উত্তর : তাবীয কোন সময়ই ব্যবহার করা যাবে না। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর স্ত্রী যয়নাব (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমার স্বামী আব্দুল্লাহ আামর গলায় একটি তাবীয দেখে সেটা ছিঁড়ে ফেলেন। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, কুফরী ঝাড়ফুঁক, তাবীয ও জাদুটোনা শিরকী কাজ। আমি বললাম, আপনি কেন এমন কথা বলছেন। একবার আমার চোখে ব্যাথা হচ্ছিল, মনে হচ্ছে চোখটি বেরিয়ে যাবে। তখন এক ইহুদী তাতে মন্ত্র পড়ে ফুঁক দিলে তখনই ভাল হয়ে গেল। আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বললেন, এগুলো সব শয়তানের কাজ। নিজ হাত দ্বারা আঘাত করছিল, আর যখন মন্ত্র পড়া হয়, তখন সে বিরত হয়ে যায় (আবু দাঊদ, হা/৩৮৮৩, সনদ ছহীহ)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয ঝুলালো সে শিরক করল’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৫৮; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৪৯২)। অতএব শত্রুতাই হোক আর জিন-শয়তানের আছরই হোক কোন ক্ষেত্রেই তাবীয ব্যবহার করা যাবে না। এগুলো ছেড়ে বরং নিম্নোক্ত দু‘আ পাঠ করতে হবে:
أَذْهِبِ الْبَاْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَائُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আয্হিবিল বা‘স, রব্বান না-স, ওয়াশ্ফি আংতাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফাউকা শিফা-আল লা ইউগা-দিরু সাক্বামা। অর্থ : ‘হে মানুষের প্রতিপালক! আপনি এ রোগ দূর করুন এবং আরোগ্য দান করুন, আপনি আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকী রাখে না কোন রোগ’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৪২; মিশকাত, হা/১৫৩০, পৃ, ১৩৪)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল আহাদ সাকিব, সোনাতলা, বগুড়া।