বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
উত্তর : যাকাতুল ফিতর আদায় করার সময় দু’ধরনের। একটি উত্তম সময় আর অপরটি জায়েয সময়। (ক) উত্তম সময়ের প্রারম্ভ সম্পর্কে শাফিঈ, হাম্বালী, মালিকী মাযহাবত্রয়ের আলেমগণ, সালাফে ছালিহীন, শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) এবং সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, ‘রামাযানের শেষ দিনের সূর্যাস্তের পর থেকে অর্থাৎ শাওওয়াল মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই ফিতরাহ আদায় করতে শুরু করা অপরিহার্য’ (আল-মাজমূঊ, ৬/১২৬; মুগনীউল মুহতাজ, ১/৪০১; আল-ইনছাফ, ৩/১২৫; আল-মুগনী, ৩/৮৯; শারহু মুখতাছার খালীল, ২/২২৮; হাশিয়াতুল ‘আদাবী, ১/৫১৪; ফাৎহুল বারী, ৩/৩৬৮; আশ-শারহুল মুমতি‘, ৬/১৬৬; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমা, ৯/৩৭৩ পৃ.)।

ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ) যাকাতুল ফিতর ফরয করেছেন- অশ্লীল কথা ও বেহুদা কাজ হতে ছিয়ামকে পবিত্র করার লক্ষ্যে এবং মিসকীনদের খাদ্য স্বরূপ। যে ব্যক্তি ঈদের ছালাতের পূর্বে তা আদায় করবে সেটা ক্ববুল ছাদাক্বাহ্ হিসাবে গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি ছালাতের পরে আদায় করবে, তা সাধারণ দান হিসাবে গৃহীত হবে (আবূ দাঊদ, হা/১৬০৯; ইবনু মাজাহ, হা/১৮২৭; সনদ হাসান, ছহীহুল জামি‘, হা/৩৫৭০)। এ হাদীছটি ইঙ্গিত করে যে, রামাযানের শেষ দিনের সূর্যাস্তের সময় থেকে ছাদাক্বাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। কেননা তিনি ছাদাক্বাকে ফিতরের (অর্থাৎ ইফতারের) সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। সুতরাং যোগসূত্রের কারণে ইফতারের সঙ্গে ছাদাক্বার বিশেষীকরণ প্রয়োজন। আর এ কথা বহু প্রসিদ্ধ যে, দিনের শেষে সূর্যাস্তের পর থেকেই ইফতারের সময় শুরু হয়’ (আল-হাবীউল কাবীর, ৩/৩৬২; আল-মুগনী, ৩/৮৯; আশ-শারহুল মুমতি, ৬/১৬৬ পৃ.)।

দ্বিতীয়তঃ ফিতরা আদায়ের কারণ সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘(ছিয়ামের পবিত্রকরণ) অর্থাৎ এখানে ফিতরাকে ছিয়ামের পবিত্রকরণের মাধ্যম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর ছিয়ামের পরিসমাপ্তি ঘটে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে’ (আল-মাজমূঊ, ৬/১২৫; আল-হাবীউল কাবীর, ৩/৩৬২; আল-মুগনী, ৩/৮৯ পৃ.)। পক্ষান্তরে উত্তম সময়ের সমাপ্তি সম্পর্কে ইমাম নববী, ইমাম ইবনে হাযম, শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ, ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম, ইমাম ছানা‘আনী, ইমাম শাওকানী, শায়খ ইবনে বায ও শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ফিতরা আদায়ের শেষ সময় হল- ঈদের ছলাত পর্যন্ত। ঈদের ছালাতের পর পর্যন্ত বিলম্ব করা হারাম। যদি কেউ বিলম্ব করে, সেক্ষেত্রে তা যাকাতুল ফিতর হিসাবে গণ্য হবে না। বরং এটি তার জন্য সাধারণ ছাদাক্বা হিসাবে বিবেচিত হবে’ (আল-মাজমূঊ, ৬/১৪২; আল-মুহাল্লা, ৬/১৪২; হাশিয়াতু আর-রাওজিল মুরবি‘, ৩/২৮২; যাদুল মা‘আদ, ২/২১-২২; সুবুলুস সালাম, ২/১৩৮; আস-সাইলুল জার্রার, পৃ. ২৬৬; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৪/২০১; আশ-শারহুল মুমতি‘, ৬/১৭২ পৃ.)।

