শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
উত্তর : কুরআনে হাত দিয়ে বা কুরআনের নামে শপথ করা ঠিক নয়। কারণ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে শপথ করা যাবে না। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করা শিরক। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,   مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللهِ فَقَدْكَفَرَ أَوْ أَشْرَك  ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করল, সে কুফুরী করল অথবা শিরক করল’ (তিরমিযী, হা/১৫৩৫)।

এছাড়া টাকা ফেরত দিবে বা তার টাকা দিয়ে কিছু করবে না এই শপথ ভঙ্গ করে আগের মতই স্বাভাবিক সবই করবে। তবে এ ক্ষেত্রে শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা আদায় করে নিবে। আল্লাহ‌ তা‘আলা তাঁর নিম্নোক্ত বাণীতে শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা বর্ণনা করেছেন:

لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰهُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُهٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَهۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُهُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ

‘তোমাদের বৃথা শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু যেসব শপথ তোমরা ইচ্ছা করে কর সেগুলোর জন্য তিনি তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। তারপর এর কাফফারা দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের খাদ্য দান, যা তোমরা তোমাদের পরিজনদেরকে খেতে দাও, বা তাদেরকে বস্ত্রদান, কিংবা একজন দাস মুক্তি। অতঃপর যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন ছিয়াম পালন। তোমরা শপথ করলে এটাই তোমাদের শপথের কাফফারা’ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৮৯)।

অতএব শপথের জন্য কাফফারা দিতে হবে। আর তা হল, তিনটি কাজের মধ্য থেকে স্বেচ্ছায় যে কোন একটি কাজ করতে হবে। ১- দশজন দরিদ্রকে মধ্যম শ্রেণীর খাদ্য সকাল-বিকাল দু’বেলা খাওয়াতে হবে। ২- দশ-জন দরিদ্রকে সতর ঢাকা পরিমাণ পোশাক-পরিচ্ছদ দিতে হবে। উদাহরণতঃ একটি পাজামা অথবা একটি লুঙ্গি অথবা একটি লম্বা কোর্তা কিংবা ৩- কোন গোলামকে মুক্ত করে দেয়া (ইবনু কাছীর, কুরতুবী)। এরপর বলা হয়েছে ‘কোন শপথ ভঙ্গকারী ব্যক্তি যদি এ আর্থিক কাফফারা দিতে সমর্থ না হয়, তবে তার জন্য কাফফারা হল, সে তিন দিন ছিয়াম রাখবে’। কোন কোন বর্ণনায় এখানে ধারাবাহিকভাবে তিনটি ছিয়াম রাখার নির্দেশ রয়েছে। তাই ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) ও অন্যান্য কয়েকজন ইমামের মতে শপথের কাফফারা হিসাবে যে ছিয়াম পালন হবে তা ধারাবাহিকভাবে হওয়া যরূরী (ইবনু কাছীর, কুরতুবী)।


প্রশ্নকারী : মারূফা খাতুন, শিবগঞ্জ, বগুড়া।





প্রশ্ন (৩৩) : তাওহীদ ৩ প্রকার। তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ, উলূহিয়্যাহ, আসমা ওয়াছ ছিফাত। এভাবে তাওহীদের প্রকার করা ও এই নামগুলো কখন থেকে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : নিম্নের দু‘আটি পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ইহুদী-খ্রিষ্টান ও অন্য বিধর্মীরা কি উম্মতে মুহাম্মাদীর দলভুক্ত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : এক ব্যক্তির পৈত্রিক কিছু সম্পদ আত্মীয়-স্বজন অবৈধভাবে ভোগ করছে। ফিরিয়ে নিতে গেলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা শরী‘আতে নিষিদ্ধ। এখন সে কোনটা প্রাধান্য দিবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : জনৈক আলেম لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ এই আয়াত সম্পর্কে বলেন যে, এর ব্যাখ্যা হল নিম্নে দু‘আ- لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، وَسُبْحَانَ اللهِ، وَبِحَمْدِهِ، وَأَسْتَغْفِرُ اللهَ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ، الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ আর এর ফযীলত হল, যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকালে উক্ত আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য ছয়টি ফযীলত রয়েছে- (ক) সে শয়তান ও তার সহযোগীদের থেকে রক্ষা পাবে। (খ) তাকে এক কিনতার (অঢেল মাপ) পরিমাণ নেকী দেয়া হবে। (গ) তার জন্য জান্নাতে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেয়া হবে। (ঘ) তার সাথে চোখ জুড়ানো হুরদের বিবাহ দেয়া হবে। (ঙ) তার নিকট দশজন ফেরেশতা উপস্থিত থাকবে। (চ) কুরআন, তাওরাত, ইঞ্জীল ও যাবূর তেলাওয়াত করার মত নেকী দেওয়া হবে। বিশেষ করে সে একটি কবুল হজ্জ ও ওমরার নেকী পাবে। যদি সে ঐ দিন মারা যায় তবে শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : তায়াম্মুমের সঠিক পদ্ধতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মূর্তি পূজার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : আমাদের এলাকায় একটি হাদীছ প্রচলিত রয়েছে যে, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে তার কোন মুসলিম ভাইকে দেখতে যাবে, তাকে জাহান্নাম হতে ষাট বছরের পথ দূরে রাখা হবে’ (আবুদাঊদ, হা/৩০৯৭, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭)। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : তাহিইয়াতুল মসজিদের ২ রাক‘আত ছালাত না পড়ে বসে পড়লে গুনাহ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : যুহ্দ বা দুনিয়াবিমুখতা বলতে কী বুঝায়? তালি দেয়া, ছিঁড়া কাপড় পরা, প্রতিদিন ছিয়াম রাখা, সমাজ থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি কি যুহ্দ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : দোকানে বিড়ি-সিগারেট ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : রাসূল (ﷺ) কখনো কি একাই ফরয ছালাতের পর মুনাজাত করেছেন?       - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