উত্তর : শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘লাইলাতুল ক্বদর জোড় এবং বিজোড় উভয় রাত্রীতেই হতে পারে। কিন্তু মাস যদি ত্রিশ দিনের হয় তাহলে জোড় রাত্রীতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) একই ব্যাখ্যা করেছেন। সুতরাং মুমিন ব্যক্তির উচিত শেষ দশকের সবকটি রাত্রী-ই জাগরণ করা’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনু তাইমিয়্যাহ, ২৫/২৮৪ পৃ.)। শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘লাইলাতুল ক্বদর রামাযান মাসের শেষ দশকেই লুক্কায়িত আছে এবং তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে, শেষ দশকের জোড় রাত্রীর তুলনায় বিজোড় রাত্রীতে হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সুতরাং যে ব্যক্তি দশ রাত্রী-ই জাগরণ করবেন, তিনি লাইলাতুল ক্বদর পেয়ে যাবেন’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনু বায, ১৫/৪৩০ পৃ.)।
শায়খ ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, রাসূল (ﷺ) ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ও ২৯ শের রাত্রীকে সম্ভাব্য রাত্রী হিসাবে উল্লেখ করেছেন। আদতে কিন্তু জোড় রাত্রীতেও লাইলাতুল ক্বদর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা রাসূল (ﷺ) শেষ দশকে লাইলাতুল ক্বদর অন্বেষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি কোনো রাত্রীকে নির্দিষ্ট করেননি। সুতরাং আশাবাদী ব্যক্তিদের উচিত প্রত্যাশিত লাইলাতুল ক্বদর প্রাপ্তির জন্য শেষ দশকের সবকটি রাত্রী-ই জাগরণ করা’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনু উছাইমীন, ১৪/২২৭-২৩১ পৃ.)। শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘লাইলাতুল ক্বদর রামাযান মাসের শেষ দশকে সংঘটিত হবে। জোড় এবং বিজোড় উভয় রাত্রীতেই হতে পারে। কেননা জোড় রাত্রীগুলোও শেষ দশকের অন্তর্ভুক্ত’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৩৩৯৫২৬)। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন,
كانَ رَسوْلُ اللهِ ﷺ يُجَاوِرُ في العَشْرِ الْأوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَيَقُوْلُ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ القَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
‘রাসূল (ﷺ) রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন এবং বলতেন, তোমরা রামাযানের শেষ দশকে লাইলাতুল ক্বদর অনুসন্ধান কর’ (ছহীহ বুখারী, হা/২০২০; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৬৯; তিরমিযী, হা/৭৯২)। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘তা শেষ দশকে সংঘটিত হবে, তা অতিবাহিত নবম রাতে অথবা অবশিষ্ট সপ্তম রাতে অর্থাৎ লাইলাতুল ক্বদর। ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে অন্য সূত্রে বর্ণিত যে, তোমরা ২৪তম রাত্রীতে অন্বেষণ কর’ (ছহীহ বুখারী, হা/২০২২)।
প্রশ্নকারী : সা‘দ মুহাম্মাদ, খুলনা।