শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন

রাহুমুক্ত বাংলাদেশ: সর্বত্র সংস্কার প্রয়োজন 


ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার পতনে রাহুমুক্ত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। সাম্রাজ্যবাদী ভারতের লৌহবেষ্টনী থেকে এদেশ দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দেশে-বিদেশে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকল স্তরের বাংলাদেশী স্বাধীনতার আনন্দোৎসব করেছে। স্বাধীনতার মিষ্টতার অনুভূতিতে সকলেই আন্দোলিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাজ ও স্বতঃস্ফূর্ত জনগণের তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে অত্যাচারী ঘাতকরা। শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে চূড়ান্ত ঔদ্ধত্য প্রদর্শনকারী নব্য ফেরাঊন ও তার বশংবদেরা।  পৃথিবীর ইতিহাসে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর ন্যায় ছাত্র আন্দোলন যেমন কোথায় হয়নি, তেমনি গণঅভ্যুত্থানে গোটা পার্লামেন্টের সকল সদস্যের পদত্যাগের ঘটনাও ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

বিগত ১৫ বছর যাবৎ কুখ্যাত স্বৈরাচার সরকার কুশাসন, দুর্নীতি, চৌর্যবৃত্তি, গুম, খুন, গণহত্যা ও অত্যাচারের রাজত্ব কায়েম করেছিল। দমন-পীড়নের বিভৎস রাজনীতিতে তারা আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল। ক্ষমতার দাপটে জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার নোংরা নীতির প্রচলন করেছিল। প্রতিশোধ লিপ্সা ও অন্যের প্রতি ক্ষোভ তাদেরকে হিংস্র হায়েনার চেয়ে নিচে নামিয়ে দিয়েছিল। বিরোধী পক্ষের দমন এবং তথাকথিত জঙ্গী ও সন্ত্রাসী দমনের নামে হাজার হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। বুলেটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, অত্যাচারের স্টীমরোলার চালিয়েছে জনসাধারণের উপর, যা মধ্যযুগকেও হার মানায়। ২০০৯ সালে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ৫৭ জন নির্দোষ চৌকস ও দক্ষ সেনা সদস্যকে প্রত্যক্ষ ইশারায় হত্যা করেছে, যাতে ক্ষমতার মসনদ স্থায়ীভাবে অক্ষুণ্ন থাকে। নিজ পিতার হত্যার প্রতিশোধে অভিযুক্ত হত্যাকারীকে নিজ হাতে যব্হ করেছে নরপিশাচ রক্তপিপাসু হাসিনা।

২০১৩ সালের ৫ মে তারিখে শাপলা চত্বরে রাতের অন্ধকারে গণহত্যার ঘৃণিত অভিযান চালায়। রক্তপিপাসু খুনির দল লাশগুলো সমুদ্র সৈকতে ফেলেছে, টুকরা টুকরা করে বিভিন্ন স্থানে নিক্ষেপ করেছে। কী নৃশংসতা! কী নির্মমতা! কী নিষ্ঠুরতা!! জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী অসহায় ছাত্রদের উপর সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী কর্র্তৃক বুলেট, টিয়ার সেল, গ্যাস বোমা নিক্ষেপ করে হাজার হাজার ছাত্র ও সাধারণ জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে বুলেট ছুড়েছে, গণগ্রেফতার করে অমানবিক অত্যাচার করে মিথ্যা মামলার আসামী সাজিয়েছে। আবূ সাঈদ ও মুগ্ধদের মত অগণিত তরতাজা যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। শত শত ছাত্র অন্ধত্ব বরণ করেছে, হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিনাতিপাত করছে, কেউবা হাত-পা হারিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, গুলি ও বুলেটের আঘাতে কারো দেহ ঝাঁজরা করে দিয়েছে। বাঁচার আকুতিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গনের আকাস-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এভাবে কত মায়ের বুক খালি হয়েছে, কত মেধাবী ছাত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে। কিভাবে একজন মানুষের পক্ষে এত হত্যা, এত অত্যাচারের পরেও হাসিমুখে মিথ্যাচার করা সম্ভব! জনগণের সম্মুখে কিভাবে উন্নয়নের মিথ্যা গল্প শুনানো সম্ভব! এগুলো কি স্বৈরাচারীর দুর্ধর্ষ বর্বরতা নয়!

