শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : অবশ্যই পাওয়া যাবে। রাসূল (ﷺ) বলেন,

‏صَلَاةٌ فِيْ مَسْجِدِيْ أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلَاةٍ فِيْمَا سِوَاهُ إِلَّا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ وَصَلَاةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ أَفْضَلُ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ صَلَاةٍ فِيْمَا سِوَاهُ‏.‏

‘মসজিদুল হারাম ব্যতীত অন্যান্য মসজিদের ছালাত অপেক্ষা আমার মসজিদের ছালাত হাযার গুণ শ্রেষ্ঠ (ফযীলতপূর্ণ)। অন্যান্য মসজিদের ছালাতের তুলনায় মসজিদুল হারামের ছালাত এক লক্ষ গুণ উত্তম (ফযীলতপূর্ণ)’ (ছহীহ বুখারী, হা/১১৯০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৯৪-১৩৯৫)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ), শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর পরবর্তী সংযোজনগুলো বা আজও যে অংশগুলো ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে, সেগুলো একই নিয়মের আওতাধীন। আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে মূল মসজিদে যেমন ছাওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়, ঠিক তেমনি এখানে ছালাত আদায় করলেও বহুগুণ বেশি নেকী অর্জিত হয়। যদিও এই বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে, তবে অধিকাংশ আলেমের মতানুযায়ী ‘নেকীর দিক থেকে মূল এবং সম্প্রসারিত স্থানের বিধান একই। মূল মসজিদে ছালাত আদায় করা হোক কিংবা পরবর্তীতে সম্প্রসারিত স্থানে, নেকীর পরিমাণ একই। অর্থাৎ মসজিদে নববী বা মসজিদে হারামের যে অংশেই ছালাত আদায় করা হোক না কেন, ১ হাজার গুণ বা ১ লাখ গুণ বেশি নেকী পাওয়া যাবে’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া মাক্বালাত ইবনে বায, ১২/২৩১; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল ইবনে উছাইমীন, ২৩/৪২২; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩৬৫৭৮, ৪৫৭৮১৮)।

ইবনু রজব হাম্বালী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মসজিদে নববী বা মসজিদে হারামের যে অংশসমূহ বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেগুলোর গুরুত্ব-মাহাত্ম্য ও ছাওয়াবের পরিমাণ মূল মসজিদের সমতুল্য-ই। এই ব্যাপারে সালাফে ছালিহীনের কেউ কোন মতপার্থক্য করেননি। কেবল পরবর্তীতে কিছু আলেম মতপার্থক্য করেছেন। ‘কিতাবু আখবারিল মাদীনা’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, যদি মসজিদে নববী বৃদ্ধি হতে হতে ‘জাবানাহ’ কিংবা ‘যুল হুলাইফাহ’ পর্যন্তও বিস্তীর্ণ হয়ে যায়, তবুও সেটি মসজিদের মূল অংশ হিসাবেই পরিগণিত হবে’ (ফাৎহুল বারী ইবনে রজব, ২/৪৭৯ পৃ.)। আর রাসূল (ﷺ)-এর যুগে মসজিদে হারাম বা মসজিদে নববীর যে আয়তন ছিল, চাহিদা অনুযায়ী যুগে যুগে তার বৃদ্ধিকরণ করা হয়েছে। ইবনে আবিদীন ও শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুমুল্লাহ) বলেছেন, ‘মূল ও প্রসারিত অংশের ছাওয়াবের পরিমাণ একই। প্রকাশ থাকে যে, মসজিদে নববী বিভিন্ন সময়ে প্রসারিত করা হয়েছে। উমার ফারুক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু), উছমান ইবনু আফফান (রাযিয়াল্লাহু আনহু), ওয়ালীদ অতঃপর মাহদীর যুগে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। অতিরিক্ত অংশটি যদি মূল মসজিদের সমতুল্য‌‌‌ না হত তাহলে নিশ্চয় খলীফাগণ বৃদ্ধি করতেন না। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, বর্তমানে বিস্তৃত অংশ সহ সমস্ত অংশটাকেই মসজিদে নববী বলা হয়। সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী, উদ্বৃত্ত অংশে ছালাত আদায় করলেও হাদীছে বর্ণিত অতিরিক্ত নেকী পাওয়া যাবে’ (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ, ৩৭/২৫১ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আতিক, বগুড়া।





