রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ‘হিজামা’ একটি ইসলামিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। হিজামা অর্থ চোষা বা টেনে নেয়া। এটা এমন এক চিকিৎসা যার মাধ্যমে দূষিত ও ব্যবহৃত রক্ত বের করা হয় (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৫৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৪৮৪)। যার ফলে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। এর মাধ্যমে পেশী, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সতেজ ও বলবান হয়। এটি অতি প্রাচীন মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট হিসাবে আরব বিশ্বে জনপ্রিয়। ইসলামী শরী‘আতে হিজামার গুরুত্ব অত্যধিক। এর কয়েকটি কারণ আছে। যেমন-
১. হিজামার মধ্যে রয়েছে রোগের নিরাময় (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৮০, ৫৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/২২০৫)।
২. রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মি‘রাজে যাওয়ার সময় ফেরেশতাদের সকল দল তাঁকে এবং তাঁর উম্মতকে হিজামা করার কথা বলেন (তিরমিযী, হা/২০৫২, ২০৫৩; ইবনু মাজাহ, হা/৩৪৭৭)।
৩. রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হিজামা সর্বোত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ঔষধের মধ্যে অধিক ফলদায়ক (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৯৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৭৭)।
৪. নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থতার (যেমন মাথা ব্যথা) কারণে হিজামা করতে বলতেন (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৫৮)।
৫. হিজামা শরীর হতে দূষিত রক্তগুলো বের করে দেয়, সে কারণে রোগের অন্য কোন ঔষধ ব্যবহার না করলেও কোন ক্ষতি হবে না (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৫৯; ইবনু মাজহ, হা/৩৪৮৪)।
৬. হিজামা করা নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজের মাথায় এবং উভয় বাহুর মধ্যখানে (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৫৯; ইবনু মাজাহ, হা/৩৪৮৪), নিতম্বে (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৬৩), ঘাড়ের দুই পার্শ্বের উভয় রগে (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৬০; তিরমিযী, হা/২০৫১; ইবনু মাজাহ, হা/৩৪৮২) হিজামা করেছেন।
৭. ছাহাবীগণও হিজামা করেছেন এবং এর মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২২০৫)। অতএব উম্মতে মুহাম্মাদীর উচিত চাঁদের সতের, ঊনিশ এবং একুশ তারিখে হিজামা করা (শারহুস সুন্নাহ, ৬ষ্ঠ খ-, পৃ. ১২৪)। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখে হিজামা করবে, সে সকল রোগ হতে নিরাপদ থাকবে’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৪৬১)।


প্রশ্নকারী : আনোয়ার, রাজশাহী।





প্রশ্ন (২৯) : রামাযান মাসে জামা‘আতের সাথে তারাবীহ উত্তম, না একাকী তাহাজ্জুদ উত্তম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : হলুদ এবং লাল রং এর পোশাক পরা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : ইসলামিক বিধান অনুসারে মৃত মহিলা তার পিতা হতে প্রাপ্ত সম্পত্তির হকদার কি শুধু সন্তানেরা, নাকি তার স্বামীও? যদি স্বামী হকদার হয় এবং পরবর্তীতে বিয়ে করে তবে প্রাপ্ত সে সম্পত্তি কি তার দ্বিতীয় স্ত্রী বা তার সন্তানেরা পাবে? নাকি শুধু তার প্রথম স্ত্রীর সন্তানেরা পাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজে তাঁর জীবনে কখনো দাড়িতে খিযাব করেছেন কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : প্রচলিত আছে যে, রাসূল (ﷺ)-এর যে নিয়মে চুল রাখতেন সেই নিয়মকে ‘বাবরী চুল’ বলা হয়। আসলে ‘বাবরী চুল’ দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : ৪ রাকা‘আত ছালাতের ১ম বৈঠকে বসে আত্তাহিয়্যাতুর পর ভুল করে দরূদ পড়ার কারণে সহো সিজদা দিতে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী কোন কাজ করতে পারে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : কোন ব্যক্তি যদি কুরআনের মাছহাফ ব্যতীত মুখস্থ কুরআন তেলাওয়াত করে, তাহলে তার জন্য এক হাযার মর্যাদার সমান নেকী রয়েছে। আর যদি মাছহাফে কুরআন পড়া মুখস্থ পড়ার চেয়ে দুই হাজার মর্যাদার সমান রয়েছে (ত্বাবারাণী, আল-জামেঊল কাবীর হা/৬০১)। বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : শরী‘আতে জন্মদিন পালন করার বিধান কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : বিভিন্ন দল ও গ্রুপের মধ্যে যে মতভেদ বিরাজমান সেক্ষেত্রে একজন মুসলিমের অবস্থান কী হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ছিয়াম শুরু করা ও শেষ করার জন্য জ্যোর্তিবিদ্যার উপর নির্ভর করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