‘আয়নাঘর’ একটি ভয়ংকর জিন্দানখানা ও মৃত্যুকূপ। একশ্রেণীর স্বাধীনচেতা, সৎ ও আপোসহীন ব্যক্তিবর্গ, যারা না-কি অন্যায়ের প্রতিবাদ করত, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করত না, খুনীদের সহযোগী হতে রাজি হত না, সরকারের বিভিন্ন দেশদ্রোহী সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের সমালোচনা করত প্রভৃতি ঠুনকো অযুহাতে যেখানে তাদেরকে আটকে রাখা হত। অমানবিক অত্যাচার, কন্টিনিউ লাঠিচার্জ, উলঙ্গ করে শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে প্রহার, গুপ্তাঙ্গসহ শরীরের সংবেদনশীল স্থানগুলোতে ইলেক্ট্রিক শক, অন্ধকার-দুর্গন্ধযুক্ত ও বিকট কানফাঠানো আওয়াজের ছোট্ট কবরস্থান, বন্দিদের শরীরের হায়েনার দল কর্তৃক পেশাব করে দেয়া, দোষ স্বীকারের জন্য বন্দীদের পিতা-মাতা ও ভাই-বোনদের জোরপূর্বক ধরে আনা ও তাদের সম্মুখে কঠিন নির্যাতন করা, এমনকি বন্দীকে তার পিতা কর্তৃক বলাৎকারে বাধ্য করা, মা ও বোনকে শ্লীলতাহানী করা, হাত ও পায়ের আঙ্গুলে ছুঁই ঢুকানো, অন্ধ প্রকোষ্ঠে একই ভঙ্গিতে মাসের পর মাস বসিয়ে রাখা প্রভৃতি উপায়ে শাস্তি দেয়া হয়। এ যেন বাংলাদেশে এক নতুন আবু গারীব কারাগার ও গুয়ানতানামো কারাগারের প্রতিচ্ছবি। বরং তার চেয়ে ভয়ঙ্কর ও কল্পনাতীতভাবে জঘন্য।


স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষকে নিজেদের পক্ষের নয় বলে এরূপ নৃশংস ও বর্বরভাবে অত্যাচার করার ইতিহাস পৃথিবীতে আর হয়তো কাথাও নেই। র‌্যাবের এই গুম, খুন আর আয়নাঘরের ভয়ংকর গা শিউরে ওঠা লোমহর্ষক কাহিনীগুলো প্রমাণ করে এদের চেয়ে নৃশংস যালিম পৃথিবীতে আর নেই। মানুষ এত নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে! নমরূদ, ফেরাঊন, হাজ্জাজ ইবনু ইউসুফ, চেঙ্গিস খান ও হিটলারের চেয়ে আরো ভয়ংকর ও সাংঘাতিক। মূলত ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী হিসাবেই খুনী ও তার দোসরদের বেপরোয়া চরিত্রের আত্মপ্রকাশ।

আওয়ামী শাসনামলে বিগত পনের বছরে এদেশে বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড হয়েছে ২৬৯৯ জন, গুমের শিকার হয়েছে ৬৭৭ জন এবং কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে ১০৪৮ জন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের তালিকাসহ ২০২৪ সালের ঘটনা যুক্ত করলে নিহতের সংখ্যা ৩০০০ জন ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি সেক্টর দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবন্ত। উন্নয়নের নামে লুটপাঠ, লুণ্ঠন, লাখ ও কোটি টাকা পাচার করে দেশের উপর ঋণের বোঁঝা চাপিয়ে দিয়ে গেছে লুটেরার দল। গত পনের বছরে সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এবং ১৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। সাবেক খুনী প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ৫ হাজার বিলিয়ন মার্কিট ডলার শুধু একটা প্রকল্প থেকেই আত্মসাৎ করেছে। কেবল দুই বড় ব্যবসায়ীর একজনের ঋণ ৩৬ হাজার কোটি টাকা এবং অপরজনের ৬৭ হাজার কোটি টাকা। এভাবে লুটপাঠ ও আর চাঁদাবাজের খতিয়ান করলে কয়েক ভলিউমের বই হয়ে যাবে।

