَأْمُوْمِ فِى الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ وَمَا يُجْهَرُ فِيْهَا وَمَا يُخَافَتُ ‘প্রত্যেক ছালাতে ইমাম-মুক্তাদী উভয়ের জন্য ক্বিরা‘আত (সূরা ফাতিহা) পড়া ওয়াজিব। মুক্বীম অবস্থায় হোক বা সফর অবস্থায় হোক, জেহরী ছালাতে হোক বা সের্রী ছালাতে হোক’। দ্রষ্টব্য : ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯৫; হা/৭৫৫-এর অনুচ্ছেদ।
[৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/৩৯৫, ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১১; আবূ দাঊদ, হা/৮২১; তিরমিযী, হা/২৯৫৩; নাসাঈ, হা/৯০৯; ইবনু মাজাহ, হা/৮৩৮; মিশকাত, হা/৮২৩ ।
[৭]. আবূ দাঊদ, হা/৮৫৯; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/১৭৮৪; মিশকাত, হা/৮০৪, সনদ ছহীহ।
[৮]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০১৮, ‘ফাযায়েলে কুরআন’ অধ্যায়, ‘কুরআন তেলাওয়াতের সময় প্রশান্তি নেমে আসে এবং ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়’ অনুচ্ছেদ; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৯৬; মিশকাত, হা/২১১৬।
[৯]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭৮০; মিশকাত, হা/২১১৯।
[১০]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮০৪, ‘কুরআনের মর্যাদাসমূহ ও এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়’ অধ্যায়, ‘কুরআন তেলাওয়াত এবং সূরা আল-বাক্বারাহ তেলাওয়াতের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ; মিশকাত, হা/২১২০।
[১১]. ছহীহ মুসলিম, হা/৮০৫ ‘কুরআনের মর্যাদাসমূহ ও এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়’ অধ্যায়, ‘ছালাতে কুরআন তেলাওয়াত এবং কুরআন শিক্ষা করার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ; মিশকাত, হা/২১২১।
[১২]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭৬৩; মিশকাত, হা/১১৯৫।
[১৩]. দারেমী, হা/৩৩৯৭; মিশকাত, হা/২১৭২, সনদ মওকূফ ছহীহ।
[১৪]. দারেমী, হা/৩৩৯৫, সনদ যায়্যিদ।
[১৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭২৭; মিশকাত, হা/৮৪৩।
[১৬]. দারেমী, হা/৩৩৯৫, সনদ যায়্যিদ।
[১৭]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৪৮৭, সনদ হাসান; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/২১৯১।