(১) ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ) যাকাতুল ফিতর ফরয করেছেন- অশ্লীল কথা ও বেহুদা কাজ হতে ছিয়ামকে পবিত্র করার লক্ষ্যে এবং মিসকীনদের খাদ্য স্বরূপ। যে ব্যক্তি ঈদের ছালাতের পূর্বে তা আদায় করবে সেটা ক্ববুল ছাদাক্বাহ হিসাবে গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি ছালাতের পরে আদায় করবে, তা সাধারণ দান হিসাবে গৃহীত হবে (আবূ দাঊদ, হা/১৬০৯; ইবনে মাজাহ, হা/১৮২৭; সনদ হাসান, ছহীহুল জামি‘, হা/৩৫৭০)।

(২) ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ) প্রত্যক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক সকল মুসলিমের উপর ছাদাকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক ছা পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের ছালাতে বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন (ছহীহ বুখারী, হা/১৫০৩, ১৫০৪, ১৫০৬, ১৫০৭, ১৫০৮, ১৫১০, ১৫১১, ১৫১২; ছহীহ মুসলিম, হা/৯৮৪-৯৮৬)। (৩) নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘কেউ আমাদের এই দ্বীনের অংশ নয় এমন কিছু উদ্ভাবন করলে বা অনুপ্রবেশ ঘটালে তা পরিত্যাজ্য-প্রত্যাখ্যাত’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ধর্মীয় কাজের মধ্যে এমন বিষয় উদ্ভাবন করে যা তাতে নেই (দলীলবিহীন), তা অগ্রহণযোগ্য’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮, ৪৩৮৪; আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৯২৯, ২৪৬০৪, ২৪৯৪৪, ২৫৫০২, ২৫৬৫৯, ২৫৭৯৭)।

দলীলের বিশ্লেষণ হল: প্রথমতঃ যদি কেউ লোকেরা ছালাত আদায় করা পর্যন্ত বিলম্ব করে, তবে সে এমন একটি কাজ করল যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর নির্দেশ মোতাবেক নয়। আর এটিই অগ্রহণযোগ্য (আশ-শারহুল মুমতি‘, ৬/১৭২ পৃ.)। দ্বিতীয়তঃ প্রত্যেক ইবাদতের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত আছে। সুতরাং যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সময় অতিবাহিত করে ফেলে তাহলে তার ঐ ইবাদত ক্ববুল হবে না (আশ-শারহুল মুমতি‘, ৬/১৭৪ পৃ.)। তৃতীয়তঃ এটিকে কুরবানীর উপর ক্বিয়াছ করা হয়েছে। যেমন কুরবানীর পশু ছালাতের পূর্বে যব্হ করা যাবে না, ঠিক তেমনি যাকাতুল ফিতর ছালাতের পরে আদায় করা যাবে না (যাদুল মা‘আদ, ২/২১-২২ পৃ.)। উক্ত আলোচনা থেকে প্রমাণিত হয় যে, যাকাতুল ফিতর আদায় করার উত্তম সময় হল, ঈদের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে ঈদগাহে যাওয়ার আগে পর্যন্ত।

(খ) ফিতরা আদায়ের জায়েয সময় সম্পর্কে মালিকী ও হাম্বালী মাযহাবের আলেমগণ, ইমাম শাওকানী, শায়খ ইবনে বায ও শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রাসূল (ﷺ)-এর ছাহাবীগণ থেকে প্রমাণিত সময়ের একদিন অথবা দু’দিন পূর্বেও ফিতরা আদায় করা জায়েয’ (মিনহুল জালীল, ২/১০৬; আয-যাখীরাহ, ৩/১৫৭; কিফায়াতুত্ব ত্বালীব আর-রাব্বানী, ১/৬৪৬; শারহু মুনতাহাল ইরাদাত, ১/৪৪২; আল-মুগনী, ৩/৮৯; আস-সাইলুল জার্রার, পৃ. ২৬৮-২৬৯; মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৪/৩২ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল ইবনে উছাইমীন, ১৮/২৭০ পৃ.)। ইবনে ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ) লোকেরা ছালাতের উদ্দেশ্যে (ঈদগাহে) যাওয়ার পূর্বেই আমাদেরকে যাকাতুল ফিতর প্রদান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নাফি‘ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইবনু ‘উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ঈদের একদিন ও দু’দিন পূর্বেই তা আদায় করতেন (আবূ দাঊদ, হা/১৬১০)। হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُعْطِيْهَا الَّذِيْنَ يَقْبَلُوْنَهَا وَكَانُوْا يُعْطُوْنَ قَبْلَ الْفِطْرِ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ ‘আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) ঈদের একদিন অথবা দু’দিন পূর্বেই ফিতরার খাদ্যদ্রব্য গ্রহীতাদেরকে দিয়ে দিতেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯১১; ছহীহ মুসলিম, হা/৯৮৪)।


