মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন

ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ১১ রাক‘আতের নির্দেশ দিয়েছিলেন

- ব্রাদার রাহুল হোসেন (রুহুল আমিন)*


ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কত রাক‘আত তারাবীহর নির্দেশ দিয়েছিলেন এ মর্মে দুই ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়। একটি ৮ রাক‘আত এবং অপরটি ২০ রাক‘আত। এর মধ্যে ৮ রাক‘আতের হাদীছগুলো অকাট্য, শক্তিশালী ও ছহীহ। পক্ষান্তরে ২০ রাক‘আতের বর্ণনাগুলো একটিও ছহীহ নয়। নিম্নে  এর পর্যালোচনা পেশ করা হল :

খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত

ইসলামের ইতিহাসে হেদায়াতপ্রাপ্ত চারজন খলীফার মধ্যে ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) দ্বিতীয় খলীফা ছিলেন। ইসলামী শরী‘আতে খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতও অনুসরণীয়। হাদীছে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَعَلَيْهِ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ المَهْدِيِّينَ عَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذ

‘তোমাদের মধ্য হতে যে এই ইখতিলাফ পাবে, তার উপর আবশ্যক হবে, সে আমার সুন্নাত ও হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে মাড়ির দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরবে’।[১] অন্য হাদীছে, اقْتَدُوْا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِيْ أَبِيْ بَكْرٍ وَعُمَر ‘আমার পরে এই দুই ব্যক্তি আবূ বকর এবং ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর আনুগত্য কর’।[২] ইমাম তিরমিযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘এটি হাসান হাদীছ’।

ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ১১ রাক‘আতের নির্দেশ দিয়েছিলেন

عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ ابْنِ أُخْتِ السَّائِبِ عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيْدَ أَنَّهُ قَالَ أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيْمًا الدَّارِىَّ أَنْ يَقُوْمَا لِلنَّاسِ بِإِحْدٰى عَشْرَةَ رَكْعَةً

আমীরুল মুমিনীন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)  উবাই ইবনু কা‘ব এবং তামীম আদ-দারী (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে হুকুম দিয়েছিলেন যে, লোকেদেরকে (রামাযানে রাতের সময়) এগারো রাক‘আত আদায় করাবে।[৩]

হাদীছটি অনেক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। যেমন : ১. শারহু মা‘আনিল আছার। তিনি এর দ্বারা দলীল পেশ করেছেন।[৪] ২. হাফিয যিয়াউল মাক্বদিসী, আল মুখতারাহ।[৫] ৩. বায়হাক্বী, মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আছার।[৬] ৪. মারওয়াযী, ক্বিয়ামুল লায়ল।[৭] ৬. মিশকাতুল মাছাবীহ।[৮] ৭. বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ।[৯] ৯. নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা।[১০]

জ্ঞাতব্য : উক্ত হাদীছের সকল রাবী অত্যন্ত শক্তিশালী, ছিক্বাহ বা নির্ভরযোগ্য এবং কোন রাবীর ব্যাপারে সমালোচনা নেই। এছাড়া এই সনদের একটি হাদীছ ছহীহ বুখারীর ‘কিতাবুল হাজ্জ’-এর মধ্যেও বিদ্যমান আছে।[১১]

উল্লেখ্য যে, মুওয়াত্ত্বা (হা/২৪৯) যে সনদে হাদীছটি উল্লেখিত হয়েছে, ঠিক একই সনদে ছহীহুল বুখারীতে ৩টি, ছহীহ মুসলিমে ১টি, সুনান নাসাঈতে ১টি ও সুনান তিরমিযীতে ২টি হাদীছ নিয়েছেন।[১২] অন্যান্য মুহাদ্দিছও উক্ত হাদীছ গ্রহণ করেছেন।[১৩]

অতএব উক্ত হাদীছের ব্যাপারে বর্তমান যুগের কতিপয় গোঁড়া লোকদের সমালোচনা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ‘মুযত্বারিব’ বলে যে নয়া দাবী উত্থাপন করছে, তা বাতিল ও ভিত্তিহীন।

সনদ পর্যালোচনা

এই হাদীছের একটি অনন্য দিক হল, এই রেওয়ায়েত ছাহাবী ওমর ফারুক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনাকারী সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)ও একজন ছাহাবী। এছাড়াও ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) এবং উক্ত ছাহাবীদ্বয়ের মাঝে কেবল একজন রাবী রয়েছেন, যিনি হলেন মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ)। তিনিও ছহীহ বুখারী ও মুসলিমের অত্যন্ত প্রভাবশালী রাবী।

