উত্তর : শরী‘আত বহির্ভূত মানত পূর্ণ করা হারাম। এমন প্রত্যেক মানত যা অবৈধ উদ্দেশ্যে ও ভ্রান্ত পদ্ধতিতে মানা হয়েছে তা পূরণ করা নাজায়েয (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ২৩তম খণ্ড, পৃ. ২৩৭, ২৫৮-২৬০)। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, مَنْ نَذَرَ أَنْ يُطِيْعَ اللهَ فَلْيُطِعْهُ وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَهُ فَلَا يَعْصِهِ ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যের মানত করে, সে যেন তাঁর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নাফরমানী বা অবাধ্যতার মানত করে, সে যেন তা না করে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৭০০)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘পাপ কাজে মানত করা যাবে না এবং আদম-সন্তান যে জিনিসের মালিক নয় তার মানতও করা যাবে না’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৪১)।
করণীয় হল- অবৈধ মানত পূর্ণ না করা এবং এর পরিবর্তে কসমের কাফ্ফারা আদায় করা। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘গুনাহের কাজে মানত করা যাবে না এবং এর কাফ্ফারা হল কসম ভঙ্গের কাফ্ফারার অনুরূপ’ (তিরমিযী, হা/১৫২৪-১৫২৫)। অন্যত্র বলেছেন, كَفَّارَةُ النَّذْرِ كَفَّارَةُ الْيَمِيْنِ ‘কসমের কাফ্ফারাই মানতের কাফ্ফারা’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৪৫; আবূ দাঊদ, হা/৩৩২৩; নাসাঈ, হা/৩৮৩২; তিরমিযী, হা/১৫২৮)।
কসমের কাফ্ফারা হল- (১) দশজন দরিদ্রকে মধ্যম ধরনের খাদ্য দান করা। (২) অথবা তাদেরকে বস্ত্র দান করা। (৩) অথবা একটি দাস মুক্ত করা। (৪) কিন্তু যার এগুলোতে সামর্থ্য নেই তার জন্য তিনদিন ছিয়াম পালন করা (সূরা আল-মায়িদাহ : ৮৯)।
প্রশ্নকারী : উমর ফারুক, গাইবান্ধা।