সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন

গাযওয়াতুল হিন্দ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

-হাসিবুর রহমান বুখারী*


বর্তমান যুগের তরুণ প্রজন্ম গাযওয়াতুল হিন্দ বা হিন্দুস্তানের যুদ্ধের ব্যাপারে খুবই আবেগপ্রবণ এবং সমাজ পরিবর্তনের অন্ধ আবেগে উন্মাদগ্রস্ত। প্রত্যেক সমাজেই পাপাচার,  অন্যায়-অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন বিদ্যমান। পাপাচারী, অত্যাচারী ও ধর্মহীনদের সংখ্যা সবসময়ই ধার্মিকদের তুলনায় বহুগুণ বেশি। আবেগী ধার্মিক মানুষ, বিশেষত যুব সম্প্রদায়, এ সকল অন্যায় দূরীভূত করে আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। স্বাভাবিকভাবে ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ও দাওয়াত-তাবলীগের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন কষ্টকর, দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ ও অসম্ভব বলেই মনে হয়। এজন্যই গাযওয়াতুল হিন্দ বা ইমাম মাহদীর আগমনের বিষয়টি খুবই আকর্ষণীয় বলে গণ্য করেন অধিকাংশ আবেগী ধার্মিক মানুষ।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, তারা এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছগুলোর বিশুদ্ধতা ও সঠিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সম্পর্কে পরিজ্ঞাত ও সুবিদিত না হয়ে আবেগপ্রবণ বসত পদস্খলিত হচ্ছে। জিহাদের নামে সন্ত্রাসবাদমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। ফলস্বরূপ তাদের মহামূল্যবান জীবনগুলো অন্ধকার কারাগারে অকারণেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কলঙ্কিত করছে ইসলামের স্বচ্ছ ও উন্নত ভাবমূর্তিকে। এ সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে ‘হরকাতুল জিহাদ’ ও ‘আনছারু গাযওয়াতিল হিন্দ’ নামক সংগঠনগুলোর তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। তারা অনেক সময় একজোট হয়ে গাযওয়াতুল হিন্দের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করারও আহ্বান জানায়। এমতাবস্থায় নিজের দ্বীন-ধর্ম বাঁচাতে গাযওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে অবশ্যই সঠিক জ্ঞানার্জন করা উচিত।

হাদীছের আলোকে গাযওয়াতুল হিন্দের প্রামাণিকতা

গাযওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে দু’জন বিশিষ্ট ছাহাবীর বর্ণনা পরিলক্ষিত হয়। তাঁরা হলেন, ১. ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এবং ২. আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু)।

গাযওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হাদীছ সংখ্যা মাত্র একটি। আর সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে শুধু এই হাদীছটিই বিশুদ্ধ সূত্রে ও ছহীহ সনদে প্রমাণিত। অপরদিকে আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকেও বর্ণিত হাদীছ সংখ্যা মূলত একটিই। কিন্তু উক্ত হাদীছটি তাঁর থেকে পৃথক তিনটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আর ঐ তিনটি সূত্রই যঈফ বা দুর্বল। যেমন, শাইখ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

فالخلاصة أن حديث ثوبان هو الذي صح في غزوة الهند ، وأما حديث أبي هريرة فعامة أسانيدها ضعيفة ، فالله أعلم

‘মোদ্দাকথা গাযওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হাদীছটিই ছহীহ। পক্ষান্তরে আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হাদীছগুলোর সনদসমূহ যঈফ বা দুর্বল। আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত’।[১]

এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছগুলোর সংক্ষিপ্ত তাখরীজ ও তাহক্বীক্ব নিম্নে উল্লেখ করা হল-

প্রথম হাদীছ

أَخْبَرَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحِيْمِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوْسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ ، قَالَ : حَدَّثَنِيْ أَبُوْ بَكْرٍ الزُّبَيْدِيُّ ، عَنْ أَخِيْهِ مُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيْدِ ، عَنْ لُقْمَانَ بْنِ عَامِرٍ ، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ عَدِيٍّ الْبَهْرَانِيِّ ، عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَىْ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ " عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِيْ أَحْرَزَهُمَا اللهِ مِنَ النَّارِ : عِصَابَةٌ تَغْزُوْ الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُوْنُ مَعَ عِيْسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ

ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার উম্মতের দু’টি দলকে আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দিয়েছেন। একটি দল, যারা হিন্দুস্তানের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। আর দ্বিতীয় দল, যারা ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম (আলাইহিস সালাম)-এর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে যুদ্ধে থাকবে।[২]

তাহক্বীক্ব : হাদীছটি ছহীহ। শায়খ আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) হাদীছটিকে ছহীহ বলেছেন।[৩]

দ্বিতীয় হাদীছ

حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيْلَ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيْدُ قَالَ أَنْبَأَنَا هُشَيْمٌ قَالَ حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ عَنْ جَبْرِ بْنِ عَبِيْدَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: "وَعَدَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ غَزْوَةَ الْهِنْدِ فَإِنْ أَدْرَكْتُهَا أُنْفِقْ فِيْهَا نَفْسِيْ وَمَالِيْ وَإِنْ قُتِلْتُ كُنْتُ أَفْضَلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ رَجَعْتُ فَأَنَا أَبُوْ هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে হিন্দুস্তানের জিহাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদি আমি সে জিহাদ পেয়ে যাই তাহলে আমার জান-মাল সব কিছুই তাতে ব্যয় করব এবং যদি আমি শাহাদত বরণ করি, তবে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাবান শহীদ হিসাবে গণ্য হব। আর যদি আমি ফিরে আসি, তাহলে আমি আবূ হুরায়রা জাহান্নাম হতে মুক্তিপ্রাপ্ত হব।[৪]

তাহক্বীক্ব : শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, وهذا إسناد ضعيف بسبب جبر بن عبيدة ‘জাবর ইবনু ‘আবীদার কারণে হাদীছটির সনদ দুর্বল।[৫] ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীছটি মুনকার, এই সনদে জাবর ইবনু ‘আবীদাহ নামক একজন মুনকার ও মাজহূল (অপরিচিত) রাবী আছে।[৬] শায়খ আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন।[৭] শায়খ শু‘আইব আরনাউত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন।[৮] হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) ইবনু হিব্বান (রাহিমাহুল্লাহ)-এর বিশ্বাসযোগ্য করণ বা তাওছীক্বের উপর নির্ভর করে জাবর ইবনু ‘আবীদাহকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন।[৯] কিন্তু শায়খ শু‘আইব আরনাউত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) ও বাশশার (রাহিমাহুল্লাহ) হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর এ মতের সমালোচনায় বলেন, তাকে শুধু ইবনু হিব্বান (রাহিমাহুল্লাহ) ছিক্বাহ্ বা বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছেন। অথচ তিনি ভুলবশতঃ মাজহূল (অপরিচিত) রাবীকে তাওছীক্ব করেছেন। প্রকৃতপক্ষে এ রাবী মাজহূল।[১০]

শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, জাবর ইবনু ‘আবীদাহ থেকে সাইয়্যার ইবনু হাকাম ব্যতীত অন্য কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করেননি। ইবনু হিব্বান (রাহিমাহুল্লাহ) ব্যতীত তাকে কেউ ছিক্বাহ বলেননি। এজন্যই ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, এর পরিচয় পাওয়া যায় না। তার বর্ণিত হাদীছ মুনকার।[১১]

অবশ্য ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর সংকলিত ‘আত-তারীখুল কাবীর’ এবং ইমাম ইবনু আবী হাতিম তাঁর সংকলিত ‘আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল’ গ্রন্থে জাবর ইবনু ‘আবীদাহ্’-এর জীবনী উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তাঁরা উভয়ে জাবর ইবনু ‘আবীদাহ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি।[১২]

এই হাদীছটি অন্য সনদে ইবনু আবী আছীম তাঁর গ্রন্থ ‘কিতাবুল জিহাদে’ (২য় খণ্ড, পৃ. ৬৬৮, হা/২৪৭, ২৯১) বর্ণনা করেছেন। অথচ এ সনদটিও যঈফ। যঈফ হওয়া কারণ হল,

১. এই সনদে হাশীম ইবনু সাঈদ আবূ ইসহাক্ব আলকুফী, আল-বাছরী নামক দুর্বল রাবী আছে। ইমাম ইয়াহইয়া ইবনু  মা‘ঈন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, তার হাদীছ গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি তাকে চিনি না। ইবনু ‘আদী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, তার হাদীছের মুতাবি‘ (অর্থাৎ উক্ত অর্থের হাদীছ অন্য নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের থেকে) পাওয়া যায় না। ইমাম আবূ হাতীম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, সে ‘যঈফুল হাদীছ’ বা দুর্বল বর্ণনাকারী।[১৩]