প্রশ্ন (৪০) : ছহীহ হাদীছের দৃষ্টিতে ঈদের তাকবীর কয়টি? ৬ তাকবীরে ছালাত আদায়কারী ব্যক্তির পেছনে ১২ তাকবীরে ছালাত আদায়কারী ব্যক্তি ছালাত পড়তে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : জমি বন্ধকী পদ্ধতি কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : গর্ভধারণের প্রথম মাসগুলোতে (১/৩) রূহ ফুঁকে দেয়ার পূর্বে গর্ভপাত করার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : ফরয ছালাত শেষ করে অর্থাৎ সালাম ফিরিয়ে সুন্নতী যিকিরগুলো পড়ার পর একাকী হাত তুলে দু‘আ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ‘যারা এই দুনিয়ায় অন্ধ তারা আখেরাতেও অন্ধ থাকবে’ দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : সিজদায় গিয়ে কুরআনে বর্ণিত দু‘আ পড়া যাবে কি?     - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : কুরআন তিলাওয়াত, কুরআন মুখস্থ, ইসলামী জ্ঞান চর্চা বা দ্বীনি কাজে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা এবং আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার গ্রহণের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : টিভি, ফ্রিজ, এসি, রাইস কুকার, গান বাজানোর সাউন্ডবক্স, কম্পিউটার, ক্যামেরা, স্মার্ট মোবাইল ইত্যাদি সার্ভিসিং বা মেরামতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশে কেউ হাযারে ২০ টাকা খরচ দিয়ে পাঠালে, টাকা তোলার পর একাউন্টে ২/৩ টাকা থেকে যায়, কোম্পানি পুরো ২০ টাকা কাটে না। এই অবশিষ্ট টাকা গ্রহণ হালাল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : জনৈক ছাহাবী রাসূল (ﷺ)-এর নিকট এসে বিনীতভাবে বললেন, দুনিয়া আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ তিনি দারিদ্র্যের কথা বলেন। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘তুমি কি সেই তাসবীহ মুখস্থ করনি, যা ফেরেশতাদের তাসবীহ এবং এর বরকতে রিযিক প্রদান করা হয়? এই দুনিয়ার চাহিদা তোমার কাছে প্রচুর পরিমাণে আসবে। প্রতিদিন ভোরবেলা তথা সুবহে ছাদিকের পর এই তাসবীহটি প্রতিদিন ১০০ বার পড়ুন। তাসবীহটি হল- ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহি, সুবহা-নালল্ল-হিল আযীম ওয়াবিহামদিহি এবং আস্তাগফিরুল্লাহ’। অতঃপর সাতদিন পর, সেই একই ছাহাবী আবার এলেন এবং বিনীতভাবে বললেন, হে আল্লাহ রাসূল (ﷺ)! দুনিয়া (সম্পদ) আমার কাছে এত বেশি পরিমাণে আসছে যে আমি জানি না কিভাবে বহন করতে হবে বা কোথায় রাখব। আমি একেবারে বিস্মিত যে, এটা দিয়ে কী করা যায়’ (লিসানুল মীযান, ৪/৩০৪ পৃ., হা/৫১০০)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : তারাবীহর ছালাতে কুরআন খতম করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : রাত জাগার কারণে ফজরের ছালাত প্রায়ই ক্বাযা হয়ে যায়। স্কুলে গিয়েও সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় যোহরের ছালাত ক্বাযা হয়। এমতাবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