উত্তর :কারো অর্থ হালাল-হারাম মিশ্রিত হলে তাকে অনুমান করে হারাম অর্থ বের করে ফেলবে এবং হক্বদারের কাছে পৌঁছবে। আর হক্বদার না পেলে তার নামে ছাদাক্বাহ করে দিবে। কারণ হারাম অর্থ মিশ্রিত থাকলে তার ইবাদত কবুল হবে না (ছহীহ মুসলিম, হা/১০১৫)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, من جَهِل قَدْرَ الحرام المختلط بماله فإنه يخرج النصفَ والباقي له ‘যে তার সম্পদের সাথে মিশ্রিত হারাম মালের পরিমাণ সম্পর্কে জানে না, সে অর্ধেক অংশ বের করে দেবে আর বাকিটা তার থেকে যাবে’ (আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৫/৫২৮ পৃ.)। যে ব্যক্তি হারাম পন্থায় অর্থোপার্জন করেছে। যেমন জুয়া খেলে, মদ বিক্রয় করে, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে, সূদী ব্যাংকে চাকুরী করে অথবা অন্য কোন হারাম কাজের মাধ্যমে। অতঃপর সে স্বীয় কৃতকর্মে লজ্জিত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে তওবাহ করেছে। এমতাবস্থায় সে যদি হারাম পন্থায় উপার্জিত সমস্ত অর্থ খরচ করে ফেলে, তাহলে তার উপর কোন জরিমানা নেই। পক্ষান্তরে যদি তার হাতে ঐ টাকা এখনো সংরক্ষিত থাকে, তাহলে বিবিধ কল্যাণকর কাজে ব্যয় করে উক্ত টাকা থেকে নিজেকে মুক্ত করা অপরিহার্য। আর যদি সে অভাবগ্রস্ত হয়, সেক্ষেত্রে তার প্রয়োজন মত রেখে অবশিষ্ট টাকা উত্তম কাজে ব্যয় করে নিজেকে মুক্ত করবে (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৯/৩০৮; মাদারিজুস সালিকীন, ১/৩৮৯; যাদুল মা‘আদ, ৫/৭৭৮; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৪/৩৩ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১২৬০৪৫)।
প্রশ্নকারী : আশিক, জামালপুর।