২. কিনানাহ্ ইবনু নাবীহ নামক যঈফ বা দুর্বল রাবী আছে। আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) যদিও তাকে গ্রহণযোগ্য বলেছেন, কিন্তু সঠিক মতানুসারে তিনি যঈফ। যেমনটি শু‘আইব আল-আরনাউত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) ও বাশ্শার (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর সমালোচনায়।[১৪]

তৃতীয় হাদীছ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ ، أَخْبَرَنَا الْبَرَاءُ ، عَنِ الْحَسَنِ ، عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : حَدَّثَنِيْ خَلِيْلِي الصَّادِقُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنَّهُ قَالَ : " يَكُوْنُ فِيْ هَذِهِ الْأُمَّةِ بَعْثٌ إِلَى السِّنْدِ وَالْهِنْدِ ". فَإِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُ، فَاسْتُشْهِدْتُ فَذَاكَ، وَإِنْ أَنَا - فَذَكَرَ كَلِمَةً - رَجَعْتُ وَأَنَا أَبُوْ هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ قَدْ أَعْتَقَنِيْ مِنَ النَّارِ

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমার সত্যবাদী বন্ধু রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন, এই উম্মতের মধ্যে একটি দল লড়াই করার জন্য সিন্ধু ও হিন্দুস্তানে প্রেরিত হবে। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি যদি সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহীদ হয়ে যেতে পারি তাহলে তো ভাল কথা। আর যদি (জীবিত) ফিরে আসি, তাহলেও আমি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আবূ হুরায়রা হব।[১৫]

তাহক্বীক্ব : শু‘আইব আল-আরনাউত্ব (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, হাদীছটির সনদ দুর্বল।[১৬] হাদীছটি যঈফ হওয়ার কারণ হল,

১. বারা ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াজীদ আল-গানাবী নামক বর্ণনাকারী দুর্বল। হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ), ইয়াহ্ইয়া ইবনু মা‘ঈন (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম নাসাঈ (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁকে যঈফ বলেছেন।[১৭] হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) অন্যত্র বলেন, বারা ইবনু আব্দুল্লাহ যঈফ বা দুর্বল রাবী।[১৮]

২. হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ) ও আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর মাঝে ইনকিতা‘ বা বিচ্ছিন্নতা আছে। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর শ্রবণ প্রমাণিত নয়। যদিও শায়খ আহমাদ শাকির, বিশিষ্ট মুহাদ্দিছ আলাউদ্দীন মুগলতাঈ (রাহিমাহুল্লাহ) ও হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে হাসান বাছরী (রাহিমাহুল্লাহ)-এর শ্রবণ প্রমাণিত।[১৯]

চতুর্থ হাদীছ

حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيْدِ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو ، عَنْ بَعْضِ الْمَشِيْخَةِ عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ :"يَغْزُوْ قَوْمٌ مِنْ أُمَّتِيْ الْهِنْدَ ، فَيَفْتَحُ اللهُ عَلَيْهِمْ حَتَّى يُلْقُوْا بِمُلُوْكِ الْهِنْدِ مَغْلُوْلِيْنَ فِي السِّلَاسِلِ ، يَغْفِرُ اللهُ لَهُمْ ذُنُوْبَهُمْ ، فَيَنْصَرِفُوْنَ إِلَى الشَّامِ فَيَجِدُوْنَ عِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ بِالشَّامِ". وَفِيْ رِوَايَةٍ أُخْرَىْ-" فَلَأَحْرِصَنَّ أَنْ أَدْنُوَ مِنْهُ فَأُخْبِرُهُ أَنِّيْ قَدْ صَحَبْتُكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ ، قَالَ فَتَبَسَّمَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَضَحِكَ، ثُمَّ قَالَ: هَيْهَاتَ هَيْهَاتَ"

আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার উম্মতের একটি দল হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা‘আলা তাঁদেরকে বিজয় দান করবেন, অতঃপর তাঁরা হিন্দুস্তানের রাজাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করে নিয়ে আসবে। আল্লাহ তাঁদের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। তারপর তাঁরা সিরিয়া ফিরে যাবে এবং সেখানে ‘ঈসা ইবনু মারয়্যাম (আলাইহিস সালাম)-কে পাবে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি তখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলেছিলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার খুব আকাঙ্ক্ষা যে, আমি ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁকে সংবাদ দেব যে, আমি আপনার সংশ্রবপ্রাপ্ত একজন ছাহাবী। তিনি বলেন, এতে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হেসে বললেন, সে (যুদ্ধ) তো অনেক দেরি! অনেক দেরি! [২০]