নাস্তিক ও হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগ সিন্ডিকেটে বন্দীত্ব বরণ করেছে, ব্যাংক লুট, ঋণের বোঝা, সড়ক, সেতু ও পরিবহন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, নিয়োগ বাণিজ্য, পাসপোর্ট, রাজস্ব, আমদানী- রপ্তানী, ঔষধ ও পোশাক খাত, মৎস্য ও বনজ সম্পদ, গণপূর্ত, স্বাস্থ্য খাত প্রভৃতি সহ আইন, বিচার ও প্রশাসন বিভাগের সকল স্তরে স্বৈরাচারী সরকার ও তার চাটুকার ভৃত্যরা একদিকে যেমন জবরদখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল, অন্যদিকে রাষ্ট্রের আপটুবটম থেকে নিরপেক্ষ ও সৎ লোককে বঞ্চিত করে দলীয় ক্যাডারদেরকে পদায়ন করে কার্যত দেশের মেরুদণ্ডকে ভেঙ্গে ফেলেছে। বিশ্বের বুকে ধ্বংস করেছে রাষ্ট্রের সম্মান ও মর্যাদা কে। উল্লেখ্য যে, দৃশ্যমান সড়ক, সেতু ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন একটি রাষ্ট্রের মৌলিক উন্নয়ন নয়, বরং জনগণের জান-মাল-খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান- চিকিৎসা-শিক্ষার উন্নয়নই মূলত কার্যকর উন্নয়ন। আর এটাই হবে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল সংস্কার। অথচ গত প্রায় দেড় যুগ উন্নয়নের নামে জনগণকে এই মিথ্যা আশ্বাসই দেয়া হয়েছে। যা ঐতিহাসিক মিথ্যা, ছলনা ও প্রতারণা বৈ কিছুই না!

স্মর্তব্য, যালিমকে আল্লাহ তা‘আলা ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। তাঁর পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন ও ভয়াবহ। যুল্ম ও অহংকার যখন সীমাতিক্রম করে, তখনই আল্লাহ তা‘আলা তাকে দৃষ্টান্তহীন অপমান ও অপদস্থ করে ধ্বংস করেন। নিক্ষিপ্ত করেন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে। পৃথিবীর ইতিহাসে অসংখ্য অহংকারী যালিম ও স্বৈরাচারীর ভয়ঙ্কর পরিণতি তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সুতরাং আগামীতে নেতৃত্ব দানকারীদের জন্য সতর্কবার্তা হল- কখনো যালিম, স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিপরায়ণ হওয়ার দুঃসাহস দেখাবেন না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। অন্যথা যালিমের মসনদ ও অত্যাচারীর সিংসাহন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

পরিশেষে বলতে চাই, স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। অবস্থাদৃষ্টে অনুমিত হচ্ছে যে, রাষ্ট্রের সর্বত্র সংস্কার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দু’টি বিষয়কে সর্বাগ্রে মূল্যায়ন করা অত্যাবশ্যক।