উক্ত হাদীছের সনদে যাঁরা রয়েছেন, (ক) ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহু)। যিনি একজন ছাহাবী এবং ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা। (খ) সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু)। তিনিও একজন ছাহাবী, যিনি সরাসরি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে হজ্জ পালন করেছেন[১৪] এবং রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর জন্য দু‘আ করেছেন।[১৫] মুহাদ্দিছগণের ঐকমত্যে সকল ছাহাবী ন্যায়পরায়ণ।[১৬] (গ) মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ আল-মাদানী (রাহিমাহুল্লাহ)। যাঁর সম্পর্কে কিঞ্চিৎ সমালোচনা তো দূরের কথা, বরং তাঁর ছিক্বাহ তথা নির্ভরযোগ্যতার উপরেই সকল মুহাদ্দিছ একমত। শুধু ছহীহ বুখারীতে তার বর্ণিত প্রায় ১০৫ টি হাদীছ আছে।[১৭] (ঘ) ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ)। তিনি সুপ্রসিদ্ধ ইমাম চতুষ্টয়ের মধ্যে অন্যতম একজন এবং মদীনার বিখ্যাত ইমাম ও মুহাদ্দিছ। তিনি বিখ্যাত হাদীছের গ্রন্থ ‘মুওয়াত্ত্বা’-এর সংকলক।

সনদের মান

১. ছাহাবী থেকে ছাহাবী : অর্থাৎ ছাহাবী থেকে যিনি রেওয়ায়েত করেছেন তিনিও একজন ছাহাবী।

২. সিলসিলাতুয যাহব তথা গোল্ডেন চেইন : অর্থাৎ ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) এবং ছাহাবীদের মাঝে মাত্র একজন রাবীর পার্থক্য, যেটাকে গোল্ডেন চেইন বলে।

৩. মাদানী সনদ : রেওয়ায়েতের সমস্ত বর্ণনাকারী মাদানী। অতএব রেওয়ায়েত শতভাগ ছহীহ।

সমালোচনা ও তার জবাব

উক্ত বাস্তব অবস্থা জানার পরও কিছু ব্যক্তি ‘ইযতিরাব’ বলে সমালোচনা করেছেন। মাওলানা আব্দুল মতীন দেওবন্দী ‘দলীলসহ নামাযের মাসায়েল’ গ্রন্থে উক্ত হাদীছকে যঈফ প্রমাণ করার জন্য আদা-জল খেয়ে চেষ্টা করেছেন। তিনি উক্ত গ্রন্থে ৪০১-৪০৫ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ পৃষ্ঠা খরচ করে ইযতিরাব প্রমাণ করার জন্য। তার দাবী হল, উক্ত রেওয়ায়েতে তারাবীহ’র রাক‘আত সংখ্যায় ‘ইযতিরাব’ তথা বিভিন্নতা রয়েছে। কোথাও ১১ রাক‘আত, কোথাও ১৩ রাক‘আত, আবার কোথাও ২১ রাক‘আত। কাজেই এটি একটি মুযতারাব রেওয়ায়েত হিসাবে ত্রুটিপূর্ণ।

জবাব

এগারো রাক‘আত ব্যতীত যে সমস্ত রেওয়ায়েতে একুশ রাক‘আত বর্ণিত হয়েছে, ঐগুলো তো প্রমাণিতই নয় রেওয়াতগুলোর বিস্তারিত তাহক্বীক্ব একটু পরে আসবে ইনশাআল্লাহ। প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে ‘ইযতিরাব’ হবে কিভাবে?

সুধী পাঠক! ইযতিরাবের জন্য হাদীছের মান সমপর্যায়ের হওয়া যরূরী। এরপর যরূরী হল সংশ্লিষ্ট হাদীছসমূহে তাতবীক্ব তথা সমন্বয় বিধান করা যায় কি-না তা দেখা। যদি তাতবীক্ব বা সমন্বয় সম্ভব হয়, তাহলে ঐ হাদীছকে মুযতারাব বলা জায়েয নেই। যেমন উছূল শাস্ত্রের অন্যতম ইমাম ইবনুছ ছালাহ (রাহিমাহুল্লাহ) (মৃ. ৬৪৩ হি.) বলেন,

