উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সকল সৃষ্টির উপরে মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি আদম সন্তানকে ‘জ্ঞান’ দান করেছেন এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে এমন সব বৈশিষ্ট্য দান করেছেন, যা অন্যান্য সৃষ্ট জীবের মধ্যে নেই। অথচ অত্র ছন্দ বা কবিতায় মানবশিশুকে একটি জ্ঞানহীন ও জড় পদার্থের সাথে তুলনা করত চাঁদ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এ জাতীয় বাক্য বা কবিতাসমূহ মূলত সমাজে প্রচলিত কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এমন কথা বা কবিতা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়া চাঁদের এমন কোন নিজস্ব ক্ষমতা নেই যে, সে মানুষের আহ্বানে সাড়া দিবে। বরং তা আল্লাহর নির্দেশে মানুষের উপকারে নিয়োজিত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন সূর্য ও চন্দ্রকে; যারা অবিরাম একই নিয়মের অনুবর্তী এবং তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি ও দিবসকে’ (সূরা ইবরাহীম : ৩৩)। তিনি আরো বলেন, ‘আর চাঁদের জন্য আমরা নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মনযিল; অবশেষে সেটা শুষ্ক বাঁকা, পুরোনো খেজুর শাখার আকারে ফিরে যায় (সূরা ইয়াসিন : ৩৯-৪০)। সুতরাং যদি কেউ এমন বিশ্বাস করে যে, চাঁদের নিজস্ব ক্ষমতা আছে, তাহলে সে শিরকে পতিত হবে। আর শিরক হল সবচেয়ে বড় গুনাহ (সূরা লুক্বমান : ১৩)।
প্রশ্নকারী : মোস্তাকিমা খাতুন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।