উত্তর : কুরআন এবং সুন্নাতে বর্ণিত দু‘আসমূহ দুই ভাগে বিভক্ত। যথা : (১). নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত দু‘আ-যিকির। যা নির্ধারিত সময় ও নির্দিষ্ট সংখ্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন সকাল-সন্ধ্যার যিকির-আযকার, নিদ্রার পূর্বে ও নিদ্রা হতে জাগ্রত হওয়ার দু‘আ, ফরয ছালাতের পর পঠিতব্য দু‘আ, ফরয ছালাতের পর অথবা নিদ্রার পূর্বে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার পাঠ করা ইত্যাদি। এই প্রকারের দু‘আর ক্ষেত্রে সুন্নাত মুতাবিক নির্ধারিত সময় ও নির্দিষ্ট সংখ্যা মেনে চলা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যকীয়। এর বিপরীত করা যাবে না। হাদীছে বর্ণিত দু‘আর নির্ধারিত ছাওয়াব অর্জনের জন্য রাসূলল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য অপরিহার্য। (২). অনির্দিষ্ট ও সাধারণ দু‘আ-যিকির। যা আল-কুরআন ও ছহীহ সুন্নাতে নির্ধারিত সময় ও নির্দিষ্ট সংখ্যা ছাড়াই পড়তে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এসকল যিকির-আযকার মুসলিমরা যখন ইচ্ছা ও যতবার ইচ্ছা পাঠ করতে পারে। এই অনির্দিষ্ট দু‘আ গুলোর নির্দিষ্টকরণ নিষিদ্ধ ও বিদ‘আত (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২৫৯৪৮২)।
অতএব এমন প্রত্যেক দু‘আ-যিকির যা কোন সময় ও সংখ্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, তা ব্যক্তি ইচ্ছামত পাঠ করতে পারে। যেমন নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘দু’টি কালিমা আছে, যেগুলো দয়াময়ের নিকট অতি প্রিয়, মুখে উচ্চারণ করা খুবই সহজ, কিন্তু দাঁড়িপাল্লায় অত্যন্ত ভারী। (বাণী দু’টো হচ্ছে), ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী সুবহা-ন্নাল্লা-হিল ‘আযীম’, অর্থাৎ আমরা আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, মহান আল্লাহ (যাবতীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে) অতি পবিত্র’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৪০৬)। এছাড়া ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, সুবহা-নাল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আল্লাহু আকবার, দরূদে ইবরাহীম ইত্যাদি দু‘আও সর্বদা পাঠ করা যায় (তিরমিযী, হা/৩৩৭৫; ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৯৩; সনদ ছহীহ, ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৯১)।
প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেজ, হড়গ্রাম, রাজশাহী।