এক. যাদের জীবন ও ত্যাগের বিনিময়ে দেশ রাহুমুক্ত হয়েছে সর্বাগ্রে তাদের উন্নত চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভেঙ্গে পড়া সকল সেক্টরকে সৎ ও যোগ্য মানুষ দ্বারা নতুনরূপে গড়ে তোলা, ভারতের সকল ধরনের হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্রকে কঠোরভাবে অথচ সুকৌশলে দমন করা, শান্তি-শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা আনয়ন ও তা স্থায়ী করা, পাচার ও লুট হওয়া অর্থ দ্রুত ফেরত আনার ব্যবস্থা করা, স্থানীয় পর্যায় থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা ও তার মূলোৎপাটন করা, হত্যাকারী, হত্যার নির্দেশকারী ও হত্যার সহযোগীকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে আসা, ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদী অবৈধ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া ও সংশ্লিষ্ট ফ্যাসিস্টদের বিচারের মুখোমুখি করা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও বাজার মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনয়ন করা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে সকল স্তরে দেশপ্রেমিক ও সৎ সেনাসদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান করে একটি ‘তদন্ত টীম’ গঠন করা যেতে পারে।

দুই. রাষ্ট্রের মৌলিক তিনটি নীতির সংস্কার করা। প্রথমতঃ আইন বিভাগ তথা সংবিধানকে স্থায়ীভাবে সংস্কার করা। যা হবে ধর্মভিত্তিক, নিরপেক্ষ ও জনকল্যাণমূলক। যেখানে আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান গণ্য হবে। দ্বিতীয়তঃ বিচার বিভাগ তথা আদালতকে দলীয় লেঁজুড়বৃত্তি মুক্ত করে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন করা। যাতে মানুষ ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের অধিকার লাভ করে। তৃতীয়তঃ শাসন বিভাগ তথা সকল স্তরের প্রশাসনকে স্বতন্ত্র প্রশাসন হিসাবে সংস্কার করা। যাতে প্রশাসন কোন দলের লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত না হয়, জনগণ যাতে সকল ধরনের নাগরিক সেবা খুব সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে লাভ করতে পারে এবং নাগরিক সেবা পেতে মানুষ যাতে কোনরূপ বৈষম্য ও হেনস্থার শিকার না হয়। এতদ্ভিন্ন প্রশাসন বিভাগকে অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতামূলক বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা। এছাড়া সাধারণ জনগণের উচিত হল- রাষ্ট্র সংস্কারের নিমিত্তে সরকারের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমকে সমর্থন করা, তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা এবং জনস্বার্থ ও দ্বীন পরিপন্থী আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিরোধিতা করা ও উত্তম পরামর্শ প্রদান করা। এভাবেই একটি সুন্দর শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তা‘আলা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করুন, ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদীদের সকল ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে হেফাযত করুন এবং সর্বস্তরে স্থিতিশীলতা ও শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করুন-আমীন!!

رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا اِنَّکَ اَنۡتَ السَّیۡعُ الۡعَلِیۡمُ





প্রসঙ্গসমূহ »: সমাজ-সংস্কার সম্পাদকীয়
খুলূছিয়াত আবশ্যক - সম্পাদকীয়
শৃঙ্খলাপূর্ণ উন্নত সমাজ কাঠামো কাম্য - সম্পাদকীয়
আশ‘আরী ও মাতুরীদী মতবাদের কুপ্রভাব - সম্পাদকীয়
সালাফী মানহাজ : পরিচিতি ও অনুসরণের আবশ্যকতা - সম্পাদকীয়
ইসলামের দৃষ্টিতে ছবি, মূর্তি ও ভাস্কর্য - সম্পাদকীয়
ঈদে মীলাদুন্নবী : শী‘আদের সৃষ্ট অভিশপ্ত অনুষ্ঠান - সম্পাদকীয়
শী‘আ প্রীতি ও সঊদী বিদ্বেষ - সম্পাদকীয়
ইসলামী দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি ও ফলাফল - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ফিলিস্তীন ও ইহুদী আধিপত্যবাদ - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
সমকামিতার ভয়ঙ্কর পরিণতি - সম্পাদকীয়
­­অসহায় মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন! - সম্পাদকীয়
খুন ও ধর্ষণ : নৈরাজ্যের চরম সীমা অতিক্রম - সম্পাদকীয়

ফেসবুক পেজ