الْمُضْطَرِبُ مِنَ الْحَدِيثِ : هُوَ الَّذِيْ تَخْتَلِفُ الرِّوَايَةُ فِيْهِ فَيَرْوِيْهِ بَعْضُهُمْ عَلَى وَجْهٍ وَبَعْضُهُمْ عَلَى وَجْهٍ آخَرَ مُخَالِفٍ لَهُ وَإِنَّمَا نُسَمِّيْهِ مُضْطَرِبًا إِذَا تَسَاوَتِ الرِّوَايَتَانِ. أَمَّا إِذَا تَرَجَّحَتْ إِحْدَاهُمَا بِحَيْثُ لَا تُقَاوِمُهَا الْأُخْرَى بِأَنْ يَكُوْنَ رَاوِيهَا أَحْفَظَ أَوْ أَكْثَرَ صُحْبَةً لِلْمَرْوِيِّ عَنْهُ أَوْ غَيْرَ ذَلِكَ مِنْوُجُوْهِ التَّرْجِيْحَاتِ الْمُعْتَمَدَةِ فَالْحُكْمُ لِلرَّاجِحَةِ وَلَا يُطْلَقُ عَلَيْهِ حِيْنَئِذٍ وَصْفُ الْمُضْطَرِبِ

‘মুযতারাব হল- ঐ সমস্ত হাদীছ যার রেওয়ায়েতে বৈপরীত্যের ধরণ হবে এমন যে, কিছু রাবী এক রকম তথ্য দিয়েছেন আবার কিছু রাবী অন্যরকম তথ্য দিয়েছেন। তো এই ধরণের হাদীছকে তখনি মুযতারাব বলা যাবে, যখন উভয় রেওয়ায়েত সম-শ্রেণীর ও সম-পর্যায়ের হবে। কিন্তু যখন উভয় হাদীছের মধ্যে একটি রেওয়ায়েত অন্যটির সমতুল্য না হওয়ার ভিত্তিতে অথবা রাবীর স্মরণশক্তির বিচারে অথবা রাবী-মারবীর সখ্যতার দীর্ঘসূত্রতার ভিত্তিতে কিংবা অগ্রাধিকার দেয়ার অন্য কোন সুনির্ধারিত আলামত পাওয়া যাওয়ার ভিত্তিতে যেকোন একটি হাদীছ অগ্রগণ্য সাব্যস্ত হবে, তখন এই অগ্রগণ্য হাদীছকেই আমলে নেয়া হবে। আর এমতাবস্থায় এই রেওয়ায়েত মুযতারাব হবে না’।[১৮]

এখন প্রশ্ন হল- যেখানে একুশ রাক‘আতের হাদীছ প্রমাণিতই নয়, সেখানে একটি সুপ্রমাণিত হাদীছের সাথে সেগুলোকে তুলনা করে প্রমাণিত হাদীছকে মুযতারাব বলা কত বড় খেয়ানতের ব্যাপার ভাবুন। এ যেন সূর্যকে চেরাগ দেখানোর মত।

বাকী থাকল ১৩ রাক‘আতের কথা। ১৩ রাক‘আতের হাদীছ বর্ণনা করেছেন ইমাম মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক্ব (রাহিমাহুল্লাহ)। যা এগারো রাক‘আতের সাথে সাংঘর্ষিক নয়, বরং এতে তাতবীক্ব বা সমন্বয় সম্ভব।

সমন্বয়ের প্রথম ধরন

ইমাম মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক্ব (রাহিমাহুল্লাহ) এশার দুই রাক‘আত সুন্নাত অথবা ফজরের দুই রাক‘আত সুন্নাত সহ তের রাক‘আত বলেছেন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের দুই রাক‘আত সুন্নাতসহ তের রাক‘আত ক্বিয়ামুল লাইল করতেন এ কথাও হাদীছে এসেছে। যেমন,

عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّى ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً بِرَكْعَتَىِ الْفَجْرِ

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের ছালাত ফজরের দুই রাক‘আত সুন্নাত সহ তের রাক‘আত আদায় করতেন।[১৯]

সমন্বয়ের দ্বিতীয় ধরণ

শুধু ছহীহ বুখারীতেই আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে একই বিষয়ে বিভিন্ন বক্তব্য মওজুদ আছে। যেমন- এগারো রাক‘আত (باب فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ)[২০], তের রাক‘আত (باب كَيْفَ كَانَ صَلَاةُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَمْ كَانَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّى مِنَ اللَّيْلِ)[২১], পনের রাক‘আত (باب مَا يُقْرَأُ فِى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ)।[২২]

