উত্তর : অবৈধ পন্থায় উপার্জিত সম্পদ উপার্জনকারীর জন্য হারাম। কিন্তু ঐ ব্যক্তি থেকে শারঈ পন্থায় যিনি গ্রহণ করবেন, তা তার জন্য হালাল। তবে এ সম্পদ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কারণ তার সম্পদ গ্রহণ না করাতে হারামখোরের মধ্যে পরিবর্তনও হতে পারে। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত,
أنَّهُ سُئِلَ عَمَّنْ لَهُ جَارٌ يَأكُلُ الرِّبَا عَلَانِيَّةً وَلَا يَتَحَرَّجُ مِن مَّالٍ خَبِيْثٍ يَأخُذُهُ يَدْعُوْهُ إِلَى طَعَامِهِ قَالَ أَجِيْبُوْهُ فَإنَّمَا الْمَهْنأُ لَكُمْ وَالْوِزْرُ عَلَيْهِ
‘সূদী কারবারে যুক্ত এক প্রতিবেশীর দাওয়াতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, তোমরা তার দাওয়াতে সাড়া দাও। কেননা এ ব্যাপারে আনন্দটা তোমাদের জন্য। আর এর পাপ তার উপর বর্তাবে’ (ইবনু রজব, জামি‘উল ‘উলূমি ওয়াল হিকাম, পৃ. ৭১)।
রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহুদীদের সাথে লেনদেন করতেন, তাদের হাদিয়া গ্রহণ করতেন। অথচ তারা সূদী কারবার করত। খায়বারের ইহুদী মহিলার পক্ষ থেকে ছাগল হাদিয়া গ্রহণ করেছিলেন (আবূ দাঊদ, হা/৪৫১২, সনদ হাসান)। মৃত্যুর পূর্বে এক ইহুদীর নিকট তার বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০৬৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৩)।
প্রশ্নকারী : মুরাদ, নওগাঁ।