তাহক্বীক্ব : হাদীছটি যঈফ।

১. শাইখ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, বাকিয়াহ্ ইবনু ওয়ালিদ মুদাল্লিস রাবী এবং তিনি আন্ (عن) শব্দ দ্বারা হাদীছ বর্ণনা করেছেন।[২১] ২. ছাফওয়ান ইবনু আমরের শিক্ষক মাজহূল (অপরিচিত)।

গাযওয়াতুল হিন্দ কখন সংঘটিত হবে? সেটা কি সংঘটিত হয়েছে?, না-কি শেষ যামানায় হবে?

উপরিউক্ত আলোচনাতে আমরা দেখলাম যে, গাযওয়াতুল হিন্দের ব্যাপারে ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর হাদীছ তথা প্রথম হাদীছটি ছহীহ। বাকী আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত সব হাদীছ যঈফ। ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হাদীছে কিন্তু গাযওয়াতুল হিন্দের নির্ধারিত সময়কাল উল্লেখ করা হয়নি। তা কখন সংঘটিত হবে, তা কি যে কোন যুগে সংঘটিত হতে পারে? না-কি শেষ যুগে বা মাহদীর যুগেই হবে? এ সম্পর্কে কোন আলোচনা করা হয়নি।

ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ), মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব বুহাইরী (রাহিমাহুল্লাহ), ছিদ্দীক হাসান খান কিন্নৌজী (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ)-এর মতে এ যুদ্ধ বহু পূর্বেই সংঘটিত হয়েছে। মুহাম্মাদ ইবনু ক্বাসিম, সুলতান মাহমূদ গাজনাবী বা মাহমূদ ইবনু সুবুক্তগীনের বিজয়ের মাধ্যমে।[২২] মুসলিম সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে একাধিকবার যুদ্ধাভিযান চালিয়ে জয়লাভ করেছেন। যেমন,

সর্বপ্রথম ওমর ফারুক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর খিলাফাতকালে ১৫ হিজরীতে ‘উছমান ইবনু আবুল ‘আছ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর নেতৃত্বে একটি সামরিক বাহিনী প্রেরণ করা হয়। যারা হিন্দুস্তানের থানা, ব্রূস ও দেবল বন্দরে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। থানাকে বর্তমানে মুম্বাই, ব্রূসকে গুজরাট এবং দেবলকে করাচী বলা হয়। তাঁরা এ সময় ‘সরনদীব’ জয় করেন। যাকে বর্তমানে শ্রীলঙ্কা বলা হয়।[২৩] ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) إِشَارَةٌ نَبَوِيَّةٌ إِلَى أَنَّ الْجَيْشَ الْمُسْلِمَ سَيَصِلُ إِلَى الْهِنْدِ وَالسِّنْدِ (‘অচিরেই হিন্দে এবং সিন্ধুতে মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রবেশের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভবিষ্যদ্বাণী’) শিরোনামের অধীনে বলেন,

وَقَدْ غَزَا الْمُسْلِمُوْنَ الْهِنْدَ فِيْ سَنَةِ أَرْبَعِ وَأَرْبَعِيْنَ فِيْ إِمَارَةِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِيْ سُفْيَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَجَرَتْ هُنَاكَ أُمُوْرٌ فَذَكَرْنَاهَا مَبْسُوْطَةً، وَقَدْ غَزَاهَا الْمَلِكُ الْكَبِيْرُ السَّعِيْدُ مَحْمُودُ بْنُ سُبُكْتُكِينْ صَاحِبُ بِلَادِ غَزْنَةَ وَمَا وَالَاهَا فِي حُدُوْدِ أَرْبَعِ مِائَةٍ فَفَعَلَ هُنَالِكَ أَفْعَالًا مَشْهُوْرَةً وَأُمُوْرًا مَشْكُوْرَةً وَكَسَرَ الصَّنَمَ الْأَعْظَمَ الْمُسَمَّى بِسُومْنَاتْ . . . وَرَجَعَ إِلَى بِلَادِهِ سَالِمًا غَانِمًا