সুধী পাঠক! উক্ত বর্ণনাগুলোতে সংখ্যার বিভিন্নতা ইযতিরাবের দলীল নয়। কেননা এখানে তাতবীক্ব সম্ভব। আর তা এভাবে-

> যে রেওয়ায়েতে সংখ্যাটি এগারো, সে রেওয়ায়েতের মাফহূম হবে ৮ রাক‘আত তারাবীহ এবং ৩ রাক‘আত বিতর।

> যে রেওয়ায়েতে সংখ্যাটি তের, সে রেওয়ায়েতের মাফহূম হবে ৮ রাক‘আত তারাবীহ, ৩ রাক‘আত বিতর এবং এশা অথবা ফজরের ২ রাক‘আত সুন্নাত।

> যে রেওয়ায়েতে সংখ্যাটি পনের, সে রেওয়ায়েতের মাফহূম হবে ৮ রাক‘আত তারাবীহ, ৩ রাক‘আত বিতর, ২ রাক‘আত এশার সুন্নাত এবং ২ রাক‘আত ফজরের সুন্নাত।

যেহেতু এভাবে রেওয়ায়েতগুলোকে সমন্বয় করা যায়, সেহেতু এতদসংশ্লিষ্ট কোন হাদীছকে মুযতারাব বলা জায়েয হবে না। কেননা এটা তো বড় আশ্চর্যের কথা যে, ছহীহ বুখারীর হাদীছকেও মুযতারাব হওয়ার কারণে বাতিল বলতে হবে!

(চলবে ইনশাআল্লাহ)


