উত্তর : আল্লাহর সন্তুষ্টি ও বেশি বেশি সৎ আমল করা এবং দ্বীনদার মানুষের মাঝে থাকার মদীনায় আশ্রয় নিতে পারবে। কারণ নবী (ﷺ) বলেন, ‘এমন এক যামানা আসবে যখন ব্যক্তি তার চাচাতো ভাই ও অপরাপর আত্মীয়স্বজনকে ডেকে বলবে, স্বচ্ছলতার দিকে আস, স্বচ্ছলতার দিকে আস। অথচ মদীনাতে থাকাটাই তাদের জন্য উত্তম যদি তারা জানত। ঐ সত্তার শপথ যার হাতে রয়েছে আমার প্রাণ! মদীনার প্রতি অনাগ্রহবশতঃ যে ব্যক্তি সেখান বেরিয়ে পড়বে আল্লাহ সেখানে তার বদলে আরও ভাল মানুষকে স্থান করে দিবেন। জেনে রাখ, মদীনা হচ্ছে- কামারের হাপরের ন্যায়। ততদিন পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না যতদিন না মদীনা দুষ্ট লোকগুলোকে মদীনা থেকে বের করে দিবে; যেভাবে হাপর লোহার মরিচা দূর করে দেয়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৮১)। অন্য হাদীছে এসেছে, ‘মদীনা হচ্ছে কামারের হাপরের ন্যায়। মদীনা মরিচা (দুষ্ট লোক) বিদূরিত করে এবং ভালকে আরও উজ্জ্বল করে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৭৮৫)। এ হাদীছটির মর্মার্থ বর্ণনায় ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তির ঈমান খালেছ নয় সে মদীনা থেকে বেরিয়ে পড়বে। আর খালেছ ঈমানদার মদীনায় থেকে যাবে’। আনাস ইবনু মালেক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, ‘এমন কোন স্থান নেই যে স্থানে দাজ্জাল প্রবেশ করবে না; শুধু মক্কা ও মদীনা ছাড়া। এর প্রতিটি প্রবেশপথে ফেরেশতারা সারিবদ্ধভাবে পাহারায় থাকবে। এরপর মদীনা মদীনাবাসী সহ তিনটি ঝাঁকুনি খাবে। এর মাধ্যমে আল্লাহ প্রত্যেক কাফের ও মুনাফিককে বের করে দিবেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৭৮২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব ও জবাব, ফৎওয়া নং-৪৪৫৯৩)।
প্রশ্নকারী : ইঞ্জিনিয়ার আরাফাত যামান, পাবনা।