‘৪৪ হিজরীতে মু‘আবিয়াহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর শাসনামলে মুসলিমরা সর্বপ্রথম হিন্দুস্তান আক্রমণ করেন। সে সময়ের ঘটনাপ্রবাহের বিবরণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চারশ’ (৪০০) হিজরী সনের দিকে গাজনী ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলের মহান অধিপতি সুলতান মাহমূদ সুবুক্তগীনের হিন্দুস্তান-অভিযান ও তাঁর বহুবিধ বীরত্বের কাহিনী সর্বজনবিদিত এবং প্রশংসিত। তিনি সেখানের সোমনাথ নামক মন্দিরের সর্ববৃহৎ মূর্তিটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। এরপর তিনি গানিমাতের মাল হিসাবে প্রচুর যুদ্ধলব্ধ সম্পদ নিয়ে নিরাপদে স্বদেশে ফিরে যান’।[২৪] তিনি অন্যত্রে اَلْاَخْبَارُ عَنْ غَزْوَةِ الْهِنْدِ ‘গাযওয়াতুল হিন্দ সংক্রান্ত হাদীছসমূহ’ শিরোনামের অধীনে বলেন,

وَقَدْ غَزَا الْمُسْلِمُوْنَ الْهِنْدَ فِيْ أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ سَنَةَ أَرْبَعِ وَّأَرْبَعِيْنَ، وَكَانَتْ هُنَالِكَ أُمُوْرٌ سَيَأْتِيْ بَسْطُهَا فِيْ مَوْضِعِهَا، وَقَدْ غَزَا الْمَلِكُ الْكَبِيْرُ الْجَلِيْلُ مَحْمُوْدُ بْنُ سُبُكْتُكِينْ، صَاحِبُ غَزْنَةَ، فِيْ حُدُوْدِ أَرْبَعِمِائَةٍ، بِلَادَ الْهِنْدِ فَدَخَلَ فِيْهَا وَقَتَلَ وَأَسَرَ وَسَبَى وَغَنِمَ وَدَخَلَ السُّومْنَاتْ وَكَسَرَ النّدَّ الْاَعْظَمَ الَّذِيْ يَعْبُدُوْنَهُ ... ثُمَّ رَجَعَ سَالِمًا مُؤَيَّدًا مَنْصُوْرًا

‘৪৪ হিজরীতে মু‘আবিয়াহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর শাসনামলে মুসলিমরা সর্বপ্রথম হিন্দুস্তানে যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করেন। সে সময়ের ঘটনাপ্রবাহের বিস্তারিত বিবরণ সামনে আলোচনা করা হবে। চারশ’ (৪০০) হিজরী সনের দিকে গাজনীর সুলতান মাহমূদ সুবুক্তগীনও হিন্দুস্তানে যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করেন। সে সকল যুদ্ধে তিনি অনেক মুশরিককে হত্যা ও বন্দি করেন এবং গানিমাতের মাল হিসাবে প্রচুর ধন-সম্পদ লাভ করেন। তিনি সোমনাথ মন্দিরে প্রবেশ করে মূর্তি পূজকদের সবচেয়ে বড় মূর্তিটি ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর তিনি বিজয়বেশে নিরাপদে হিন্দুস্তান থেকে গাজনিতে ফিরে আসেন’।[২৫]

আল্লামা ছিদ্দীক হাসান খান কিন্নৌজী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আর হিন্দুস্তানের বিষয় হল, ৯২-৯৩ হিজরী সালে উমাইয়াহ্ খলীফা ওয়ালিদ ইবনু আব্দুল মালিকের শাসনামলে মুহাম্মাদ ইবনু ক্বাসীম ছাক্বাফীর নেতৃত্বে হিন্দুস্থান বিজয় লাভ করে। ৯৫ হিজরীতে সিন্ধু থেকে কনৌজের শেষ সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় মুসলিমদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর হিন্দুস্তানের ক্ষমতায় রদবদল হলেও সিন্ধুতে ধারাবাহিকভাবে উমাইয়াহ্ এবং আব্বাসী খালীফাদের প্রতিনিধিগণ দাপটের সাথে রাজত্ব করেছেন। ৪র্থ হিজরীর শেষ দিকে সুলতান মাহমূদ গাজনবী হিন্দুস্তানে আক্রমণ করেন। দফায় দফায় হামলা চালিয়ে তিনি বিজয়লাভ করেন এবং প্রচুর গানীমাতের মাল প্রাপ্ত হন।..তখন থেকে ১২০০ হিজরী পর্যন্ত হিন্দুস্তানের ক্ষমতা মুসলিম সুলতানদের অধীনেই ছিল।[২৬]

শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব বুহাইরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে, গাযওয়াতুল হিন্দ ও সিন্ধের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তা উমাইয়্যাদের শাসনামলেই সংঘটিত হয়েছে। অতঃপর তিনি বিভিন্ন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেন।[২৭]

শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী মনে করেন যে, শেষ যামানায় ক্বিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে অথবা ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর সময়কালে ভারতবর্ষে পুনরায় আক্রমণ করা হবে। অথচ এই মর্মে কোন প্রমাণ নেই। বরং পূর্বালোচনা থেকে এটাই প্রতিভাত হয় যে, হাদীছে যে যুদ্ধের ভবিষ্যদ্বাণী দেয়া হয়েছে তা ঘটে গেছে এবং ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর হাদীছের দু’টি দলকে একই সময়ের সঙ্গে বাঁধা অবান্তর ও অপ্রাসঙ্গিক। বরং প্রতিটি দলের সংঘটিত হওয়ার নিজস্ব সময় রয়েছে। আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।[২৮]

অতএব শেষ যামানার সঙ্গে অথবা ইমাম মাহদীর সময়কালের সঙ্গে গাযওয়াতুল হিন্দকে সুনির্দিষ্ট করা যুক্তিসঙ্গত নয়। সুতরাং যারা বলছেন যে, ‘গাযওয়াতুল হিন্দ এখনো সংঘটিত হয়নি’ তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের জিজ্ঞাসা, ‘তাহলে ইতিপূর্বে ভারতবর্ষে যতগুলো যুদ্ধে মুসলিম সেনাবাহিনীরা জয়লাভ করেছেন, সেগুলো কি গাযওয়াতুল হিন্দের অন্তর্ভুক্ত নয়? যদি না হয়, তাহলে কেন নয়? কোন দলীলের ভিত্তিতে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ভবিষ্যদ্বাণী থেকে এগুলোকে পৃথক করা হচ্ছে?’। যেহেতু আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত হাদীছ ‘হিন্দুস্তানের নেতাদেরকে মুসলিম সেনারা শৃঙ্খলাবদ্ধ অবস্থায় শাম দেশে নিয়ে যাবে। অতঃপর ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাৎ করবে’ যঈফ ও দুর্বল। যার তাহক্বীক্ব ও তাখরীজ পূর্বে আলোচিত হয়েছে। আর এ কথা বহুজন বিদিত যে, যঈফ হাদীছের আলোকে শরী‘আতের কোন বিধান প্রতিষ্ঠিত হয় না বা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না। এরপরেও আমরা কিভাবে বলছি যে, গাযওয়াতুল হিন্দ এখনো সংঘটিত হয়নি বরং তা ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম) অবতরণ কালে সংঘটিত হবে?

পরিশেষে আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলার নিকট দু‘আ করি, তিনি যেন আমাদের সকলকে সঠিক বিষয় বুঝার এবং সঠিক মত গ্রহণ করার তাওফীক্ব দান করেন- আমীন!!

