উত্তর :ঐ এলাকার লোকদের মুসলিম বলা যাবে না। কারণ মসজিদের হক্ব আদায় না করা মুশরিকদের বৈশিষ্ট্য (সূরা তওবা ১৭)। আর যারা ছালাত আদায় করে কিন্তু মসজিদে এসে জামা‘আতে আদায় করে না, তারা মুনাফিক্ব (সূরা তওবাহ ৫৪; ছহীহ মুসলিম হা/৬৫৪)। মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে বা রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস করে, ছালাত আদায় করে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেই ভয় করে না। আশা করা যায়, ওরা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (সূরা আত-তাওবাহ : ১৮)। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘ঐ ব্যক্তিই মসজিদ নির্মাণ করবে, যে আল্লাহর তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করেছে, শেষ দিবসের উপর ঈমান আনবে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা স্বীকার করবে। পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করবে, আর আল্লাহ ব্যতীত কারও ইবাদত করেনি, নিশ্চয় তারাই হবে সফলকাম। কুরআনে যেখানেই আল্লাহ তা‘আলা ‘আশা করা যায়’ বলেছেন সেটাই অবশ্যম্ভাবী’ (তাফসীরে ত্বাবারী)। সুতরাং যারা মসজিদ আবাদ করে না তারা মুসলিম বা ঈমানদার নয়, বরং তারা বেঈমান, কাফির। ঐ এলাকাবাসীর জন্য দুর্ভোগ। আল্লাহ তাদের হিদায়াত দান করুন-আমীন!!
প্রশ্নকারী : মৃধা, উত্তরা, ঢাকা।