উত্তর : আল্লাহ বলেন, নেককাজ ও তাক্বওয়ায় তোমরা পরস্পরের সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আর আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন কর (সূরা আল-মায়িদাহ : ২)। যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখিত কর্মগুলোই হারাম। তাই আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কোন প্রকারের সাহায্য বা সহযোগিতা করা যাবে না। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গোচরীভূত হয় বা লজ্জাস্থান বিকশিত হয় এমন পোশাক পরিধান করা নাজায়েয। যেমন কিছু ট্রাউজার, জিম বা সুইমিংয়ের পোশাক ইত্যাদি (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৩/৪৩০, ২৪/৪০ পৃ.)। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এমন সংকীর্ণ পোশাক যার ফলে সৃষ্টির অবয়ব প্রকাশিত হয় বা এমন ফিনফিনে পোশাক যার দ্বারা চামড়া আবৃত হয় না তা পরিধান করা নিষেধ। কেননা মহিলাদেরকে এ জাতীয় পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করা হয়েছে। অভিভাবকদের (বাবা ও স্বামীর) উচিত তাদের এধরনের পোশাক পরতে নিষেধ করা’ (ফাতাওয়াউল কুবরা, ৫/৩৫৩ পৃ.)। অন্য হাদীছে এসেছে, যে সমস্ত মহিলা পোশাক পরেও উলঙ্গ হয়ে থাকে তারা জাহান্নামে যাবে (ছহীহ মুসলিম, হা/২১২৮)। উম্মু সালামাহ র বলেন, এক রাতে নবী (ﷺ) নিদ্রা হতে জাগ্রত হয়ে বলেন, সুবহানাল্লাহ! এ রাতে কতই না বিপদাপদ নেমে আসছে এবং কতই না ধনভাণ্ডার উন্মুক্ত করা হচ্ছে। অন্য সব ঘরের নারীদেরকেও সচেতন করে দাও, ‘বহু মহিলা যারা দুনিয়ায় পোশাক পরিহিতা, কিন্তু তারা আখিরাতে হবে বিবস্ত্রা’ (ছহীহ বুখারী, হা/১১৫, ১১২৬,, ৫৮৪৪, ৬২১৮, ৭০৬৯)।
আর সন্দেহযুক্ত কাজকে বর্জন করাই ইসলামের দাবী (ছহীহ বুখারী, হা/৫২)। আর এক্ষেত্রে মূলনীতি হল, إذا اجتَمَع الحلالُ والحرامُ غُلِّبَ الحرامُ ‘যখন কোন বিষয়ে হালাল ও হারামের মাসআলা একত্রিত হয়, তখন হারামের মাসআলা প্রাধান্য পাবে’। অর্থাৎ সেটাকে হারাম বলে গণ্য করতে হবে। অতএব ইসলামের নীতি হল, ‘দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের আগে ধর্মীয় ক্ষতি থেকে বাঁচতে হবে’।
প্রশ্নকারী : খায়রুন আবেদীন, মীরপুর, ঢাকা।