* মুর্শিদাবাদ, ভারত।

তথ্যসূত্র : 
[১]. তিরমিযী, হা/২৬৭৬, ২য় খণ্ড, পৃ. ৯৬; আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৬৯২; দারিমী, হা/৯৫; ইরওয়াউল গালীল, হা/২৪৫৫, মিশকাত, হা/১৬৫, সনদ ছহীহ।
[২]. তিরমিযী, হা/৩৬৬২, ২য় খণ্ড, পৃ. ২০৭; ইবনু মাজাহ, হা/৯৭, সনদ ছহীহ।
[৩]. মুওয়াত্ত্বা ইমাম মালিক, হা/২৫১, ১ম খণ্ড, পৃ. ১১৫; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/৪৩৯২, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৯৬; মিশকাত, হা/১৩০২, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৯০, সনদ ছহীহ।
[৪]. শারহু মা‘আনিল আছার, হা/১৬১০, ১ম খণ্ড, পৃ. ২৯৩।
[৫]. কানযুল উম্মাল, হা/২৩৪৬৫, ৮ম খণ্ড, পৃ. ৪০৭; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/৪৩৯২।
[৬]. মা‘রিফাতুস্ সুনান ওয়াল আছার, হা/১৩৬৬, ২/৩৬, ৪৬৮, মুদ্রিত ২/৩০৫।
[৭]. ক্বিয়ামুল লায়ল, পৃ. ২০০।
[৮]. মিশকাতুল মাছাবীহ, হা/১৩০২, পৃ. ১১৫।
[৯]. শারহুস সুন্নাহ, হা/৯৯০-এর অধীনে, ৪/১২০।
[১০]. আস-সুনানুল কুবরা, হা/৪৬৮৭, ৩/১১৩।
[১১]. ছহীহ বুখারী, হা/১৮৫৮।
[১২]. সনদ মুওয়াত্ত্বা মালিক, হা/২৪৯; সনদ ছহীহুল বুখারী, হা/১৮৫৮, ২৮২৪, ৪০৬২, ১৫৬৮; সনদ সুনান নাসাঈ, হা/৪২৯৪; সনদ সুনান তিরমিযী, হা/৯২৫; সনদ সুনান তিরমিযী, হা/২১৬১।
[১৩]. সুনান নাসায়ী কুবরা, হা/৪৬৬৩, ৪৬৬৪, ৪৬৭০, ৪৭৮৭; ত্বাহাবী, শারহু মা‘আনিল আসার, হা/১৭৪১; ত্বাবারাণী’-এর আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/৪২৬২, ৬৬৭৮, ৬৬৭৯, ৫৭১; বায়হাক্বী’-এর সুনানুল কুবরা, হা/৬১৪০, মা‘রিফুস্ সুনান, হা/৫৪১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫৯; মুস্তাখরাজ আবূ ‘আওয়ানা, হা/৫২৭৭, ৫৭১১; মুসনাদুশ্ শশী, ১ম খণ্ড, পৃ. ১৬৪।  
[১৪]. ছহীহ বুখারী, হা/১৮৫৮।
[১৫]. ছহীহ বুখারী হা/১৯০।
[১৬]. মুহাম্মাদ ইবনু খলীফা ইবনু আলী আত-তামীমী, হুকূকুন নবী ‘আলা উম্মাতিহি ফী যাউইল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ (রিয়াদ : আযওয়াউস সালাফ, ১ম সংস্করণ, ১৪১৮ হি./১৯৯৭ খ্রি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৮৭; নাছির ইবনু আলী ‘আইয হাসান আশ-শায়খ, আক্বীদাতু আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আতি ফিছ ছাহাবাতিল কিরাম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) (রিয়াদ : মাকতাবাতুর রুশদ, ৩য় সংস্করণ, ১৪২১ হি./২০০০ খ্রি.), ২য় খণ্ড, পৃ. ৮০৫।
[১৭]. ছহীহ বুখারী হা/৬৮, ৭৭, ১৫৪, ১৫৭, ২১৪, ২৪১, ২৪৯, ৬৩০, ৬৩৪, ৬৪০, ৬৯৫, ৭০৪, ৭৬১, ৭৭৮, ৮৪৪, ১০৩৯, ১০৬৮, ১৪২২, ১৫৩৭, ১৫৫০, ১৫৫৯, ১৮১৮, ১৮২০, ১৮৫৮, ২০৩০, ২১১২, ২২৬০, ২২৭৭, ২২৮৮, ২৩৮০, ২৩৮৫, ২৪৩১, ২৪৩৮, ২৪৮৫, ২৬৩২, ২৬৩৩, ২৭৪৭, ২৭৫০, ২৮২৪, ২৯৯২, ২৯৯৩, ৩০৬০, ৩১১৫, ৩১৪৩, ৩১৯৯, ৩২৩৫, ৩২৫৯, ৩২৮৫, ৩৩৯৮, ৩৪৪৭, ৩৪৫৮, ৩৬৫১ ইত্যাদি।
[১৮]. আবূ ওমর ওছমান ইবনু আব্দির রহমান আশ-শাহরুযূরী, ঊলূমুল হাদীছ লিইবনিছ ছালাহ (বৈরূত : দারুল ফিকর, ১৪২৫ হি./২০০৪ খ্রি.), পৃ. ৯৩-৯৪ ।
[১৯]. ছহীহ মুসলিম, হা/৭৩৭।
[২০]. ছহীহ বুখারী, হা/১৯০৯।
[২১]. ছহীহ বুখারী, হা/১০৮৯।
[২২]. ছহীহ বুখারী, হা/১১১৭।




প্রসঙ্গসমূহ »: ছালাত ছিয়াম-রামাযান
শিক্ষাদানে নববী পদ্ধতি ও কৌশল - হাসিবুর রহমান বুখারী
নফল ছালাত - আল-ইখলাছ ডেস্ক
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আযীযুর রহমান
বিদ‘আত পরিচিতি (১১তম কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ বযলুর রহমান
ছালাতে একাগ্রতা অর্জনের ৩৩ উপায় (৩য় কিস্তি) - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
ব্যভিচার ও ধর্ষণ: সমাধান কোন্ পথে
ছালাতের সঠিক সময় ও বিভ্রান্তি নিরসন (৩য় কিস্তি) - মাইনুল ইসলাম মঈন
কুরবানীর মাসায়েল - আল-ইখলাছ ডেস্ক
সালাম প্রদানের গুরুত্ব ও মর্যাদা (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আরিফ হুসাইন
ছয়টি মূলনীতির ব্যাখ্যা (২য় কিস্তি) - অনুবাদ : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল ক্বাদির
পরবর্তীদের তুলনায় সালাফদের ইলমী শ্রেষ্ঠত্ব (শেষ কিস্তি) - অনুবাদ : আযহার বিন আব্দুল মান্নান
তওবার গুরুত্ব ও ফযীলত (২য় কিস্তি) - ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর

ফেসবুক পেজ