সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
উত্তর : যৌতুক নেয়া জঘন্যতম অপরাধ ও হারাম কাজ। যৌতুক মানে নারীর অবমাননা, নারীর মর্যাদায় কুঠারাঘাত, সংসারে অশান্তির বিষাক্ত দাবানল। ইসলাম নারীকে যথার্থ মোহরানা প্রদান করতে বলেছে। উল্টো তার পরিবারের কাছ থেকে নিতে বলেনি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা তাদেরকে নিজ সম্পদের বিনিময়ে বিবাহের মাধ্যমে গ্রহণ করবে। অবৈধ যৌন-সম্পর্কের মাধ্যমে নয়। অতঃপর তোমরা তাদের মধ্যে যাদের (মাধ্যমে দাম্পত্যসুখ) উপভোগ করবে, তাদেরকে নির্ধারিত মোহর অর্পণ করো। মোহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পরস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’। পরের আয়াতে বলেন, ‘...এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদেরকে তাদের মোহরানা প্রদান কর’ (সূরা আন-নিসা: ২৪-২৫)।

নবী (ﷺ) বলেন, إِنَّ أَحَقَّ الشَّرْطِ أَنْ يُوْفَى بِهِ مَا اسْتَحْلَلْتُمْ بِهِ الْفُرُوجَ ‘সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যা পূরণ করা যরূরী, তা হল সেই বস্তুত যার দ্বারা তোমরা (স্ত্রীদের) গুপ্তাঙ্গ হালাল করে থাক (অর্থাৎ মোহরানা)’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৭২১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪১৮)। মেয়ের পিতার নিকট থেকে যৌতুক নেয়া অর্থলোলুপতা, এক প্রকার ঘুষ। যৌতুকের নামে অসৎ উপায়ে অন্যের অর্থ আত্মসাৎ করা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা অন্যায় ভাবে একে অপরের সম্পদ গ্রাস করো না এবং জেনে-শুনে লোকেদের ধন সম্পদের কিয়দংশ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারকগণকে উৎকোচ দিও না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৮৮)।

আলেমগণ বলেন, ‘নেয়া তো দূরের কথা, জামাই এর মনে পাওয়ার আকাক্সক্ষা এবং না পেলে অন্তরে ব্যথা বা কারো নিকট অভিযোগ করাও অপরাধ’ (মাজাল্লাতুল বুহূছিল ইসলামিয়্যাহ, ২৬/৯৯ পৃ.)। নিঃসন্দেহে হারাম ঋণ পরিশোধ করা শারঈ দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু সমস্যা হল যৌতুকের ঋণ পরিশোধ না করলে যদি শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কন্যার উপর নির্যাতন, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, গঞ্জনা ও ভৎর্সনা করে! স্বামী বা তার বাড়ির লোকেরা যদি তার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায়! শেষ পরিণতি যদি বিবাহ-বিচ্ছেদ, নচেৎ বধূর আত্মহত্যা অথবা লোভী পাষণ্ডদের পরিকল্পিত বধূহত্যা হয়! তবে ঘৃণার সহিত যৌতুকের ঋণ পরিশোধ করবেন। আর যদি পাত্রপক্ষের লোকেরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে, কিংবা তাদের বুঝানো সম্ভবপর হয়, তাহলে ঋণ পরিশোধ করার কোন প্রয়োজন নেই (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৬০১৮৫; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৬৫২৬১, ৯৫০০২)। বাকি থাকল, জামাই ও তার পরিবারের লোকজন দুনিয়াবী তুচ্ছ শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পেলেও কিন্তু পরকালের ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে না।


প্রশ্নকারী : রাজীব বিন আব্দুল বাশার, সাভার, ঢাকা।





প্রশ্ন (৫) : আদম এবং হাওয়া (আলাইহিমাস সালাম)-এর বিয়ে কে পড়িয়েছেন এবং তাদের বিয়ের মোহর কত ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : জনৈক আলেম বলেন, গান শুনলে ক্বিয়ামতের দিন কানের ভিতরে গরম সীসা ঢেলে দেয়া হবে। এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : বৃদ্ধ অসুস্থ ব্যক্তি ছিয়াম পালন করতে না পারলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : সূদী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে এমন ব্যক্তিকে বাসা ভাড়া দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : দাঁতের কোন সমস্যা নেই তবে দাঁতগুলো হলদে। যার কারণে সংকোচবোধ হয়। এমতাবস্থায় স্থায়ীভাবে দাঁতকে সাদা রং করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : সৌন্দর্যের জন্য ভ্রু চাঁছা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, বড় বড় আলেমকে মাওলানা, হযরত না বলে শায়খ বলতে হবে। তার দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : বার্ধক্যের কারণে মাঝে মধ্যে ফোঁটা ফোঁটা পেশাব পড়ে। এমতাবস্থায় ছালাত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩): আমি একজন চাকুরিজীবী। আমার মাসিক বেতন ২০,০০০/- টাকা। আমার পরিবারে সবাই আমার উপর নির্ভর করে। আমি আমার বেতন থেকে সব খরচ প্রদান করি। আমার স্ত্রী, মেয়ে, বাবা, ভাই ও বোন আছে, যাদের খরচ আমি বহন করি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো আমি আমার সম্পদের যাকাত কীভাবে দিব? আমার সম্পদের উৎস শুধু এই বেতন। কিন্তু আমার সমস্ত বেতন আমার পরিবারে ব্যয় হয়ে যায়। অতএব, আমি কখন যাকাত দিব? কিছু মানুষ বলে যে, বেতন কৃষি ফসলের মত। এতে বর্ষপূর্তির বিষয়টি বিবেচ্য নয়। সুতরাং যখন বেতন পাবেন তখনই যাকাত আবশ্যক হবে। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : কোন্ অবস্থায় ছাদাক্বাহ করলে নেকী বেশি পাওয়া যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন(২৮) : ‘রামাযানের প্রথম দশক রহমত, মধ্য দশক মাগফিরাত এবং শেষ দশক নাজাত’ মর্মে আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : বিতর ছালাত ছুটে গেলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