বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন
উত্তর : সবকিছুতেই আল্লাহর উপস্থিতি বা আল্লাহর বিলীন হওয়াকে ‘ওয়াহদাতুল ওজূদ’ বলে। অর্থাৎ পৃথিবীর সবকিছুকেই আল্লাহর অংশ মনে করা (খালেদ ইবনু আব্দুল্লাহ, শারহুল আক্বীদাহ আত-ত্বাহাবিয়াহ, পৃঃ ৬)। তাই সবই আল্লাহ, আল্লাহ আরশে নন, বরং সর্বত্র ও সবকিছুতেই বিরাজমান। স্রষ্টা আর সৃষ্টি একই, কোন পার্থক্য নেই (নাঊযুবিল্লাহ)। এটা পরিষ্কার কুফরী আক্বীদা। পথভ্রষ্ট কথিত ছূফীরা উক্ত আক্বীদা পোষণ করে থাকে। বরং তারা মনে করে কেউ আল্লাহর মাঝে বিলীন হওয়ার মর্যাদা লাভ করলে, তাকে আর শরী‘আতের বিধি-বিধান পালন করতে হয় না (আল-ফিছাল ফিল মিলাল, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৪৩)।

দেওবন্দীদের আধ্যাত্মিক গুরু ইমদাদুল্লাহ (১৮১৪-১৮৯৬ খ্রি.) বলেন, ‘মা‘রেফতের অধিকারী ব্যক্তি সমগ্র পৃথিবীর উপর কর্তৃত্বশীল হয়। আল্লাহ তা‘আলার যে কোন রশ্মিকে নিজের জন্য ধরে নিতে পারে। আল্লাহর যে কোন গুণে ও ইচ্ছায় নিজেকে বিভূষিত করে তার প্রকাশ ঘটাতে পারে। যেহেতু তার মধ্যে আল্লাহর গুণাবলী বিদ্যমান এবং সে আল্লাহর চরিত্রে বিলীন’ (যিয়াউল কুলূব (উর্দূ), পৃ. ২৭-২৮; (বাংলা), পৃ. ৫১)। অন্য এক জায়গায় বলেন, ‘কোনরূপ আড়াল ছাড়াই সে আল্লাহকে দেখতে পাবে। আল্লাহকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করার সে সুযোগ পাবে’ (যিয়াউল কুলূব (উর্দূ), পৃ. ৭ ও ২৫; (বাংলা), পৃ. ২০ ও ৪৪)। তিনি আরেক জায়গায় বলেন, ‘তাওহীদে জাতি হল এই যে, বিশ্বজগতের সবকিছুকে আল্লাহ বলে ধারণা করা’ (যিয়াউল কুলূব (উর্দূ), পৃ. ৩৫; (বাংলা), পৃ. ৬২)।

দেওবন্দী মতবাদে বিশ্বাসী ইলিয়াসী তাবলীগের লোকেরা উপমহাদেশে উক্ত আক্বীদা বেশী প্রচার করে থাকে। অথচ কেউ উক্ত কুফরী আক্বীদা পোষণ করলে তার ঈমান, আমল ও ইসলাম কিছুই থাকবে না (ফাতাওয়া লাজনাহ দায়েমাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫১৬)। কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহ্র মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে এবং তাঁকে সৃষ্টির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা। আল্লাহর বাণী, ‘আল্লাহ সবকিছুরই স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর উপর কর্তৃত্বশীল’ (সূরা আয-যুমার : ৬২)। মূলত উক্ত বিশ্বাস হিন্দুদের সংস্কৃতি থেকে এসেছে। তারা সর্বেশ্বরবাদে বিশ্বাসী। অর্থাৎ তারা সবকিছুকেই ঈশ্বর মনে করে থাকে। আল্লাহ উক্ত আক্বীদা থেকে মুসলিম উম্মাহ্কে হেফাযত করুন-আমীন!!


প্রশ্নকারী : তাসনীম, বগুড়া।




প্রশ্ন (৩৪) : কোন অসুস্থ ব্যক্তি দু‘আ চাইলে শুক্রবারে জুমু‘আর ছালাতের পর সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : রোম ও পারস্যের সম্রাটের নাম কী? রাসূল (ﷺ) ও খলীফাগণের যুগে তাদের অবস্থান কেমন ছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : সমাজে প্রচলিত আছে যে, হজ্জ পালন করে বাড়ীতে ফেরার পর তিনদিন কারো সাথে কথা বলা এবং বাড়ী থেকে বের হওয়া যায় না। গরু-খাসী যবেহ করে সবাইকে খাওয়াতে হয়। বাজারে কিছু কিনতে গেলে একদরে কিনতে হয়। এগুলো কি শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : হাত তুলে দু‘আর শুরুতে হামদ ও দরূদ পাঠ করার কথা হাদীছে আছে। এক্ষণে কী বাক্য দ্বারা হামদ ও দরূদ পাঠ করব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : কোন্ ব্যক্তি ছিয়ামের ফিদইয়া দিবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : ঈদের ছালাতের খুত্ববাহ শেষে দানকৃত অর্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমামকে দেয়া কতটুকু শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : কবর যিয়ারত করা যাবে কি? যিয়ারতে সঠিক নিয়ম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : আমার নামটি জাপানিজ শব্দের। আমি আমার নাম পরিবর্তন করতে চাই। নাম পরিবর্তন করলে আক্বীক্বা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ইলিয়াসী তাবলীগের ফাযায়েলে আমল বইয়ে বলা হয়েছে, আদম (আলাইহিস সালাম) হিন্দুস্তান থেকে পায়ে হেঁটে এক হাযার বার হজ্জ করেছেন (ফাজায়েলে হজ্জ, পৃ.দ ৪০)। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২): নিছাব পরিমাণ হওয়ার সময় আমার কাছে সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ টাকা। বছর ফুর্তির সময় সেটা বেড়ে ২ লক্ষ টাকা হয়। তাহলে কোন্ অংকটির উপর যাকাত হিসাব করতে হবে? নিছাব পরিমাণ হওয়া থেকে, না-কি বছর পুর্তি থেকে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯): জনৈক ব্যক্তি পূর্বে হানাফী মাযহাব অনুসরণ করতেন। পরবর্তীতে সালাফী মানহাজের আলোকে চলার চেষ্টা করছেন। প্রশ্ন হল, সালাফী মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য কিভাবে অনুসরণ করা উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : শীতের কারণে কাপড় অথবা চামড়ার মোজা ব্যবহার করা হয়। মোজার উপর কিভাবে কয়দিন যাবত মাসাহ করতে হবে? অনেক বলেন, চামড়ার মোজা ছাড়া মাসাহ করা যাবে না’। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