উত্তর : ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য জাদু, তন্ত্রমন্ত্র, তাবীয-কবয করা হারাম। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, مَن أتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَيءٍ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلَاةٌ أرْبَعِيْنَ لَيْلَةً ‘যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে আসল, অতঃপর তাকে (ভাগ্য সম্পর্কে) কিছু জিজ্ঞাসা করল এবং গণকের কথাকে সত্য বলে বিশ্বাস করল, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার কোন ছালাত ক্ববুল হবে না। অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি গণকের কাছে আসল, অতঃপর গণক যা বলল তা সত্য বলে বিশ্বাস করল, সে মূলত মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর উপর যা নাযিল করা হয়েছে তা অস্বীকার করল (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৩০)। পক্ষান্তরে জাদু ও তন্ত্রমন্ত্র সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘সাতটি ধ্বংসাত্মক বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। তার মধ্যে একটি হল- জাদু...’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৬৬, ৬৮৫৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৯)। বাজালা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি আহনাফ ইবনু কায়িসের চাচা জাযই ইবনু মু‘আবিয়ার সচিব ছিলাম। উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মৃত্যুর এক বছর পূর্বে তার লেখা একটি পত্র আমাদের কাছে আসে। পত্রের বিষয়বস্তু এরূপ: ‘প্রত্যেক যাদুকরকে হত্যা করবে, প্রত্যেক মুহরিম অগ্নিপূজারী স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ ছিন্ন করবে এবং তাদেরকে যামযামা থেকে বিরত রাখবে’। অতঃপর আমরা একদিনে তিনজন জাদুকরকে হত্যা করি...’ (আবূ দাঊদ, হা/৩০৪৩, সনদ ছহীহ)। উক্ববাহ ইবন আমীর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, مَنْ تَعَلَّقَ تَمِيْمَةً فَلَا أَتَمَّ اللهُ لَهُ وَمَنْ تَعَلَّقَ وَدَعْةً فَلَا وَدَّعَ اللهُ لَهُ ‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলায় (পরিধান করে) আল্লাহ যেন তার আশা পূরণ না করেন। যে ব্যক্তি কড়ি, শঙ্খ বা শামুক ঝুলায় তাকে যেন আল্লাহ রক্ষা না করেন’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪০৪, সনদ ছহীহ)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ যুহাইর, পাবনা।