তওবার গুরুত্ব ও ফযীলত
-ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর
(শেষ কিস্তি)
তওবা করার গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় দু‘আ
তওবা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় বাক্য রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে তওবা করা যায়। অতীতে নবী-রাসূলগণও এসব বাক্যের মাধ্যমে মহান প্রভুর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁদের ক্ষমাও করেছেন। এমন কয়েকটি ইস্তিগফারের দু‘আ তুলে ধরা হল-
আদম (আলাইহিস সালাম) ও হাওয়া (আলাইহিস সালাম) নিজেদের ভুল স্বীকার করে মহান রবের নিটক বারবার প্রার্থনা করেছিলেন নি¤েœর (রবের শিখানো) বাক্য দিয়ে-
رَبَّنَا ظَلَمۡنَاۤ اَنۡفُسَنَا ٜ وَ اِنۡ لَّمۡ تَغۡفِرۡ لَنَا وَ تَرۡحَمۡنَا لَنَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
‘তখন তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, আপানি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব’ (আ‘রাফ ৭/২৩)।
মূসা (আলাইহিস সালাম) স্বীয় অপরাধে লজ্জিত হয়ে আল্লাহকে বারংবার বলেছিলেন,
رَبِّ اِنِّیۡ ظَلَمۡتُ نَفۡسِیۡ فَاغۡفِرۡ لِیۡ
‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আমার নিজের প্রতি যুলুম করেছি। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন’ (কাছাছ ২৮/১৬)।
ইউনুস (আলাইহিস সালাম) ঘটনাক্রমে নিজ এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। নৌকা পথে যাওয়া সময় তিনি নদীতে নিক্ষিপ্ত হন। অবশেষে তাকে মাছের পেটে যেতে হয়। সে সময় তিনি মাছের পেট থেকে মহান প্রভুকে বলেছিলেন,
لَّاۤ اِلٰہَ اِلَّاۤ اَنۡتَ سُبۡحٰنَکَ ٭ۖ اِنِّیۡ کُنۡتُ مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ
‘(হে আল্লাহ!) তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি পবিত্র। আমি সীমালংঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত’ (আম্বিয়া ২১/৮৭)। এটাকে অনেকে ‘দু‘আয়ে উইনুছ’ বলে থাকেন।
বিনম্রচিত্তে এই ইস্তিগফার বলার কারণে আল্লাহ তাঁকে মাছের পেট থেকে উদ্ধার করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘বিপদগ্রস্ত কোন মুসলিম যে কোন ব্যাপারে এ দু‘আ পাঠ করবে, তার দু‘আ নিশ্চয় কবুল করা হবে’।[১]
মহান আল্লাহ শেষ যামানার নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উম্মতকে ইস্তিগফারে জন্য কতিপয় দু‘আ শিখেয়েছেন। যা তিনি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ করেছেন। ইস্তিগফারের জন্য এরূপ কয়েকটি দু‘আ তুলে ধরা হল।
رَّبِّ اغۡفِرۡ وَ ارۡحَمۡ وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, দয়ালুদের মধ্যে আপনিই সবচেয়ে বেশি দয়ালু’ (মুমিনূন ২৩/১১৮)।
رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ... وَ تُبۡ عَلَیۡنَا ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ
‘হে প্রভু! আমাদের নিকট থেকে এই কাজ কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি শ্রবণকারী ও সর্বজ্ঞ। আমাদের ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি তওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু’ (বাক্বারাহ ২/১২৭-২৮)।
رَبَّنَا وَ لَا تَحۡمِلۡ عَلَیۡنَاۤ اِصۡرًا کَمَا حَمَلۡتَہٗ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِہٖ ۚ وَ اعۡفُ عَنَّا ٝ وَ اغۡفِرۡ لَنَا ٝ وَ ارۡحَمۡنَا ٝ اَنۡتَ مَوۡلٰىنَا فَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর ভারী ও কঠিন কাজের বোঝা অর্পণ করবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর অর্পণ করেছিলেন। হে আমাদের প্রভু! আমাদের উপর এমন কঠিন দায়িত্ব দিবেন না যা সম্পাদন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের প্রভু! সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন’ (বাক্বারাহ ২/২৮৬)।
