উত্তর : (১) ইচ্ছাকৃতভাবে খানা-পিনা করা, বমি করা, সূর্যাস্তের পূর্বেই হায়েয-নিফাস শুরু হওয়া। এমনটি হলে কেবল ক্বাযা ওয়াজিব হয়। (২) ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রী সহবাস করা। এতে ক্বাযা ও কাফফারা দু’টিই ওয়াজিব হবে। এক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই কাফফারা স্বরূপ একটানা দু’মাস ছিয়াম পালন করতে হবে অথবা ষাট জন মিসকীনকে খানা খাওয়াতে হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৩৬, ইফাবা হা/১৮১২, ৩/২৬২ পৃ.; মিশকাত, হা/২০০৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত, হা/১৯০৭, ২৩১-৩২ পৃ.)। (৩) অসুস্থতা ও সফরের কারণে ছিয়াম ভঙ্গ করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে (সে ছিয়াম ভঙ্গ করে), সে অন্য দিনে তার ক্বাযা আদায় করে নিবে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ১৮৫; ছহীহ মুসলিম, হা/১১২১; ইরওয়াউল গালীল, হা/৯১২)। (৪) গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী নারী নিজের বা শিশুর জীবনের আশংকা করলে ছিয়াম ভঙ্গ করবে। সক্ষম হলে পরে পূরণ করে নিবে, অন্যথা ফিদইয়া দিবে (ছহীহ আবূ দাঊদ, হা/২৪০৮)। (৫) আল্লাহর পথে জিহাদে থাকার সময় শরীরে শক্তি বজায় রাখা কিংবা শক্তি বৃদ্ধির জন্য ছিয়াম ভঙ্গ করা। মক্কা বিজয়ের সময় ছাহাবীদেরকে নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন, إِنَّكُمْ مُصَبِّحُوْ عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوْا ‘আগামীকাল তোমরা শত্রুর মোকাবিলা করবে। ছিয়াম ভঙ্গ করলে তোমরা অধিক শক্তিশালী হবে। সুতরাং তোমরা ছিয়াম ভঙ্গ কর’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১১২০; আবূ দাঊদ, হা/২৪০৬)। উক্ত কারণগুলো স্পষ্ট হলে ছিয়াম ভাঙ্গা যাবে, তবে পরবর্তীতে ক্বাযা আদায় করে নিতে হবে।
প্রশ্নকারী : হাফছা, মীরপুর, ঢাকা।