উত্তর : যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে হিজরী সালের হিসাব করাই শরী‘আত সম্মত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡاَہِلَّۃِ ؕ قُلۡ ہِیَ مَوَاقِیۡتُ لِلنَّاسِ وَ الۡحَجِّ ‘তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে, এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্জের সময় ঠিক করার মাধ্যম’ (সূরা আল-বাক্বারাহ; ১৮৯)। উক্ত আয়াতে আল্লাহ চাঁদকে মাসের শুরু ও শেষ নির্ধারক হিসাবে গণ্য করেছেন। অন্য হাদীছে এসেছে, রাসূল (ﷺ) রামাযান মাসে বেশি বেশি দান-ছাদাক্বা করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/৬)। অন্য হাদীছে রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে ছিয়াম শুরু করবে এবং চাঁদ দেখে ছিয়াম বন্ধ করবে। যদি চাঁদ দেখা না যায়, তবে ৩০ দিন ছিয়াম পূর্ণ করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯০৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৮০)।
উক্ত হাদীছে রাসূল (ﷺ) মাসের শুরু ও শেষ চাঁদ দেখার সাথে নির্দিষ্ট করেছেন এবং এর উপর ছিয়ামের বিধান জারী করেছেন। আর এ বিষয়ে ছাহাবায়ে কেরামের ‘ইজমা’ রয়েছে। সঊদী আরবের ফাতাওয়া বোর্ডের স্থায়ী কমিটিও যাকাতের ক্ষেত্রে হিজরী সনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তাছাড়া ইংরেজী বর্ষ অনুযায়ী হিসাব করলে বছরের হিসাব কম হবে। অর্থাৎ ৩৩ বছরে ১ বছর কমে যাবে। ৩৩ গুণ ১১=৩৬৩ দিন। পক্ষান্তরে হিজরী হলে বছর বেশী হবে। ফলে ফকীর, মিসকীন ও দরিদ্ররা এক বছরের যাকাত বেশি পাবে।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ জাওয়াদ, চট্টগ্রাম।