অত্র আয়াতের ফযীলত সম্পর্কে হাদীছে এসেছে- ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, الآيَتَانِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ مَنْ قَرَأَ بِهِمَا فِى لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ ‘যে ব্যক্তি রাতের বেলায় সূরা বাক্বারাহর শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে তা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে’।[২]
رَبِّ اجۡعَلۡنِیۡ مُقِیۡمَ الصَّلٰوۃِ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِیۡ ٭ۖ رَبَّنَا وَ تَقَبَّلۡ دُعَآءِ - رَبَّنَا اغۡفِرۡ لِیۡ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَوۡمَ یَقُوۡمُ الۡحِسَابُ
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ছালাত কায়েমকারী করুন এবং আমাদের সন্তানাদিকেও। হে আমাদের প্রভু! আমাদের দো‘আ কবুল করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন যেদিন হিসাব কায়েম হবে’ (ইবরাহীম ১৪/৪০-৪১)।
رَبَّنَا اغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَ اِسۡرَافَنَا فِیۡۤ اَمۡرِنَا وَ ثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَ انۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের পাপগুলো মোচন করে দিন, আর আমাদের কাজে যতটুকু বাড়াবাড়ী হয়ে গেছে তাও মোচন করে দিন। আমাদেরকে দৃঢ় রাখুন এবং কাফেরদের উপর আমাদেরকে সাহায্য করন’ (আলে ‘ইমরান ৩/১৪৭)।
رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا وَ ارۡحَمۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰحِمِیۡنَ
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি, আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি রহম করুন। আপনিতো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’ (মু’মিনূন ২৩/১০৯)।
অনুরূপভাবে হাদীছেও ইস্তিগফারে জন্য অনেক দু‘আ বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে এরূপ কয়েকটি দু‘আ পাঠকদের উদ্দেশ্যে পেশ করা হল।
شَدَّادُ بْنُ أَوْسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَ عَنْ النَّبِيِّ ﷺ سَيِّدُ الِاسْتِغْفَارِ أَنْ تَقُولَ )اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ( قَالَ وَمَنْ قَالَهَا مِنْ النَّهَارِ مُوقِنًا بِهَا فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَمَنْ قَالَهَا مِنْ اللَّيْلِ وَهُوَ مُوقِنٌ بِهَا فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ
শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘ক্ষমা প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ দু‘আ হল তোমার এরূপ বলা-
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
‘আল্লাহ আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ব্যতীত সত্য কোন মাবূদ নেই, আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি আপনার বান্দা, আমি আমার সাধ্যানুযায়ী আপনার চুক্তি ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার কৃতকর্মের মন্দ পরিণাম হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার প্রতি আপনার অনুগ্রহকে আমি স্বীকার করি এবং আমার অপরাধকে স্বীকার করি। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কেননা আপনি ব্যতীত অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই’।
অতঃপর রাসূল (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি এ দু‘আর প্রতি বিশ্বাস রেখে দিনে বলবে আর সন্ধ্যার আগে মারা যাবে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে বিশ্বাস করে রাতে বলবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।[৩]
عَنْ بِلَالِ بْنِ يَسَارٍ بْنِ زَيْدٍ مَوْلَى النَّبِىِّ ﷺ حَدَّثَنِى أَبِى عَنْ جَدِّى سَمِعَ النَّبِىَّ ﷺ يَقُولُ مَنْ قَالَ أَسْتَغْفِرُ اللهَ الْعَظِيمَ الَّذِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ غُفِرَ لَهُ وَإِنْ كَانَ فَرَّ مِنَ الزَّحْفِ
নবী করীম (ﷺ)-এর আযাদকৃত গোলাম যায়দের পুত্র ইয়াসার তার পুত্র বেলাল (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমার পিতা আমার দাদার মাধ্যমে বলেন যে, আমার দাদা যায়দ বলেছেন, তিনি রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি বলল,