প্রশ্নকারী : আবুল হোসেন, সাতক্ষীরা।





প্রশ্ন (৩) : পবিত্র কুরআন ওযূ ছাড়া স্পর্শ যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : জনৈক ব্যক্তির পিতা সূদী ব্যাংকে টাকা রেখে সেই টাকার সূদ ভক্ষণ করে। তাকে বুঝালেও সে বুঝে না। তিনি মারা যাওয়ার পর যদি তার কবরের পাশে গিয়ে তার সন্তান ৪০ দিন পর্যন্ত সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করে, তবে তার পিতার কবরের আযাব মাফ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : কিছু সংখ্যক কাফির শত্রুকে হত্যা করার জন্য তথাকথিত শহীদী হামলার নামে নিজেকে বিস্ফোরিত করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫): আমি একজন প্রবাসী। প্রবাসেই  রামাযানের ছিয়াম রাখি। প্রশ্ন হল- আমাকে কি আমার ফিতরা প্রবাসেই আদায় করতে হবে, না-কি দেশে আমার পরিবারকে আমার ফিতরা আদায় করার দায়িত্ব দিতে পারব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : মানুষের সাথে সবসময় যে কারিন জিন থাকে এই জিন কি মানুষের ক্ষতি করতে পারে? এ থেকে বাঁচার উপায় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : মুবাহালার বিধান কী? এটা কি শুধু রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য খাছ ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : দীর্ঘ মেয়াদী ঋণী ব্যক্তি কি হজ্জ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : খাদ্য ও পানীয় হারাম হলে দু‘আ কবুল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : যে ব্যক্তি ছালাতের সংরক্ষণ করবে ক্বিয়ামতের দিন তা তার জন্য জ্যোতি, প্রমাণ ও মুক্তির উপায় হবে। আর যে তার হেফাযত করবে না তার জন্য তা জ্যোতি, প্রমাণ ও মুক্তির উপায় হবে না। ক্বিয়ামতের দিন সে কারূণ, ফেরআঊন, হামান ও উবাই ইবনু খালাফের সাথী হবে (মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৭৬; মিশকাত, হা/৫৭৮), বর্ণনাটি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫১) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির বর্তমানে পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু পাওনাদারদের কাছে মিথ্যা কথা বলতে হয়। এমতাবস্থায় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করে ব্যাংকের নিকট ঋণগ্রস্ত থাকা যাবে কি? যদিও এই লোন সূদ যা হারাম। আবার বান্দার হক্বও আল্লাহ মাফ করবেন না। আল্লাহর কাছে তওবা করে কি ব্যাংক থেকে লোন নেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : উটের মালিক সম্মান ও ইজ্জতের অধিকারী এবং ছাগল বরকতপূর্ণ প্রাণী। আর ঘোড়ার কপালে ক্বিয়ামত পর্যন্ত কল্যাণ বাঁধা থাকবে। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ‘যে ব্যক্তি সকালে ও বিকালে সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের আগে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে সে যেন একশ’টি হজ্জ আদায় করল বা একশ’টি উট আল্লাহর ওয়াস্তে দান করল। যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলল সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ১০০টি ঘোড়ার পিঠে মুজাহিদ প্রেরণ করলো অথবা আল্লাহর রাস্তায় ১০০ টি গাযওয়া বা অভিযানে শরীক হলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করলো, সে যেন ইসমাঈল বংশের একশ’ ব্যক্তিকে দাসত্ব থেকে মুক্তি প্রদান করলো। আর যে ব্যক্তি এই দুই সময়ে ১০০ বার করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলল, ঐ দিনে তার চেয়ে বেশি আমল আর কেউ করতে পারবে না। তবে যদি কেউ তার সমান এই যিকরগুলো পাঠ করে বা তার চেয়ে বেশি পাঠ করে তাহলে ভিন্ন কথা। (তাহলে সেই শুধু তার উপরে উঠতে পারবে।) ইমাম নাসাঈর বর্ণনায় ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু’-র পরিবর্তে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুআ আলা কুলিল শাইয়্যিন কাদীর’ ১০০ বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে (তিরমিযী, ৫/৫১৩, নং ৩৪৭১; নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা, ৬/২০৫)। উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছ কি আমলযোগ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