*মুর্শিদাবাদ, ভারত।

তথ্যসূত্র :
[১]. ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৪৫৬৩৬।
[২]. নাসাঈ, হা/৩০৭৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৩৯৬, ২২৪৪৯; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১৮৩৮১; ত্বাবারানী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, ৭ম খণ্ড, পৃ. ২৩; মাজমা‘ঊয যাওয়াইদ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৮৫।
[৩]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৩৯৬; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৯৩৪; ছহীহুল জামে‘, হা/৪০১২।
[৪]. মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১২৮; নাসাঈ, হা/৩১৭৩-৩১৭৪।
[৫]. ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফাৎওয়া নং-১৪৫৬৩৬।
[৬]. মীযানুল ই‘তিদাল, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৮৮, রাবী নং-১৪৩৬।
[৭]. নাসাঈ, হা/৩১৭৩, ৩১৭৪।
[৮]. তাখরীজুল মুসনাদ, হা/৭১২৮।
[৯]. তাক্বরীবুত তাহযীব, রাবী নং-৮৯২।
[১০]. তাহরীরু তাক্বরিবীত তাহযীব, ১ম খণ্ড, পৃ. ২০৯।
[১১]. তাহযীবুত তাহযীব, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৯; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফাৎওয়া নং-১৪৫৬৩৬।
[১২]. আত-তারীখুল কাবীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৩, রাবী নং-২৩৩৩; আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল, ২য় খণ্ড, পৃ. ৫৩৩।
[১৩]. ইবনু আবী হাতীম, আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল, ৯ম খণ্ড, পৃ. ১০৫, রাবী নং-৪৪৩; ইবনু আদী, আল কামিল, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৪১৯, রাবী নং-২০৩২; তাহযীবুল কামাল, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩৮৫, রাবী নং-৭১৩৩; তাহযীবুত তাহযীব, ১১তম খণ্ড, পৃ. ১৭, রাবী নং-৩৭।
[১৪]. তাহরীরু তাক্বরিবীত তাহযীব, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২০১।
[১৫]. মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮২৩।
[১৬]. তাখরীজুল মুসনাদ, হা/৮৮২৩।
[১৭]. লিসানুল মীযান, ৯ম খণ্ড, পৃ. ২৬৬, রাবী নং-২৫৮।
[১৮]. তাহযীবুত তাহযীব, ১৪তম খণ্ড, পৃ. ৪১৯; তাক্বরীবুত তাহযীব, পৃ. ১২১, রাবী নং-৬৪৯; তাহযীবুল কামাল, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৩২, রাবী নং-৬৪০।
[১৯]. মুসনাদে আহমাদ, ১২তম খণ্ড, পৃ. ১০৭-১২২, হা/৭১৩৮; ইকমালু তাহযীবিল কামাল, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮৪, রাবী নং-১২৮৮; তাহযীবুত তাহযীব, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৪৭, রাবী নং-১২৯৬।
[২০]. নাঈম ইবনু হাম্মাদ, আল-ফিতান, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪০৯-৪১০ ও ৩৯৯, হা/১২৩৬, ১২৩৯।
[২১]. ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফাৎওয়া নং-১৪৫৬৩৬।
[২২]. ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফাৎওয়া নং-১৪৮৫২৯।
[২৩]. আতহার মুবারকপুরী, আল-ইক্বদুছ ছামীন ফী ফুতুহিল হিন্দ, ১ম খণ্ড (কায়রো : দারুল আনছার, ২য় সংস্করণ ১৩৯৯ হি. /১৯৭৯ খৃ.), পৃ. ২৬, ৪০, ৪২, ৪৪।
[২৪]. আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ ফিল ফিতান ওয়াল মালাহিম, ১২তম খণ্ড, পৃ. ৩০ ও ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ২২৩।
[২৫]. আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ, ৪থ খণ্ড, পৃ. ৬৩১ ও ১১তম খণ্ড, পৃ. ৩৫৮।
[২৬]. আবজাদুল ‘উলূম, ৩য় খণ্ড, পৃ. ২১৪ ও ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৪৪-৩৪৫; আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ, ৯ম খণ্ড, পৃ. ৭৭, ৯৫, ১১৩; আল-ইক্বদুছ ছামীন, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৪১-১৪২।
[২৭]. বুলুগুল আমানী মিন আসরারীল ফাতহির রাব্বানী, ২২তম খণ্ড, পৃ. ৪১১।
[২৮]. ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফাৎওয়া নং-১৪৮৫২৯।




প্রসঙ্গসমূহ »: যুবসমাজ দাওয়াত ও জিহাদ
সুন্নাতের রূপরেখা (শেষ কিস্তি) - মাইনুল ইসলাম মঈন
ইসলামে রোগ ও আরোগ্য (২য় কিস্তি) - মুকাররম বিন মুহসিন মাদানী
বিদ‘আত পরিচিতি (২৮তম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
বিদ‘আত পরিচিতি (৪র্থ কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
তারুণ্যের উপর সন্ত্রাসবাদের  হিংস্র ছোবল : প্রতিকারের উপায় (২য় কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
ইসলামী তাবলীগ বনাম ইলিয়াসী তাবলীগ (২য় কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা (৩য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আযীযুর রহমান
বিদ‘আত পরিচিতি (১০ম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
ইসলামী পুনর্জাগরণের মূলনীতি (৩য় কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
ইখলাছই পরকালের জীবনতরী (৬ষ্ঠ কিস্তি) - আব্দুল গাফফার মাদানী
হজ্জ ও ওমরার সঠিক পদ্ধতি (২য় কিস্তি) - ড. মুযাফফর বিন মুহসিন
বাউল মতবাদ (শেষ কিস্তি) - গোলাম রহমান

ফেসবুক পেজ