উত্তর : পিতা-মাতার চোখে সন্তান যদি অপরাধী হয়, তাহলে সন্তান যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে তাদের কাছ থেকে ক্ষমা নেয়ার। আশা রাখতে হবে অবশ্য তারা ক্ষমা করবেন। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মনে রাখা আবশ্যক যে, ক্ষমা করা মুমিনের অন্যতম গুণ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে পরহেযগারীর নিকটবর্তী (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৩৭)। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের উচিত ক্ষমা করে দেয়া এবং দোষত্রুটি উপেক্ষা করা। তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন?’ (সূরা আন-নূর : ২২)। যে ক্ষমা করে ও আপোস করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে (সূরা আশ-শূরা : ৪০)। উপরিউক্ত আয়াতগুলোতে ক্ষমাকারীর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধীদের খেয়াল রাখতে হবে যে, (ক) ইখলাছ বা একনিষ্ঠভাবে অপরাধ স্বীকার করতে হবে (খ) সততা থাকতে হবে (গ) উপযুক্ত সময় নির্বাচন করা (ঘ) উপযুক্ত শব্দ চয়ন করা এবং (ঙ) তাদের জন্য উপঢৌকন দেয়া। এতেও যদি তাদের মন নরম না হয়, তাহলে তাদের সামনে বা পেছনে সত্য প্রশংসা করতে হবে এবং তাদের জন্য দু‘আ করতে হবে (তাফসীর ইবনু কাছীর, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩৮৪)।
প্রশ্নকারী : ইসরাফীল, খুলনা।