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
‘আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই। যিনি ব্যতীত কোন সত্য মাবূদ নেই। যিনি চিরঞ্জীব চির প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর নিকট তাওবাকারী। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন যদিও সে জিহাদের মাঠ হ’তে পালিয়ে গিয়ে থাকে’।[৪]
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকালে পূর্বে এ দু‘আটি খুব বেশি বেশি পড়তেন-
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
‘মহান পবিত্র আল্লাহ, সকল প্রশংসার প্রাপ্য একমাত্র তিনিই, আমি আপনার নিকট সকল পাপের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি ও তওবা করছি’।[৫] ইস্তিগফারের জন্য অত্র উচ্চারণে সহজ, ছোট এবং খুবই সুন্দর। এটি আমরা প্রতিদিন অধিকাবার করে পড়তে পারি।
একদা একজন বড় (কাবীরা গুনাহগার) অপরাধী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে স্বীয় অপরাধ স্বীকার করেন। আর বলেন, আমার পাপের জন্য আমাকে শাস্তি দিন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার জন্য আফসোস! তুমি চলে যাও, আল্লাহ্র কাছে ইস্তেগফার কর এবং তওবা কর। হাদীছে বলতে বলা হয়েছে-
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
‘আমি আল্লাহ্র ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাঁর দিকেই (তাঁর বিধানের) প্রত্যাবর্তন করছি’।[৬]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যেক ছালাত শেষে তিনবার ইস্তিগফার করতেন। তিনি ইস্তিগফারের শব্দ হিসাবে বলতেন,
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
‘হে আল্লাহ! আপনি আমার পাপ সমূহ ক্ষমা করে দিন’।[৭] তাছাড়া ছাহাবীগণও বিভিন্ন সময় ইস্তিগফারের জন্য উক্ত দু‘আটি পড়েছেন।[৮]
সুধী পাঠক! আল-কুরআন ও ছহীহ হাদীছ থেকে ইস্তিগফার ও তওবার জন্য বেশ কয়েকটি দু‘আ পেশ করা হয়েছে। যাদের জন্য বড়গুলো মুখস্থ করা ও বলা কঠিন, তাদের জন্য একেবারে ছোট দু‘আও তুলে ধরা হয়েছে। আমারা চাইলে তওবা-ইস্তিগফারের জন্য একাধিক দু‘আ পাঠ করতে পারি। আবার কোন একটিও পড়তে পারি। প্রত্যেক ছালাতে পর কিংবা অপরাধ করার পর এ দু‘আগুলো অধিক পরিমাণে পাঠ করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সকলকে আমল করার তাওফীক্ব দিন। আমীন!
*পরিচালক, ইয়াসিন আলী সালাফী মাদরাসা, রাজশাহী।
তথ্যসূত্র :
[১]. তিরমিযী, হা/৩৫০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৬২; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১৮৬২; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৪৪; মিশকাত, হা/২২৯২, সনদ ছহীহ।
[২] . ছহীহ বুখারী, হা/৫০৪০; ছহীহ মুসলিম, হা/৮০৭; আবুদাউদ, হা/১৩৯৭; তিরমিযী, হা/২৮৮১; ইবনু মাজাহ, হা/১৩৬৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১৩৭; মিশকাত, হা/২১২৫।
[৩]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৩০৬; তিরমিযী, হা/৩৩৯৩; নাসাঈ, হা/৫৫২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১৫২; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৯৩৩; মিশকাত, হা/২৩৩৫।
[৪]. আবুদাউদ, হা/১৫১৭; তিরমিযী, হা/৩৫৭৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/২৫৫০; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২২; মিশকাত, হা/২৩৫৩, হাদীছ ছহীহ।
[৫]. ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪১১১; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৬৪১১।
[৬]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৯৫; দারাকুৎনী, হা/৩১৭৫; মিশকাত, হা/৩৫৬২।
[৭]. ছহীহ মুসলিম, হা/৫৯১; তিরমিযী, হা/৩০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৪৬১।
[৮]. ছহীহ মুসলিম, হা/২৭৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭৫৮৬; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৬২৪; দারেমী, হা/২৭২৩; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩৩৯৮।
প্রসঙ্গসমূহ »:
আত্মশুদ্ধি