সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
উত্তর : কুরআনে হাত দিয়ে বা কুরআনের নামে শপথ করা ঠিক নয়। কারণ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে শপথ করা যাবে না। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করা শিরক। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন,   مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللهِ فَقَدْكَفَرَ أَوْ أَشْرَك  ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করল, সে কুফুরী করল অথবা শিরক করল’ (তিরমিযী, হা/১৫৩৫)।

এছাড়া টাকা ফেরত দিবে বা তার টাকা দিয়ে কিছু করবে না এই শপথ ভঙ্গ করে আগের মতই স্বাভাবিক সবই করবে। তবে এ ক্ষেত্রে শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা আদায় করে নিবে। আল্লাহ‌ তা‘আলা তাঁর নিম্নোক্ত বাণীতে শপথ ভঙ্গের কাফ্ফারা বর্ণনা করেছেন:

لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰهُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُهٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَهۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُهُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ

‘তোমাদের বৃথা শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু যেসব শপথ তোমরা ইচ্ছা করে কর সেগুলোর জন্য তিনি তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। তারপর এর কাফফারা দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের খাদ্য দান, যা তোমরা তোমাদের পরিজনদেরকে খেতে দাও, বা তাদেরকে বস্ত্রদান, কিংবা একজন দাস মুক্তি। অতঃপর যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন ছিয়াম পালন। তোমরা শপথ করলে এটাই তোমাদের শপথের কাফফারা’ (সূরা আল-মায়েদাহ : ৮৯)।

অতএব শপথের জন্য কাফফারা দিতে হবে। আর তা হল, তিনটি কাজের মধ্য থেকে স্বেচ্ছায় যে কোন একটি কাজ করতে হবে। ১- দশজন দরিদ্রকে মধ্যম শ্রেণীর খাদ্য সকাল-বিকাল দু’বেলা খাওয়াতে হবে। ২- দশ-জন দরিদ্রকে সতর ঢাকা পরিমাণ পোশাক-পরিচ্ছদ দিতে হবে। উদাহরণতঃ একটি পাজামা অথবা একটি লুঙ্গি অথবা একটি লম্বা কোর্তা কিংবা ৩- কোন গোলামকে মুক্ত করে দেয়া (ইবনু কাছীর, কুরতুবী)। এরপর বলা হয়েছে ‘কোন শপথ ভঙ্গকারী ব্যক্তি যদি এ আর্থিক কাফফারা দিতে সমর্থ না হয়, তবে তার জন্য কাফফারা হল, সে তিন দিন ছিয়াম রাখবে’। কোন কোন বর্ণনায় এখানে ধারাবাহিকভাবে তিনটি ছিয়াম রাখার নির্দেশ রয়েছে। তাই ইমাম আবু হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) ও অন্যান্য কয়েকজন ইমামের মতে শপথের কাফফারা হিসাবে যে ছিয়াম পালন হবে তা ধারাবাহিকভাবে হওয়া যরূরী (ইবনু কাছীর, কুরতুবী)।


প্রশ্নকারী : মারূফা খাতুন, শিবগঞ্জ, বগুড়া।





প্রশ্ন (৮) : মৃত সন্তান জন্ম নিলে জানাযা পড়তে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : নিজ বাড়ী থেকে শ্বশুর বাড়ীর দূরত্ব ৬০/৬৫ কি.মি.। শ্বশুর বাড়ী গিয়ে ছালাত ক্বছর ও জমা করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : ইমামের কুরআন তেলওয়াত শুদ্ধ না হলে, মুক্তাদির ছালাত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : কুরআন তেলাওয়াতের পরে ‘ছাদাক্বাল্লা-হুল ‘আযীম’ বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৩) : খারেজী, শী‘আ ও কাদিয়ানীরা কি কালেমা পড়া মুসলিম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : একই পশুতে কুরবানী ও আক্বীক্বার নিয়ত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫০) : বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মূল জামা‘আতের পর ছালাত আদায়ের সময় ইক্বামত দিয়ে শুরু করায় মসজিদের খাদিম বলেন যে, মূল জামা‘আত হয়ে গেলে পরে ইক্বামত দেয়া যাবে না। তার উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : কুরআন হাতে নিয়ে কোন কিছুর প্রতিজ্ঞা করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : সন্তান জন্ম হওয়ার ৩০ মিনিট পরে মারা গেলে তার আক্বীক্বা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : পাঁচটি রাত জেগে ইবাদত করলে তার জন্য জান্নাত যরূরী হয়ে যাবে। (১) তারবিয়ার রাত বা যিলহজ্জের ৮ তারিখের রাত (২) ‘আরাফার রাত (৩) কুরবানীর রাত (৪) ঈদুল ফিতরের রাত ও (৫) ১৫ শা‘বানের রাত। উক্ত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কোন ইমাম যদি নবী গায়েব জানেন, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, নবী নূরের তৈরি, নবী জীবিত প্রভৃতি আক্বীদা পোষণ করে, তাহলে ঐ ব্যক্তির পিছনে ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ‘দাসী তার মুনিবকে জন্ম দিবে’ হাদীছটির ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